পরীক্ষা হোক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম by মোঃ সিদ্দিকুর রহমান
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের
ব্যথিত মনে লেখা ‘দোহাই আমাদের শিশুদের ক্রিমিনাল বানাবেন না’ কলামটি পড়ে
অনেকটা আশান্বিত হয়েছি। সমাপনী পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতিবছর লিখে
আসছি। সংশ্লিষ্টরা বাস্তবতা অনুধাবন না করে নিজের মতো করে সমাপনী পরীক্ষা
চালিয়ে যাচ্ছেন। মনে হয়েছিল, ছোট্ট সোনামণিদের পরীক্ষা নিয়ে বাস্তবতা এবং
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবালের দুটি কলাম কর্তৃপক্ষকে
অনুপ্রাণিত করবে। বৃথা প্রত্যাশা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক
প্রতিক্রিয়া জানানো হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাস্তবতা
অস্বীকার করা হয়। তাদের কার্যক্রম নেতিবাচক। পরীক্ষা নিয়ে পরামর্শ গ্রহণ
অরণ্যে রোদনে পরিণত হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি শিক্ষানীতিবহির্ভূত শিশুদের এ পরীক্ষাকে কর্তাব্যক্তিদের উর্বর মস্তিষ্কের ফসল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমি এর সঙ্গে যোগ করতে চাই, পরীক্ষা কিছু আর্থিক লাভবান হওয়ার সুযোগও বটে। কারণ এ পরীক্ষা সর্বস্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টিএ, ডিএ সম্মানী হিসেবে বিপুল অর্থের জোগান দিয়ে থাকে। যেখানে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা খরচ বাবদ নেয়া হয় সামান্য টাকা, সেখানে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের কাছ থেকে নেয়া হয় ষাট টাকা। অনেক ক্ষেত্রে গরিব ও অসচ্ছল অভিভাবকদের টাকা শিক্ষকরা বহন করে। শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক, কিন্তু পরীক্ষা ব্যবস্থায় টাকা প্রয়োজন। বিষয়টি পরস্পরবিরোধী নয় কি?
পরীক্ষা ব্যবস্থায় আরও গলদ রয়েছে। পরীক্ষা খাতার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য খাতা প্রতি ১ টাকা করে সর্বমোট ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অথচ বাংলা পরীক্ষায় অনেকটা সুকৌশলে ফরম পূরণে নাম লিখতে দিয়ে গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করা হয়েছে। এভাবে একটি স্বার্থান্বেষী চক্রকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সমাপনী পরীক্ষার জন্য শিশু শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ আগস্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা সমাপনীর কাজে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করেন।
সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ আরও নানা কাজে ব্যস্ততার দরুন অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের শেষাংশ খুব ভালো করে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। শিক্ষকরা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতা দেখা, নিরীক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করতে না করতেই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের কাক্সিক্ষত যোগ্যতা অর্জন সম্ভব হয় না। নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান পরিপূর্ণ না করে, তাদের দুর্বল রেখে শিক্ষক, অভিভাবক সবাই ছোটে ভালো ফলের জন্য। গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার মতো অবস্থা আর কী!
