দায়িত্ব বর্তালো সরকারের ওপরই -খালেদার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া
সংবাদ
সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে সংলাপ
এবং সমঝোতার ইঙ্গিত রয়েছে উল্লেখ করে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, এখন সঙ্কটের
সমাধান নির্ভর করছে সরকারের উদ্যোগের ওপর। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যে
দাবি রয়েছে এ বিষয়ে সরকারকে উদার হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার
বক্তব্যে মনে হচ্ছে তিনি তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন। সবার
কাছে গ্রহণযোগ্য একজনের অধীনে নির্বাচন চেয়েছেন। পরিস্থিতি সরকারের
উদ্যোগের ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কিভাবে প্রতিক্রিয়া
জানায় সেটাই দেখার বিষয়। খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনে মনে হলো তিনি আলোচনা
শুরু করতে বলেছেন। সরকার সাড়া দেবে কি-না সেটা দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন,
খালেদা জিয়া আগেও এমন কথাই বলেছেন। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়টা সরকারকে
সমাধান করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যে মনে হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন। উনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু উনি এটা কি ফরম্যাটে হবে সে কথা বলেননি। এখানে সরকারের জন্য জায়গা রেখেছেন। সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিকে ইতিবাচক মনে করছেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দোষারোপ না করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চেয়েছেন। তিনি শক্তভাবে এই দাবি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। তিনি আরও বলেন, খালেদার বক্তব্যে মনে হয়েছে তিনি সরকারের পদত্যাগ চাননি। বরং তিনি তাদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। যার দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যাললের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে সরে আসা ছাড়া নতুন কিছু নেই। আমরা সরকারের কাছে নতুন কিছু যেমন শুনতে পাই না, তেমনি তার বক্তব্যেও শোনা যায়নি। খালেদা জিয়ার বক্তব্যে খুবই আশাবাদী হওয়ার মতো প্রস্তাব নেই। যার মাধ্যমে সঙ্কটের সুরাহা সম্ভব। তিনি বলেন, সম্ভবত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে, অনড় না থেকে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছেন। এটা জাতীয় সরকার কিংবা প্রেসিডেন্টের অধীনে কিছু একটা হতে পারে। সরকারকে এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে। এটা প্রকাশ্যে হতে পারে। কিংবা পর্দার অন্তরালে কোন তৎপরতা হতে পারে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ক্রসফায়ারে মারা যাচ্ছেন সেটা অসত্য না। এখানে তিনি যে বিচার বিভাগীয় তদন্তের কথা বলেছেন তা নিয়ে সরকারকে গভীরভাবে ভাবা উচিত। তিনি বলেন, এখন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের উদার হওয়ার সুযোগ এসেছে। সরকারের উচিত এমন ব্যবস্থা নেয়া যেন সমাধান হয়।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. মেজবাহ কামাল বলেন, বেগম জিয়া অনেকদিন পর সরাসরি মিডিয়ার সামনে এলেন। প্রত্যাশা করেছিলাম তিনি বাস্তবতা অনুভব করবেন। তিনি ও তার দল-জোট জনগণের থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন সেটা বুঝবেন। কিন্তু তিনি তার দাবি অব্যাহত রাখলেন এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। খালেদা জিয়ার কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না। হরতাল ভেঙে পড়েছে। অবরোধও ভেঙে পড়ার পথে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের পদত্যাগের যে দাবি করছেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কোন ভিত্তি দেখছি না। এসব দাবি পূরণ করতে হলে বিএনপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সংসদে আসতে হবে। আইন পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মধ্যে যে সঙ্কট তৈরি করেছে তা আরও বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যে মনে হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন। উনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু উনি এটা কি ফরম্যাটে হবে সে কথা বলেননি। এখানে সরকারের জন্য জায়গা রেখেছেন। সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিকে ইতিবাচক মনে করছেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দোষারোপ না করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চেয়েছেন। তিনি শক্তভাবে এই দাবি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। তিনি আরও বলেন, খালেদার বক্তব্যে মনে হয়েছে তিনি সরকারের পদত্যাগ চাননি। বরং তিনি তাদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। যার দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যাললের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে সরে আসা ছাড়া নতুন কিছু নেই। আমরা সরকারের কাছে নতুন কিছু যেমন শুনতে পাই না, তেমনি তার বক্তব্যেও শোনা যায়নি। খালেদা জিয়ার বক্তব্যে খুবই আশাবাদী হওয়ার মতো প্রস্তাব নেই। যার মাধ্যমে সঙ্কটের সুরাহা সম্ভব। তিনি বলেন, সম্ভবত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে, অনড় না থেকে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছেন। এটা জাতীয় সরকার কিংবা প্রেসিডেন্টের অধীনে কিছু একটা হতে পারে। সরকারকে এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে। এটা প্রকাশ্যে হতে পারে। কিংবা পর্দার অন্তরালে কোন তৎপরতা হতে পারে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যে ক্রসফায়ারে মারা যাচ্ছেন সেটা অসত্য না। এখানে তিনি যে বিচার বিভাগীয় তদন্তের কথা বলেছেন তা নিয়ে সরকারকে গভীরভাবে ভাবা উচিত। তিনি বলেন, এখন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের উদার হওয়ার সুযোগ এসেছে। সরকারের উচিত এমন ব্যবস্থা নেয়া যেন সমাধান হয়।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. মেজবাহ কামাল বলেন, বেগম জিয়া অনেকদিন পর সরাসরি মিডিয়ার সামনে এলেন। প্রত্যাশা করেছিলাম তিনি বাস্তবতা অনুভব করবেন। তিনি ও তার দল-জোট জনগণের থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন সেটা বুঝবেন। কিন্তু তিনি তার দাবি অব্যাহত রাখলেন এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। খালেদা জিয়ার কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না। হরতাল ভেঙে পড়েছে। অবরোধও ভেঙে পড়ার পথে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের পদত্যাগের যে দাবি করছেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কোন ভিত্তি দেখছি না। এসব দাবি পূরণ করতে হলে বিএনপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সংসদে আসতে হবে। আইন পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মধ্যে যে সঙ্কট তৈরি করেছে তা আরও বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments