পাকিস্তান যে কারণে হারল : মিয়াঁদাদের বিশ্লেষণ
বড়
ম্যাচে যে কোনও টিম কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটে না৷ তাদের সেরা
একাদশই মাঠে নামায়৷ দুর্ভাগ্যবশত এই সহজ ফর্মুলাটা পাকিস্তান কোনও দিনই মনে
রাখে না৷ ৭৬ রানে জেতা ম্যাচটা বিশ্বকাপে পাকিস্তান-ভারত স্কোরলাইনটা ০-৬
করে দিল৷ এই রেকর্ডটা থামানোর জন্য আরও চারটে বছর হয়তো অপেক্ষা করতে হবে
পাকিস্তানকে৷
ম্যাচের একাদশ নির্বাচনটাই পাকিস্তান সমর্থকদের চরম হতাশ করল৷ ইউসিন খানকে ওপেনার হিসেবে পাঠানোর পিছনে কোন রকেট সায়েন্স ছিল? স্পেশালিস্ট উইকেটকিপার সরফরাজ আহমেদও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংক করতে পারে, তা-ও ও কেন বাদ?
চোট পাওয়া মহম্মদ হাফিজের বদলি নাসির জামশেদ শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়েছে৷ ও কি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য গিয়েছে, নাকি ওকে বিশ্বকাপের ম্যাচেও খেলানো হবে? উইকেট কিপিংটা স্পেশালিস্টদের কাজ৷ গুরুতর মুহূর্তে উমর আকমলকে বিরাট কোহলির ক্যাচটা ওকে মিস করতে দেখে আমি কিন্তু অবাক হইনি৷ এই ধরণের ভুলগুলোর মানে, পাকিস্তান টিম এটা জানেই না কোথায় তাদের শক্তি৷ ওরা চাইছে ৮ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান থাকুক৷ সঙ্গে ছ'টা বোলারও যেন থাকে হাতে৷ বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে এগুলো করা যায় না৷
ভারত তাদের হোমওয়ার্কটা দারুণ ভাবে করে রেখেছিল৷ ধাওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে কোহলি ভারতের ইনিংসটা তৈরি করে গেল৷ ওদের বিরুদ্ধে মিসবার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না৷ পাকিস্তানের পেস বোলিং ও মহম্মদ ইরফানের উচ্চতা নিয়ে ওরাও চিন্তিত ছিল৷ কিন্তু লুজ বলের জন্য অপেক্ষা করে গিয়েছে৷ আমার মনে হল, বড় ম্যাচের চাপটা ইরফানের মধ্যে প্রভাব ফেলেছিল৷ না হলে বল করতে গিয়ে ডেঞ্জার জোনে বারবার ঢুকে রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে বাধ্য হত না৷
কোহলি আর ধাওয়ান বুদ্ধিমানের মতো স্ট্রাইক বদলে গিয়েছে নিয়মিত৷ ধাওয়ান যদি রান আউট না হত, আরও ৩০-৪০টা রান বাড়ত৷ কোহলি-ধাওয়ানের শতরানের পার্টনারশিপটাই ধোনিকে অনেক রিল্যাক্স করে দিয়েছিল৷ তাই রাহানের আগে ও রায়নাকে পাঠাতে পারল৷ ডান হাতি-বাঁ হাতি কম্বিনেশনের বিরুদ্ধে পাক বোলাররা কখনওই স্বস্তিতে ছিল না৷ অ্যাডিলেডের মতো ব্যাটিং উইকেটে বোলাররা ক্রমাগত শর্ট বোলিং করল৷
স্পিনটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দারুণ খেলে৷ তবু তিন জন স্পিনারকে নিয়ে নেমেছিল পাকিস্তান৷ ইয়াসিরের আটটা ওভার খুব সহজে সামলে ভারতীয়রা ৬০টা রানও করেছে৷ বাঁ হাতি স্পিনার হ্যারিস সোহেলকে খেলানো আর একটা ঝুঁকি৷ অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের পিচে ওর সফল হওয়া খুব মুশকিল৷ পাকিস্তানের একটাই পজিটিভ দিক দেখলাম, পাঁচ উইকেট পাওয়া পেসার সোহেল খান৷
অ্যাডিলেডের পিচে কোনও জুজু ছিল না৷ দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে ব্যাটসম্যানরা টিমকে হারাল৷ মিসবা টসের সময়ই বলল, ও ইউনিসকে দিয়ে ওপেন করাবে৷ স্কোর বোর্ডে ৩০০ রান দেখার পর ভাবলাম, আহমেদ শাহজাদের সঙ্গে আফ্রিদিকে ওপেন করতে পাঠাতে পারে মিসবা৷ কিন্তু পাক অধিনায়কের তো ম্যাচ রিডিংটাই নেই! মিসবা যতই রান করুক, ওর ৭৬ রান হারের ব্যবধানটা শুধু কমিয়েছে৷
১৯৯২ সালেও ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরেছিল৷ কিন্তু তার পরও কাপটা জিতে ফিরেছিলাম আমরা৷
ভারতের ম্যাচটার পর পাকিস্তানের উপর আর চাপ থাকল না৷ গ্রুপ লিগের বাকি পাঁচটা ম্যাচে মনোঃসংযোগ করুক৷ শুধু নজর রাখুক, ব্যক্তির উর্ধ্বে উঠে টিমকে গুরুত্ব দিক৷ যারা ফর্মে নেই তাদের বাদ দিয়ে ঠিকঠাক টিম মাঠে নামাক মিসবাহ৷
ম্যাচের একাদশ নির্বাচনটাই পাকিস্তান সমর্থকদের চরম হতাশ করল৷ ইউসিন খানকে ওপেনার হিসেবে পাঠানোর পিছনে কোন রকেট সায়েন্স ছিল? স্পেশালিস্ট উইকেটকিপার সরফরাজ আহমেদও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংক করতে পারে, তা-ও ও কেন বাদ?
