কিডনি রোগের চিকিৎসা- নিরাময় ও প্রতিরোধ দুটিতেই জোর দিতে হবে
গতকাল
পালিত হয়েছে বিশ্ব কিডনি দিবস। দেশে বর্তমানে কিডনি রোগীর সংখ্যা দুই
কোটি। এর চেয়েও দুঃসংবাদটি হচ্ছে, প্রতি ঘণ্টায় পাঁচজন মারা যাচ্ছে
কিডনিসংক্রান্ত রোগে। অথচ কিডনি রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার সুব্যবস্থাপনা
নেই দেশে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট, সর্বোপরি
অবৈধ বাণিজ্য রোধে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন সংক্রান্ত যথাযথ আইন না
থাকার কারণে কিডনি আক্রান্ত রোগীরা সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। আশ্চর্যই বলতে
হয়, দুই কোটিরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হলেও দেশের বড় বড় সরকারি
হাসপাতালে এ রোগের জন্য পৃথক কোনো ইউনিট নেই। কিডনি মানবদেহের এক অতি
গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পরিপাকতন্ত্রের কার্যাবলীতে যে বর্জ্য তৈরি হয়, কিডনির
মাধ্যমেই সেগুলোর পরিশোধন হয়। অর্থাৎ কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া মানে শরীরের
স্বাভাবিক ক্রিয়া-কর্মগুলোই বাধাগ্রস্ত হওয়া। তাই বিশ্ব কিডনি দিবসের
স্লোগান ছিল, সবার জন্য সুস্থ কিডনি। কথা হচ্ছে, দিবসটি যেভাবে পালিত
হয়েছে, তাতে দেশের কত শতাংশ মানুষ কিডনি সম্পর্কে সচেতন হতে পেরেছেন? উচ্চ
রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস দীর্ঘমেয়াদে কিডনি অকার্যকর করে ফেলে। এ তথ্যটি কি
বিশেষত গ্রামীণ সাধারণ মানুষ জানে? অথবা তারা বাতের ব্যথায় যেসব বড়ি বা
বেদনানাশক কবিরাজি ওষুধ সেবন করে থাকে, তা যে কিডনির জন্য মারাত্মক
ক্ষতিকর, সেটাও তারা জানে না। এসব বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দরকার।
কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য দেশে মাত্র ৩০০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার ৭০ শতাংশই রাজধানীর বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে প্র্যাকটিস করে থাকেন। অর্থাৎ দেশের বৃহত্তর এলাকার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা নিতান্তই কম। রাজধানীতে যে কিডনি হাসপাতাল রয়েছে, তার শয্যাসংখ্যা মাত্র দেড়শ। ওদিকে কিডনি চিকিৎসায় ডায়ালাইসিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই সেবা খুবই সীমিত দেশে। কিডনি রোগের চিকিৎসাসেবা বাড়ানো দরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ৭০ ভাগ রোগীর কিডনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এসব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রস্তাব- প্রথমত, কিডনি রোগ প্রতিরোধে যা যা করণীয়, তার সবই প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দেশের মানুষকে জানাতে হবে। দ্বিতীয়ত, ডায়ালাইসিসসহ কিডনি রোগের চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনটির যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তার চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। কার্যকর আইনের অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে দেশে চলছে চরম অরাজকতা। কিডনির অবৈধ বাণিজ্যও চলছে হরদম। কিডনিসংক্রান্ত রোগ যেহেতু আশংকাজনক হারে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, তাই এ রোগের প্রতিরোধ ও নিরাময় উভয় ক্ষেত্রেই মনোযোগী হতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।
কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য দেশে মাত্র ৩০০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার ৭০ শতাংশই রাজধানীর বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে প্র্যাকটিস করে থাকেন। অর্থাৎ দেশের বৃহত্তর এলাকার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা নিতান্তই কম। রাজধানীতে যে কিডনি হাসপাতাল রয়েছে, তার শয্যাসংখ্যা মাত্র দেড়শ। ওদিকে কিডনি চিকিৎসায় ডায়ালাইসিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই সেবা খুবই সীমিত দেশে। কিডনি রোগের চিকিৎসাসেবা বাড়ানো দরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ৭০ ভাগ রোগীর কিডনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এসব দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রস্তাব- প্রথমত, কিডনি রোগ প্রতিরোধে যা যা করণীয়, তার সবই প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দেশের মানুষকে জানাতে হবে। দ্বিতীয়ত, ডায়ালাইসিসসহ কিডনি রোগের চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনটির যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তার চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। কার্যকর আইনের অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে দেশে চলছে চরম অরাজকতা। কিডনির অবৈধ বাণিজ্যও চলছে হরদম। কিডনিসংক্রান্ত রোগ যেহেতু আশংকাজনক হারে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, তাই এ রোগের প্রতিরোধ ও নিরাময় উভয় ক্ষেত্রেই মনোযোগী হতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।
No comments