মংলা-ঘষিয়াখালীর ৩২ খাল বেদখল by সুমেল সারাফাত
মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথের সঙ্গে যুক্ত ৩২
খালের বিভিন্ন অংশ দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হয়ে আছে। সেগুলো দখলমুক্ত না করেই এ
নৌপথ চালুর জন্য খননকাজ শুরু করা হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব খালে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করে আসছেন।
ফলে ক্রমে খালগুলো মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্র
মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য সরকার বেশ কয়েকটি আবাসন ও আশ্রয়ণ প্রকল্প
নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া খালগুলোর ওপর বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫০টি ছোট সেতু ও
কালভার্ট নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন
কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা বলছেন, মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ আবার
চালু করার ক্ষেত্রে এসব সেতু-কালভার্টও একটা প্রতিবন্ধকতা।
(মংলা
বন্দরের মূল নৌপথ চালু করতে ঘষিয়াখালী চ্যানেল খননের উদ্যোগ নিয়েছে
সরকার। কিন্তু খালে পলি পড়ে ভরাট হওয়া অংশে গড়ে উঠেছে স্থাপনা,
চিংড়িঘের, সেতু-কালভার্ট ও আবাসন প্রকল্প। ছবিগুলো যথাক্রমে রামপালের
পুঁটিমারী, দাউদখালী ও রমজায়ীপুর খালের। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো)
মংলা ও রামপাল উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর
থেকে ৩২ খালের মধ্যে ২৩টি খালের ওপর অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করে
স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল পর্যন্ত মংলা উপজেলার ১০টি সংযোগ খালের ওপর ৩৮টি
অবৈধ বাঁধ এবং রামপাল উপজেলার ১৩টি খালের ওপর ১০১টি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছে
উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রভাবশালী ঘের মালিকেরা এসব বাঁধ অবৈধভাবে স্থাপন করেছিলেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রামপাল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
একইভাবে এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে উপজেলা বিএনপির নেতারা খালগুলো আটকে চিংড়ি চাষ করতেন। এসব বাঁধ অপসারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত চিংড়িঘেরগুলোতে হাত দেওয়া হয়নি। মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মংলা নদীর ডান পাশে নদীসংলগ্ন চরে উপজেলার মাছমারা, নারকেলতলা, মাকড়ঢোন ও উলুবুনিয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে সাতটি সরকারি আবাসন প্রকল্প। উলুবুনিয়া ও বুড়িরডাঙ্গা এলাকায় একেবারে নদীসংলগ্ন চরে মাটি ভরাট শেষ। খুব শিগগির সেখানে আরও দুটি আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। একইভাবে রামপাল নদীসংলগ্ন উপজেলায় সিকিরডাঙ্গা আবাসন প্রকল্প-১, সিকিরডাঙ্গা আবাসন প্রকল্প-২,ও বাঁশতলী আবাসন প্রকল্প নামে আরও তিনটি সরকারি আবাসন প্রকল্প রয়েছে। আর দাউদখালী নদীতে রয়েছে শ্রীফলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ আবাসন প্রকল্পে প্রায় এক হাজার দরিদ্র পরিবার বসবাস করছে। ২০০৭ সাল থেকে এসব আবাসন গড়ার কাজ শুরু হয়।
মংলা উপজেলার মালগাজী এলাকার তহশিলদার টিটুল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘এস এ রেকর্ড অনুযায়ী ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা রেখেই নদী তীরবর্তী যে জায়গা আমরা খাস হিসেবে চিহ্নিত করেছি, তার মধ্যে এসব আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামগুলো পড়েছে।’ এসব স্থাপনা মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ চালুতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে কি না—জানতে চাইলে মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু বলা হয়নি।’
জানতে চাইলে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, খালগুলো খনন ও দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাধা আসেনি। তিনি বলেন, খালগুলো উদ্ধার করে পুরো মাত্রায় খননের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। সরকারের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া খননের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিকও পাচ্ছেন না তাঁরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রভাবশালী ঘের মালিকেরা এসব বাঁধ অবৈধভাবে স্থাপন করেছিলেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রামপাল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
একইভাবে এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে উপজেলা বিএনপির নেতারা খালগুলো আটকে চিংড়ি চাষ করতেন। এসব বাঁধ অপসারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত চিংড়িঘেরগুলোতে হাত দেওয়া হয়নি। মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মংলা নদীর ডান পাশে নদীসংলগ্ন চরে উপজেলার মাছমারা, নারকেলতলা, মাকড়ঢোন ও উলুবুনিয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে সাতটি সরকারি আবাসন প্রকল্প। উলুবুনিয়া ও বুড়িরডাঙ্গা এলাকায় একেবারে নদীসংলগ্ন চরে মাটি ভরাট শেষ। খুব শিগগির সেখানে আরও দুটি আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। একইভাবে রামপাল নদীসংলগ্ন উপজেলায় সিকিরডাঙ্গা আবাসন প্রকল্প-১, সিকিরডাঙ্গা আবাসন প্রকল্প-২,ও বাঁশতলী আবাসন প্রকল্প নামে আরও তিনটি সরকারি আবাসন প্রকল্প রয়েছে। আর দাউদখালী নদীতে রয়েছে শ্রীফলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ আবাসন প্রকল্পে প্রায় এক হাজার দরিদ্র পরিবার বসবাস করছে। ২০০৭ সাল থেকে এসব আবাসন গড়ার কাজ শুরু হয়।
মংলা উপজেলার মালগাজী এলাকার তহশিলদার টিটুল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘এস এ রেকর্ড অনুযায়ী ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা রেখেই নদী তীরবর্তী যে জায়গা আমরা খাস হিসেবে চিহ্নিত করেছি, তার মধ্যে এসব আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামগুলো পড়েছে।’ এসব স্থাপনা মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ চালুতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে কি না—জানতে চাইলে মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু বলা হয়নি।’
জানতে চাইলে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, খালগুলো খনন ও দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাধা আসেনি। তিনি বলেন, খালগুলো উদ্ধার করে পুরো মাত্রায় খননের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। সরকারের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া খননের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিকও পাচ্ছেন না তাঁরা।
No comments