চোট পাওয়া মহম্মদ হাফিজের বদলি নাসির জামশেদ শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়েছে৷ ও কি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য গিয়েছে, নাকি ওকে বিশ্বকাপের ম্যাচেও খেলানো হবে? উইকেট কিপিংটা স্পেশালিস্টদের কাজ৷ গুরুতর মুহূর্তে উমর আকমলকে বিরাট কোহলির ক্যাচটা ওকে মিস করতে দেখে আমি কিন্তু অবাক হইনি৷ এই ধরণের ভুলগুলোর মানে, পাকিস্তান টিম এটা জানেই না কোথায় তাদের শক্তি৷ ওরা চাইছে ৮ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান থাকুক৷ সঙ্গে ছ'টা বোলারও যেন থাকে হাতে৷ বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে এগুলো করা যায় না৷
ভারত তাদের হোমওয়ার্কটা দারুণ ভাবে করে রেখেছিল৷ ধাওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে কোহলি ভারতের ইনিংসটা তৈরি করে গেল৷ ওদের বিরুদ্ধে মিসবার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না৷ পাকিস্তানের পেস বোলিং ও মহম্মদ ইরফানের উচ্চতা নিয়ে ওরাও চিন্তিত ছিল৷ কিন্তু লুজ বলের জন্য অপেক্ষা করে গিয়েছে৷ আমার মনে হল, বড় ম্যাচের চাপটা ইরফানের মধ্যে প্রভাব ফেলেছিল৷ না হলে বল করতে গিয়ে ডেঞ্জার জোনে বারবার ঢুকে রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে বাধ্য হত না৷
কোহলি আর ধাওয়ান বুদ্ধিমানের মতো স্ট্রাইক বদলে গিয়েছে নিয়মিত৷ ধাওয়ান যদি রান আউট না হত, আরও ৩০-৪০টা রান বাড়ত৷ কোহলি-ধাওয়ানের শতরানের পার্টনারশিপটাই ধোনিকে অনেক রিল্যাক্স করে দিয়েছিল৷ তাই রাহানের আগে ও রায়নাকে পাঠাতে পারল৷ ডান হাতি-বাঁ হাতি কম্বিনেশনের বিরুদ্ধে পাক বোলাররা কখনওই স্বস্তিতে ছিল না৷ অ্যাডিলেডের মতো ব্যাটিং উইকেটে বোলাররা ক্রমাগত শর্ট বোলিং করল৷
স্পিনটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দারুণ খেলে৷ তবু তিন জন স্পিনারকে নিয়ে নেমেছিল পাকিস্তান৷ ইয়াসিরের আটটা ওভার খুব সহজে সামলে ভারতীয়রা ৬০টা রানও করেছে৷ বাঁ হাতি স্পিনার হ্যারিস সোহেলকে খেলানো আর একটা ঝুঁকি৷ অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের পিচে ওর সফল হওয়া খুব মুশকিল৷ পাকিস্তানের একটাই পজিটিভ দিক দেখলাম, পাঁচ উইকেট পাওয়া পেসার সোহেল খান৷
অ্যাডিলেডের পিচে কোনও জুজু ছিল না৷ দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে ব্যাটসম্যানরা টিমকে হারাল৷ মিসবা টসের সময়ই বলল, ও ইউনিসকে দিয়ে ওপেন করাবে৷ স্কোর বোর্ডে ৩০০ রান দেখার পর ভাবলাম, আহমেদ শাহজাদের সঙ্গে আফ্রিদিকে ওপেন করতে পাঠাতে পারে মিসবা৷ কিন্তু পাক অধিনায়কের তো ম্যাচ রিডিংটাই নেই! মিসবা যতই রান করুক, ওর ৭৬ রান হারের ব্যবধানটা শুধু কমিয়েছে৷
১৯৯২ সালেও ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরেছিল৷ কিন্তু তার পরও কাপটা জিতে ফিরেছিলাম আমরা৷
ভারতের ম্যাচটার পর পাকিস্তানের উপর আর চাপ থাকল না৷ গ্রুপ লিগের বাকি পাঁচটা ম্যাচে মনোঃসংযোগ করুক৷ শুধু নজর রাখুক, ব্যক্তির উর্ধ্বে উঠে টিমকে গুরুত্ব দিক৷ যারা ফর্মে নেই তাদের বাদ দিয়ে ঠিকঠাক টিম মাঠে নামাক মিসবাহ৷
No comments