আমেরিকা-ইউরোপ-ভারতের চক্রান্তে রাজাপাকসের পতন
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিলেন মহিন্দ রাজাপাকসে |
আমেরিকা,
ইউরোপ ও ভারতের প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বলে অভিযোগ
করেছেন শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহেন্দ রাজাপাকসে। ভারতের গোয়েন্দা
সংস্থার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেছেন ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস
উইং)-এর চক্রান্তেই তাকে ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছে। হংকং ভিত্তিক সাউথ
চায়না মর্নিং পোস্টকে এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ তুলে ধরেন রাজাপাকসে।
বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। শ্রীলংকার তাঙ্গালে সাউথ চায়না
মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদক দেবাশীষ রায় চৌধুরীকে রাজাপাকসে বলেন, ‘এটা
একেবারেই পরিষ্কার যে, আমেরিকানরা, নরওয়েজিয়ানরা, ইউরোপীয়রা সবাই আমার
বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করেছে। সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ‘র’
(ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা)।’
গত জানুয়ারিতে নির্বাচনে পরাজয়ের পর এই প্রথম এক সাক্ষাৎকারে পরাজয়ের নেপথ্য কারণ ব্যাখ্যা করলেন মাহেন্দ রাজাপাকসে। তিনি বলেন, এটা তখন ওপেন সিক্রেট ছিল। আমি ভারতীয়দের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এসব তোমরা কী করছ? এভাবে প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে লেগেছ কেন? আমি তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম, শ্রীলংকার মাটি কোনো বন্ধুপ্রতিম দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে দেব না। কখনোই হবে না। কিন্তু তাদের অন্য পরিকল্পনা ছিল।’ প্রসঙ্গত, সেসময় র’-এর কলম্বো প্রধানকে বহিষ্কার করেছিলেন রাজাপাকসে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ বলা হয়নি।
গত বছর শ্রীলংকার জলসীমায় চীনের সাবমেরিন উপস্থিতিতে ভারতের নাখোশ হওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজাপাকসে বলেন, ‘এটা ভারতকে জানানো হয়েছিল। তখন তো চীনের প্রেসিডেন্ট এখানে ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এলে তো ভারি ভারি ভারতীয় সাবমেরিন যুদ্ধজাহাজ মহড়া দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়, আমি চীনপন্থী। কিন্তু আমি চীনপন্থীও নই, ভারতপন্থীও নই। আমি আমেরিকাপন্থীও নই। আমি শ্রীলংকাপন্থী। আমি এই দেশের উন্নয়ন চেয়েছিলাম। বেইজিং আমাকে সাহায্য করছিল। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ?এই যে হাম্বানতোতা বন্দর বা এয়ারপোর্ট। এটা নির্মাণের জন্য আমি তো নয়াদিল্লিকেও প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কই তারা তো আগ্রহ দেখায়নি। তবে আমি কার কাছে যাব? বেইজিং আমাকে টাকা দিয়েছে। আর আমার তা প্রয়োজন ছিল।’ রাজাপাকসে আরও বলেন, ‘চীনের কাছে শ্রীলংকার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তাদের ধন্যবাদ দেয়া দরকার। আমাদের জন্য তারা সাহায্য প্রসারিত করেছে। অথচ এরা (নতুন সরকার) চীনকে অপরাধী জ্ঞান করছে!’ চীনকে এ ব্যাপারে দুঃখিত না হওয়ার ও সাহায্য বন্ধ না করার আহ্বান জানান সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
নতুন সরকারের সমালোচনা করে রাজাপাকসে বলেন, এমনটি আমি কোথাও দেখিনি। পার্লামেন্টের ভেতরে বা বাইরে কোথায় বিরোধী দল নেই। তিনি আরও জানান, ‘জনগণের অভিযোগের জায়গা নেই। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার কাছে আসে। তারা বলে আমরা দুঃখিত, আমরা আপনার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি। কিন্তু এখন আমরা আপনাকে চাই। আমি তাদের বলি, আমি অনেক ক্লান্ত, আমাকে এখন বিশ্রাম নিতে দিন।’
