নেতাদের বক্তব্যে শুধুই খালেদা by আবদুর রশিদ ও একরামুল হুদা
রাজধানীর
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত সমাবেশে আওয়ামী লীগের যে কয়জন
নেতা বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের বক্তব্যজুড়ে ছিল খালেদা
জিয়ার প্রতি তীব্র সমালোচনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য,
উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, নেতা ও ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য দেন। তাঁদের
বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, যুদ্ধাপরাধের বিচার, অবরোধসহ বর্তমান
রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারতের বিজেপির সভাপতির সঙ্গে খালেদার জিয়ার
ফোনালাপ—ইত্যাদি থাকলেও এসব প্রসঙ্গ ছাপিয়ে খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে
তারেক রহমান প্রসঙ্গই মুখ্য হয়ে ওঠে। নেতাদের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে
কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের নেতারাও। সমাবেশে খালেদা জিয়ার
সবকিছু নকল বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের
সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার জন্মদিন
ভুয়া, টেলিফোন ভুয়া। আপনার চুল নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আপনার চুলও
ভুয়া। আপনি ভেজাল নেত্রী। আপনার চুল থেকে নখ পর্যন্ত সব নকল।’
বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘খবর পাইছেন তো? ...খালেদা জিয়া হাতে-নাতে ধরা খাইছে। কাপড়ে-চোপড়ে ধরা খাইছে।’ তারেক রহমান সম্পর্কে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ আপনার পোলা লন্ডনে অত্যন্ত বাজে কথা কয়। বাংলার মানুষের পক্ষ থেকে ওই খালেদার পোলা তারেক জিয়াকে বাংলার মাটিতে চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমও খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সন্ত্রাসীদের গডফাদার। তাঁর ছেলে উন্মাদ। ব্রিটিশ সরকারের কাছে অনুরোধ, তারা যেন তাঁর চিকিৎসা করে। যদি তারা চিকিৎসা করতে না পারে তাহলে আমাদের দিয়ে দেওয়া হোক। আমরা জানি কীভাবে পাগলের চিকিৎসা করতে হয়। সারা জীবনে আর কোনো পাগলামি করবে না।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘এরা মিথ্যাবাদীর দল। গোটা জাতিকে প্রেস রিলিজ, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের টেলিফোন নিয়ে অপমানিত করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘খাট পালং বিছানাপত্র নিয়ে উনি ওখানে পিকনিক করছেন, বনভোজন করছেন। আর গোটা জাতিকে সন্ত্রাস দিয়ে নির্যাতন করছেন।’
সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘এটা সুস্থ রাজনীতির জায়গা। জনগণ এদের ধাওয়া করবে। এদের যতদিন বিতাড়িত করা না যাবে, ততদিন দেশে স্বস্তি আসবে না।’ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আগে ছিলেন বিশ্ব বেহায়া। এবার ধরা পড়ে গেছেন বিশ্ব মিথ্যাবাদী। জানেন তো, এটা কে? এটা খালেদা জিয়া। তিনি এখন ইন্টারন্যাশনাল টাউটগিরি করছেন।’ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া বলেন, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারির আগে নির্বাচন হবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক তারেক জিয়াকে ‘লাদেন’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকজন লন্ডনে বসে লাদেন সেজেছেন। কার সম্পর্কে উক্তি করেছেন? আমার আরেকবার যুদ্ধে যেতে ইচ্ছে করে নেত্রী (শেখ হাসিনা)। আপনি (খালেদা জিয়া) মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এসব করছেন। আপনি মামলা থেকে রেহাই পাবেন না, পাবেন না, ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশের প্রথমেই বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনিও খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্য বিমোচন করে উন্নতির দিকে যাচ্ছে, তখনই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নাটক শুরু করেছেন। সারা বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। পেট্রলবোমা, গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।’
খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে বসে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন এবং জনগণ সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের নামে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তারা দেউলিয়া সংগঠনের পরিচয় দিয়েছে। খালেদা জিয়ার ওপর ভূত চেপেছে। ছাত্রলীগ জানে কীভাবে সেই ভূত ছাড়াতে হয়। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, জাতির জনককে নিয়ে লন্ডনে বসে যে বেয়াদব মিথ্যা রটনা করছেন, ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাঁদের কোথাও সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
সকালে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মাসুদুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগরে সমাবেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ডিএমপি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বেলা একটা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকেন। মঞ্চের মাইক থেকে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানানো হয়।
বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘খবর পাইছেন তো? ...খালেদা জিয়া হাতে-নাতে ধরা খাইছে। কাপড়ে-চোপড়ে ধরা খাইছে।’ তারেক রহমান সম্পর্কে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ আপনার পোলা লন্ডনে অত্যন্ত বাজে কথা কয়। বাংলার মানুষের পক্ষ থেকে ওই খালেদার পোলা তারেক জিয়াকে বাংলার মাটিতে চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমও খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সন্ত্রাসীদের গডফাদার। তাঁর ছেলে উন্মাদ। ব্রিটিশ সরকারের কাছে অনুরোধ, তারা যেন তাঁর চিকিৎসা করে। যদি তারা চিকিৎসা করতে না পারে তাহলে আমাদের দিয়ে দেওয়া হোক। আমরা জানি কীভাবে পাগলের চিকিৎসা করতে হয়। সারা জীবনে আর কোনো পাগলামি করবে না।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘এরা মিথ্যাবাদীর দল। গোটা জাতিকে প্রেস রিলিজ, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের টেলিফোন নিয়ে অপমানিত করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘খাট পালং বিছানাপত্র নিয়ে উনি ওখানে পিকনিক করছেন, বনভোজন করছেন। আর গোটা জাতিকে সন্ত্রাস দিয়ে নির্যাতন করছেন।’
সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘এটা সুস্থ রাজনীতির জায়গা। জনগণ এদের ধাওয়া করবে। এদের যতদিন বিতাড়িত করা না যাবে, ততদিন দেশে স্বস্তি আসবে না।’ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আগে ছিলেন বিশ্ব বেহায়া। এবার ধরা পড়ে গেছেন বিশ্ব মিথ্যাবাদী। জানেন তো, এটা কে? এটা খালেদা জিয়া। তিনি এখন ইন্টারন্যাশনাল টাউটগিরি করছেন।’ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া বলেন, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারির আগে নির্বাচন হবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক তারেক জিয়াকে ‘লাদেন’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকজন লন্ডনে বসে লাদেন সেজেছেন। কার সম্পর্কে উক্তি করেছেন? আমার আরেকবার যুদ্ধে যেতে ইচ্ছে করে নেত্রী (শেখ হাসিনা)। আপনি (খালেদা জিয়া) মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এসব করছেন। আপনি মামলা থেকে রেহাই পাবেন না, পাবেন না, ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশের প্রথমেই বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনিও খালেদা জিয়াকে নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্য বিমোচন করে উন্নতির দিকে যাচ্ছে, তখনই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নাটক শুরু করেছেন। সারা বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। পেট্রলবোমা, গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।’
খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে বসে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন এবং জনগণ সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের নামে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তারা দেউলিয়া সংগঠনের পরিচয় দিয়েছে। খালেদা জিয়ার ওপর ভূত চেপেছে। ছাত্রলীগ জানে কীভাবে সেই ভূত ছাড়াতে হয়। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, জাতির জনককে নিয়ে লন্ডনে বসে যে বেয়াদব মিথ্যা রটনা করছেন, ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাঁদের কোথাও সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
সকালে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মাসুদুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগরে সমাবেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ডিএমপি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বেলা একটা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকেন। মঞ্চের মাইক থেকে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানানো হয়।
No comments