২০১৪: আত্ম-অনিশ্চয়তার বছর
(ইউক্রেনের
গোলযোগপূর্ণ দনেতস্ক নগরে নতুন বছরের ছুটি কাটাতে জড়ো হয়েছে লোকজন।
ছবিটি বৃহস্পতিবার তোলা। ২০১৪ সাল মোটেও ভালো কাটেনি তাদের। ছবি: এএফপি) যাই
যাই করছে ২০১৪। সংকট, সন্ত্রাস, অঘটন, দুর্ঘটনা, ব্যাধিসহ নানা কারণে
বছরটি আলোচিত। শেষ বেলায় এসে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলতে হয়, অনিশ্চয়তার
মধ্য দিয়ে কাটল বছরটি। বছরজুড়ে বিশ্ব রাজনীতি টালমাটাল ছিল
ইউক্রেন-সংকট নিয়ে। এই সুবাদে আরেকবার স্নায়ুযুদ্ধের ছায়া দেখেছে
বিশ্ববাসী। অঞ্চলটিতে মালয়েশিয়ার বিমান ভূপতিত হয়ে ২৯৮ আরোহী নিহত হলে
সংকট রূপ নেয় শোকে। তবু ইউক্রেন অশান্ত। বছর পেরিয়ে আগামীতেও এই সংকটের
রেশ রয়ে যাবে।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের এমএইচ৩৭০ বিমানটি নিখোঁজ হয় ৮ মার্চ। বিমানে ছিলেন ২৩৯ জন আরোহী। বিমানটি নিখোঁজ হওয়া নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। অনেক তত্ত্ব-তালাশের পরও সেই রহস্যের কিনারা হয়নি। নিখোঁজ আরোহীদের জন্য এখনো অপেক্ষায় তাঁদের স্বজনেরা।
সন্ত্রাসবাদে এ বছর ব্যাপক রক্ত ঝরেছে। ইরাক ও সিরিয়ায় ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান দেখেছে বিশ্ব। তারা রীতিমতো ‘খেলাফত’ পর্যন্ত ঘোষণা করেছে। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা, গণহত্যা, নির্যাতন, বিদেশিদের শিরশ্ছেদসহ নানা ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে আইএস। গোষ্ঠীটিকে দমনে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। আইএস নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেল।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা, নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, সোমালিয়ার আল শাবাব, আফগান তালেবান, পাকিস্তান তালেবান সারা বছরই খবরে ছিল। একের পর এক হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়েছে তারা। সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে তালেবান হামলায় ১৩২ স্কুলশিশুসহ প্রায় দেড় শ মানুষ নিহত হয়।
জাতিগত ও বর্ণবাদী বিদ্বেষে কাতর ছিল বিশ্ব। কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ বিদ্বেষের চরম রূপ দেখে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া দেশটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা ছিল হৃদয়বিদারক। অন্যান্য দেশ থেকেও এ ধরনের সহিংসতার খবর এসেছে।
সারা বছরই ইবোলা ভাইরাসে তটস্থ ছিল পুরো বিশ্ব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাড়ে সাত হাজার মানুষের প্রাণ গেছে এই মরণঘাতী ভাইরাসের ছোবলে।
স্কটল্যান্ড, স্পেনের কাটালোনিয়া, হংকং প্রভৃতি স্থান থেকে স্বাধীনতার জন্য হাহাকার শোনা গেছে। এ বিদ্যমান শাসনকাঠামোয় বেড়েছে অস্থিরতা।
বিখ্যাত টাইম সাময়িকী ২০১৪ সালকে ‘সেলফি’ বছর হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে। বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির সম্পাদক জন সিম্পসনের মূল্যায়নে এ ছিল এক উত্কণ্ঠার, অস্থিরতার বছর। ২০১৪ সালের সত্যিকারের সেলফি হলো—‘আত্ম-অনিশ্চয়তা’।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের এমএইচ৩৭০ বিমানটি নিখোঁজ হয় ৮ মার্চ। বিমানে ছিলেন ২৩৯ জন আরোহী। বিমানটি নিখোঁজ হওয়া নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। অনেক তত্ত্ব-তালাশের পরও সেই রহস্যের কিনারা হয়নি। নিখোঁজ আরোহীদের জন্য এখনো অপেক্ষায় তাঁদের স্বজনেরা।
সন্ত্রাসবাদে এ বছর ব্যাপক রক্ত ঝরেছে। ইরাক ও সিরিয়ায় ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান দেখেছে বিশ্ব। তারা রীতিমতো ‘খেলাফত’ পর্যন্ত ঘোষণা করেছে। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা, গণহত্যা, নির্যাতন, বিদেশিদের শিরশ্ছেদসহ নানা ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে আইএস। গোষ্ঠীটিকে দমনে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। আইএস নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেল।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা, নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, সোমালিয়ার আল শাবাব, আফগান তালেবান, পাকিস্তান তালেবান সারা বছরই খবরে ছিল। একের পর এক হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়েছে তারা। সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে তালেবান হামলায় ১৩২ স্কুলশিশুসহ প্রায় দেড় শ মানুষ নিহত হয়।
জাতিগত ও বর্ণবাদী বিদ্বেষে কাতর ছিল বিশ্ব। কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ বিদ্বেষের চরম রূপ দেখে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গের করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া দেশটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা ছিল হৃদয়বিদারক। অন্যান্য দেশ থেকেও এ ধরনের সহিংসতার খবর এসেছে।
সারা বছরই ইবোলা ভাইরাসে তটস্থ ছিল পুরো বিশ্ব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাড়ে সাত হাজার মানুষের প্রাণ গেছে এই মরণঘাতী ভাইরাসের ছোবলে।
স্কটল্যান্ড, স্পেনের কাটালোনিয়া, হংকং প্রভৃতি স্থান থেকে স্বাধীনতার জন্য হাহাকার শোনা গেছে। এ বিদ্যমান শাসনকাঠামোয় বেড়েছে অস্থিরতা।
বিখ্যাত টাইম সাময়িকী ২০১৪ সালকে ‘সেলফি’ বছর হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে। বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির সম্পাদক জন সিম্পসনের মূল্যায়নে এ ছিল এক উত্কণ্ঠার, অস্থিরতার বছর। ২০১৪ সালের সত্যিকারের সেলফি হলো—‘আত্ম-অনিশ্চয়তা’।
No comments