চট্টগ্রামে ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধারে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি কমিটি by মহিউদ্দীন জুয়েল
চট্টগ্রামের
আদালতপাড়ায় ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাউকে দোষী সাব্যস্ত
করতে পারেনি। শনাক্ত করতে পারেনি কোথায়, কিভাবে, কার জন্য টাকাগুলো নিয়ে
যাওয়া হচ্ছিল। অত্যন্ত দায়সারাভাবেই গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে এ
প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, পুরো প্রতিবেদনটি
১৩ পৃষ্ঠার। এতে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ
উঠেছিল তা সত্যি নয় বলে উল্লেখ করা হয়। তবে প্রতিবেদনে ৮টি সুপারিশ করা
হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ভূমি অফিসের এলএ শাখার সার্বিক কাজের আধুনিকায়ন এবং
ভূমি অধিগ্রহণের টাকা লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করাসহ একাধিক বিষয়। এসব বিষয়
উল্লেখের সময় কারও নাম বলা হয়নি। জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হোসাইন মানবজমিনকে বলেন, আড়াই মাস
পর প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। কিন্তু কাউকেই শনাক্ত করতে পারিনি। অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু তার জন্য তো প্রমাণ দরকার হয়। যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বলা হয়েছিল
তারা দুর্নীতি করে, তাদের ব্যাপারে অভিযোগ সত্য নয়। প্রসঙ্গত, গত বছরের
১৪ই অক্টোবর চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায় বস্তাসহ এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া
যায় ৫৮ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার
কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুর্নীতিবাজ ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের
ব্যাপারে তদন্ত করে জেলা প্রশাসক। পুলিশ জানায়, নগরীর কোতোয়ালি থানার এসআই
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান টাকা নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় ইলিয়াছের বিরুদ্ধে
মুদ্রা পাচারের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন। বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। জানা
যায়, চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এক সার্ভেয়ারকে ৫৮ লাখ
টাকার ঘুষ দিতে গিয়ে এ ঘটনা ফাঁস হয়। পরে এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে বদলি
করেছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ধদিন ধরে সেখানে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে জমির
জালিয়াতির কারবার করে আসছে। একজন সার্ভেয়ারকে এত টাকা ঘুষ দেয়ার ঘটনায়
প্রতি সপ্তাহে সেখানে এক কোটি টাকারও বেশি অবৈধ লেনদেন হচ্ছে বলে মনে করা
হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার শহীদুল ইসলাম মুরাদকে সেদিন এসব টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে গিয়ে ধরা পড়েন ইলিয়াছ নামের অপর ব্যক্তি। মূলত নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিংরোড প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হকুম দখল করা জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ এসব টাকা দেয়ার কথা ছিল। বর্তমানে নগর ও জেলা এলাকায় ৫০টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। মুরাদ নামের ওই সার্ভেয়ার এর আগে নগরীর চান্দাগাঁও ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। মুরাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কেবল তিনি নন, তার মতো এমন আরও ১০-১২ জনের একটি চক্র রয়েছে, যারা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে কমিশন-বাণিজ্য করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে প্রকল্পের জন্য ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা ঘটে, সেই চিটাগাং সিটি আউটার রিংরোডের ২৩ দশমিক ৪৭ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। যার ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় ধরা হয় ১২৫ কোটি টাকা। ঘুষ-বাণিজ্যের ঘটনা ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষ শিগগিরই সেখানে ৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখাটি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য ঘুষের হাট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ইতিমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানে কেশব লাল চৌধুরী নামের অপর এক ব্যক্তির ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার কথা ফাঁস হয়ে পড়লে গত ৩ মাস আগে তাকে বদলি করা হয়। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মনজুর মোরশেদ মানবজমিনকে বলেন, ভূমি অফিসের অনিয়ম নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। তবে আমরা লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার শহীদুল ইসলাম মুরাদকে সেদিন এসব টাকা ঘুষ হিসেবে দিতে গিয়ে ধরা পড়েন ইলিয়াছ নামের অপর ব্যক্তি। মূলত নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিংরোড প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হকুম দখল করা জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ এসব টাকা দেয়ার কথা ছিল। বর্তমানে নগর ও জেলা এলাকায় ৫০টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। মুরাদ নামের ওই সার্ভেয়ার এর আগে নগরীর চান্দাগাঁও ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। মুরাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কেবল তিনি নন, তার মতো এমন আরও ১০-১২ জনের একটি চক্র রয়েছে, যারা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে কমিশন-বাণিজ্য করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে প্রকল্পের জন্য ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা ঘটে, সেই চিটাগাং সিটি আউটার রিংরোডের ২৩ দশমিক ৪৭ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। যার ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় ধরা হয় ১২৫ কোটি টাকা। ঘুষ-বাণিজ্যের ঘটনা ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষ শিগগিরই সেখানে ৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখাটি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য ঘুষের হাট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ইতিমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানে কেশব লাল চৌধুরী নামের অপর এক ব্যক্তির ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার কথা ফাঁস হয়ে পড়লে গত ৩ মাস আগে তাকে বদলি করা হয়। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মনজুর মোরশেদ মানবজমিনকে বলেন, ভূমি অফিসের অনিয়ম নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। তবে আমরা লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
No comments