২০১৩ সালেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তবে এবারের মতো এত ব্যাপক নয়। সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁস অনেকটা মহামারী আকার ধারণ করে। বেশিরভাগ পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। ২০১৩ সালের মার্কিং স্কিমে বানান কাটা নিয়ে লিখেছিলাম। তবে মার্কিং স্কিমে এবার শুধু বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, প্রাথমিক বিজ্ঞান এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে বানান ভুলের জন্য নম্বর না কাটার নির্দেশনা আছে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ৫টি বানান ভুলের জন্য ১ নম্বর কাটার নির্দেশনা এসেছে। প্রশ্নপত্রের উত্তরমালা এতই সংক্ষিপ্ত যে, ৫টি ভুল বানান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। রচনা Short Composition প্রশ্নের উত্তর লেখা বা সঠিক লেখার মধ্যে মানের কোনো তারতম্য নেই। এতে দুর্বল ও মেধাবী ছাত্রদের মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে হয়তো সংশ্লিষ্টরা অধিকতর সতর্ক পদ্ধতি অবলম্বন করলে সফল হবেন। আজকাল অধিকতর সুনাম বা বাহবা কুড়ানোর জন্য আমরা সবাই ছুটছি ভালো ফলের জন্য। আমরা কি ভাবছি এ ভালো ফল আমাদের কতটুকু শেখাচ্ছে? এ থেকে আমরা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করছি? শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য পরীক্ষায় ভালো ফল নয়, সঠিক জ্ঞান অর্জন করা। এ লক্ষ্য সামনে রেখে পরীক্ষা ব্যবস্থায় আশু পরিবর্তন জরুরি।
বর্তমানে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত সব পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ করেও শিক্ষার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। আমাদের সময়ে শিক্ষকরা পড়া শিখিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করতে দিত। এখনও শিক্ষকরা এ ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে বইয়ের অধ্যায়ভিত্তিক অনুশীলনীগুলো পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা না বাড়িয়ে প্রতিটি অধ্যায়ে কাক্সিক্ষত যোগ্যতা অর্জনে অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নপুস্তিকা স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করা যেতে পারে। শিক্ষকরা সে মোতাবেক অধ্যায় শেষ করে পরীক্ষা নিতে পারে। সে প্রশ্নপুস্তিকা হবে পাঠ্যবইয়ের আলোকে, যাতে শিক্ষার্থীকে নোট বা গাইডবই পড়তে না হয়।
অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের দেয়া হলে তারা পরিপূর্ণভাবে পাঠের অংশটি আয়ত্ত করতে পারবে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হবে ভালো ফল বা ফেল করানো নয়, জ্ঞান অর্জন করা। যে শিক্ষার্থী কাক্সিক্ষত জ্ঞান অর্জন করেনি, তাদের বিশেষ পাঠ বা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষকদের মানসম্মত জীবনযাপনের ব্যবস্থা করা। সর্বাগ্রে জাতীয় বাজেটে শিক্ষার জন্য কৃপণতা পরিহার করতে হবে। ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর তথাকথিত পরীক্ষার নামে অপব্যয় বন্ধ করে সরকার বিরাট বরাদ্দ বাঁচাতে পারে। হয়তো আমরা অনেকে টিএ, ডিএ বা সম্মানী থেকে বঞ্চিত হব। বিনিময়ে শিশু শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে যোগ্যতাসম্পন্ন ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে। বিনিময়টা মন্দ হবে না। আশা করি সংশ্লিষ্টরা তা অনুধাবন করতে পারবেন।
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান : সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি
জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি শিক্ষানীতিবহির্ভূত শিশুদের এ পরীক্ষাকে কর্তাব্যক্তিদের উর্বর মস্তিষ্কের ফসল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমি এর সঙ্গে যোগ করতে চাই, পরীক্ষা কিছু আর্থিক লাভবান হওয়ার সুযোগও বটে। কারণ এ পরীক্ষা সর্বস্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টিএ, ডিএ সম্মানী হিসেবে বিপুল অর্থের জোগান দিয়ে থাকে। যেখানে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা খরচ বাবদ নেয়া হয় সামান্য টাকা, সেখানে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের কাছ থেকে নেয়া হয় ষাট টাকা। অনেক ক্ষেত্রে গরিব ও অসচ্ছল অভিভাবকদের টাকা শিক্ষকরা বহন করে। শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক, কিন্তু পরীক্ষা ব্যবস্থায় টাকা প্রয়োজন। বিষয়টি পরস্পরবিরোধী নয় কি?