উল্লেখ্য, তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে শ্রীলংকার তিন দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের অবসান হয় ২০০৯ সালে। তারপর থেকে কলম্বোকে অন্তত ৪০০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে বেইজিং। এইড, সফট লোন কিংবা গ্রান্টস নামে এসব সাহায্য এসেছে। যার ৭০ শতাংশই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রজেক্টে ব্যয় হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে নির্বাচনে পরাজয়ের পর এই প্রথম এক সাক্ষাৎকারে পরাজয়ের নেপথ্য কারণ ব্যাখ্যা করলেন মাহেন্দ রাজাপাকসে। তিনি বলেন, এটা তখন ওপেন সিক্রেট ছিল। আমি ভারতীয়দের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এসব তোমরা কী করছ? এভাবে প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে লেগেছ কেন? আমি তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম, শ্রীলংকার মাটি কোনো বন্ধুপ্রতিম দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে দেব না। কখনোই হবে না। কিন্তু তাদের অন্য পরিকল্পনা ছিল।’ প্রসঙ্গত, সেসময় র’-এর কলম্বো প্রধানকে বহিষ্কার করেছিলেন রাজাপাকসে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ বলা হয়নি।
গত বছর শ্রীলংকার জলসীমায় চীনের সাবমেরিন উপস্থিতিতে ভারতের নাখোশ হওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজাপাকসে বলেন, ‘এটা ভারতকে জানানো হয়েছিল। তখন তো চীনের প্রেসিডেন্ট এখানে ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এলে তো ভারি ভারি ভারতীয় সাবমেরিন যুদ্ধজাহাজ মহড়া দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়, আমি চীনপন্থী। কিন্তু আমি চীনপন্থীও নই, ভারতপন্থীও নই। আমি আমেরিকাপন্থীও নই। আমি শ্রীলংকাপন্থী। আমি এই দেশের উন্নয়ন চেয়েছিলাম। বেইজিং আমাকে সাহায্য করছিল। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ?এই যে হাম্বানতোতা বন্দর বা এয়ারপোর্ট। এটা নির্মাণের জন্য আমি তো নয়াদিল্লিকেও প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কই তারা তো আগ্রহ দেখায়নি। তবে আমি কার কাছে যাব? বেইজিং আমাকে টাকা দিয়েছে। আর আমার তা প্রয়োজন ছিল।’ রাজাপাকসে আরও বলেন, ‘চীনের কাছে শ্রীলংকার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তাদের ধন্যবাদ দেয়া দরকার। আমাদের জন্য তারা সাহায্য প্রসারিত করেছে। অথচ এরা (নতুন সরকার) চীনকে অপরাধী জ্ঞান করছে!’ চীনকে এ ব্যাপারে দুঃখিত না হওয়ার ও সাহায্য বন্ধ না করার আহ্বান জানান সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
নতুন সরকারের সমালোচনা করে রাজাপাকসে বলেন, এমনটি আমি কোথাও দেখিনি। পার্লামেন্টের ভেতরে বা বাইরে কোথায় বিরোধী দল নেই। তিনি আরও জানান, ‘জনগণের অভিযোগের জায়গা নেই। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার কাছে আসে। তারা বলে আমরা দুঃখিত, আমরা আপনার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি। কিন্তু এখন আমরা আপনাকে চাই। আমি তাদের বলি, আমি অনেক ক্লান্ত, আমাকে এখন বিশ্রাম নিতে দিন।’
উল্লেখ্য, তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে শ্রীলংকার তিন দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের অবসান হয় ২০০৯ সালে। তারপর থেকে কলম্বোকে অন্তত ৪০০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে বেইজিং। এইড, সফট লোন কিংবা গ্রান্টস নামে এসব সাহায্য এসেছে। যার ৭০ শতাংশই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রজেক্টে ব্যয় হচ্ছে।
No comments