৪০ দিনে গ্রেপ্তার ১৪,০০০ by নুরুজ্জামান লাবু
বিএনপি
নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ ও হরতালে গত ৪০ দিনে সারা দেশে
প্রায় ১৪ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে
৩০০ জন গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বিরোধী জোটের
নেতাকর্মী। এ সময়ে রাজধানী ঢাকায়ই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেড় সহস্রাধিক
ব্যক্তিকে। এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ কয়েকজন রাজনীতিকও রয়েছেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নাশকতা প্রতিরোধে সারা দেশে
বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে
প্রায় ১৪ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হলেও বিএনপি-জামায়াতের
সূত্রগুলো বলছে গ্রেপ্তারের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। ১৭ হাজারের বেশি বিরোধী
নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের দাবি করেছে বিরোধী জোট। গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিরোধী
জোটের কয়েক লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ই জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা সমাবেশের দু’দিন আগে থেকেই মূলত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। এরপর টানা গ্রেপ্তার চলতে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় সিটি এসবি ও গোয়েন্দা শাখা ছাড়াও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা করা হয়। ঢাকার বাইরে প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকায় একইভাবে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর মেট্রোপলিটনের বাইরে প্রতিটি জেলায় পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে জেলা-উপজেলার বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে রাজধানী ও জেলা-উপজেলার বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকার বাইরে রাজশাহী, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা অন্য জেলাগুলোর চাইতে বেশি। এসব এলাকায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে এসব এলাকায় বেশি সংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশে বিশেষ গ্রেপ্তার অভিযানে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের বাইরেও সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তারের নামে ‘বাণিজ্যে’ নেমে গেছেন। অর্থবিত্তের খোঁজ-খবর নিয়ে বিএনপি সমর্থন করেন এরকম লোকজনকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুলিশের মহাপরিদর্শক শনিবার বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের ইন্টারনাল গোয়েন্দারা এসব বিষয় খতিয়ে দেখছেন। এদিকে ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গত ৪০ দিনে রাজধানী ঢাকায় বিরোধী জোটের অন্তত দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ হিসেবে রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত ৫ই জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ৫ তারিখ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও ২২৭টি মামলা দায়ের হয়। এর বাইরে গত ১০ দিনে আরও অন্তত ৪০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীতে গ্রেপ্তারের বিশেষ অভিযানে একে একে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল কোতোয়ালি থানা পুলিশ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক থানা সাংগঠনিক সম্পাদক রজ্জব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষিণখান এলাকা থেকে জামায়াতের বিমানবন্দর থানা সভাপতি এনামুল হকসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা হলেন আবদুল হান্নান, ইকবাল হোসেন ও হাবিবুর রহমান। তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর বাইরে গতকাল বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৪০ দিনে গ্রেপ্তার হওয়া দেড় সহস্রাধিক বিরোধী জোট নেতাকর্মীদের মধ্যে ৯৯৬ জন বিএনপি ও বাকিরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে প্রায় শ’ দুয়েক নেতাকর্মীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদেরই কেবল গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ অনেক সতর্কতা অবলম্বন করে অভিযান চালায়, যাতে সাধারণ মানুষ কেউ যেন হয়রানি না হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ই জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা সমাবেশের দু’দিন আগে থেকেই মূলত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। এরপর টানা গ্রেপ্তার চলতে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় সিটি এসবি ও গোয়েন্দা শাখা ছাড়াও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা করা হয়। ঢাকার বাইরে প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকায় একইভাবে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর মেট্রোপলিটনের বাইরে প্রতিটি জেলায় পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে জেলা-উপজেলার বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে রাজধানী ও জেলা-উপজেলার বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকার বাইরে রাজশাহী, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা অন্য জেলাগুলোর চাইতে বেশি। এসব এলাকায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে এসব এলাকায় বেশি সংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশে বিশেষ গ্রেপ্তার অভিযানে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের বাইরেও সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তারের নামে ‘বাণিজ্যে’ নেমে গেছেন। অর্থবিত্তের খোঁজ-খবর নিয়ে বিএনপি সমর্থন করেন এরকম লোকজনকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুলিশের মহাপরিদর্শক শনিবার বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের ইন্টারনাল গোয়েন্দারা এসব বিষয় খতিয়ে দেখছেন। এদিকে ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গত ৪০ দিনে রাজধানী ঢাকায় বিরোধী জোটের অন্তত দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ হিসেবে রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত ৫ই জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ৫ তারিখ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও ২২৭টি মামলা দায়ের হয়। এর বাইরে গত ১০ দিনে আরও অন্তত ৪০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীতে গ্রেপ্তারের বিশেষ অভিযানে একে একে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল কোতোয়ালি থানা পুলিশ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক থানা সাংগঠনিক সম্পাদক রজ্জব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দক্ষিণখান এলাকা থেকে জামায়াতের বিমানবন্দর থানা সভাপতি এনামুল হকসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা হলেন আবদুল হান্নান, ইকবাল হোসেন ও হাবিবুর রহমান। তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর বাইরে গতকাল বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৪০ দিনে গ্রেপ্তার হওয়া দেড় সহস্রাধিক বিরোধী জোট নেতাকর্মীদের মধ্যে ৯৯৬ জন বিএনপি ও বাকিরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে প্রায় শ’ দুয়েক নেতাকর্মীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদেরই কেবল গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ অনেক সতর্কতা অবলম্বন করে অভিযান চালায়, যাতে সাধারণ মানুষ কেউ যেন হয়রানি না হয়।
No comments