পরীক্ষা ব্যবস্থায় আরও গলদ রয়েছে। পরীক্ষা খাতার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য খাতা প্রতি ১ টাকা করে সর্বমোট ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অথচ বাংলা পরীক্ষায় অনেকটা সুকৌশলে ফরম পূরণে নাম লিখতে দিয়ে গোপনীয়তা রক্ষার চেষ্টাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করা হয়েছে। এভাবে একটি স্বার্থান্বেষী চক্রকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সমাপনী পরীক্ষার জন্য শিশু শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ আগস্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা সমাপনীর কাজে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করেন।
সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ আরও নানা কাজে ব্যস্ততার দরুন অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের শেষাংশ খুব ভালো করে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। শিক্ষকরা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতা দেখা, নিরীক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করতে না করতেই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের কাক্সিক্ষত যোগ্যতা অর্জন সম্ভব হয় না। নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান পরিপূর্ণ না করে, তাদের দুর্বল রেখে শিক্ষক, অভিভাবক সবাই ছোটে ভালো ফলের জন্য। গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার মতো অবস্থা আর কী!
২০১৩ সালেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তবে এবারের মতো এত ব্যাপক নয়। সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁস অনেকটা মহামারী আকার ধারণ করে। বেশিরভাগ পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। ২০১৩ সালের মার্কিং স্কিমে বানান কাটা নিয়ে লিখেছিলাম। তবে মার্কিং স্কিমে এবার শুধু বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, প্রাথমিক বিজ্ঞান এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে বানান ভুলের জন্য নম্বর না কাটার নির্দেশনা আছে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ৫টি বানান ভুলের জন্য ১ নম্বর কাটার নির্দেশনা এসেছে। প্রশ্নপত্রের উত্তরমালা এতই সংক্ষিপ্ত যে, ৫টি ভুল বানান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। রচনা Short Composition প্রশ্নের উত্তর লেখা বা সঠিক লেখার মধ্যে মানের কোনো তারতম্য নেই। এতে দুর্বল ও মেধাবী ছাত্রদের মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে হয়তো সংশ্লিষ্টরা অধিকতর সতর্ক পদ্ধতি অবলম্বন করলে সফল হবেন। আজকাল অধিকতর সুনাম বা বাহবা কুড়ানোর জন্য আমরা সবাই ছুটছি ভালো ফলের জন্য। আমরা কি ভাবছি এ ভালো ফল আমাদের কতটুকু শেখাচ্ছে? এ থেকে আমরা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করছি? শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য পরীক্ষায় ভালো ফল নয়, সঠিক জ্ঞান অর্জন করা। এ লক্ষ্য সামনে রেখে পরীক্ষা ব্যবস্থায় আশু পরিবর্তন জরুরি।
বর্তমানে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত সব পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ করেও শিক্ষার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। আমাদের সময়ে শিক্ষকরা পড়া শিখিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করতে দিত। এখনও শিক্ষকরা এ ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে বইয়ের অধ্যায়ভিত্তিক অনুশীলনীগুলো পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা না বাড়িয়ে প্রতিটি অধ্যায়ে কাক্সিক্ষত যোগ্যতা অর্জনে অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নপুস্তিকা স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করা যেতে পারে। শিক্ষকরা সে মোতাবেক অধ্যায় শেষ করে পরীক্ষা নিতে পারে। সে প্রশ্নপুস্তিকা হবে পাঠ্যবইয়ের আলোকে, যাতে শিক্ষার্থীকে নোট বা গাইডবই পড়তে না হয়।
অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের দেয়া হলে তারা পরিপূর্ণভাবে পাঠের অংশটি আয়ত্ত করতে পারবে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হবে ভালো ফল বা ফেল করানো নয়, জ্ঞান অর্জন করা। যে শিক্ষার্থী কাক্সিক্ষত জ্ঞান অর্জন করেনি, তাদের বিশেষ পাঠ বা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষকদের মানসম্মত জীবনযাপনের ব্যবস্থা করা। সর্বাগ্রে জাতীয় বাজেটে শিক্ষার জন্য কৃপণতা পরিহার করতে হবে। ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর তথাকথিত পরীক্ষার নামে অপব্যয় বন্ধ করে সরকার বিরাট বরাদ্দ বাঁচাতে পারে। হয়তো আমরা অনেকে টিএ, ডিএ বা সম্মানী থেকে বঞ্চিত হব। বিনিময়ে শিশু শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে যোগ্যতাসম্পন্ন ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে। বিনিময়টা মন্দ হবে না। আশা করি সংশ্লিষ্টরা তা অনুধাবন করতে পারবেন।
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান : সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি
No comments