বাণিজ্যমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আয়োজকরা
বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আসর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১৫ (ডিআইটিএফ) শুরু হচ্ছে ১লা জানুয়ারি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত এবারের মেলায় চারটি মহাদেশের ১৪টি দেশ অংশ নিচ্ছে। তবে মাসব্যাপী এ মেলা খানিকটা অনিশ্চয়তায় পড়েছে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, আগামী ৫ই জানুয়ারি ঘিরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে প্রধান দুই জোট। কিন্তু ৫ তারিখের আগেই এখনই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতির মাঠ উত্তাপ হতে শুরু করেছে। এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। তাদের ধারণা, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গতবার ১০ দিন পিছিয়ে ১১ই জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করা হয়। এ অবস্থায় এবারও ১লা জানুয়ারি মাসব্যাপী এ মেলা শুরু করা যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। আর শুরু করা গেলেও মেলা নাও জমতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। অবশ্য মেলা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
গত বছরের ৫ই জানুয়ারি ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে এবার একই দিনে কর্মসূচি ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দুই জোটই। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের কালো দিবস’ হিসেবে পালন করবে। সারা দেশে বিক্ষোভের পাশাপাশি ওই দিন ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জোট। এর দু’দিন আগে ৩রা জানুয়ারিতেও ঢাকায় সমাবেশ করার কথা ২০ দলীয় জোটের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশসহ সারা দেশে বিজয় মিছিল করবে তারা। ফলে এক ধরনের অনিশ্চয়তা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে মনে করেন মেলায় অংশ নেয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা।
এদিকে চলতি বছর ব্যবসায়ীরা এমনিতেই মন্দা সময় পার করেছেন। তার ওপর চড়া দামে স্টল, প্যাভিলিয়ন নিয়ে তাদের কোন লাভ হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কিত তারা। এ কারণে মেলা শুরুর আর কয়েক দিন হাতে থাকলেও এখনও অনেক স্টল-প্যাভিলিয়নের অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনও আশাবাদী শেষ সময়ে এসেও স্টল-প্যাভিলিয়ন বিক্রি হতে পারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র একটি সূত্রে জানা গেছে, মেলা শুরুর এক সপ্তাহ আগেও স্টল আর প্যাভিলিয়ন নিয়ে বসে আছে ইপিবি। অংশগ্রহণকারীদের খুব বেশি সাড়া পাচ্ছে না ইপিবি। শুধু বিদেশী প্রতিষ্ঠান নয়, দেশী ব্যবসায়ীরাও শেষ মুহূর্তে এসে মেলায় স্টল বা প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নেয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন।
সূত্র মতে, মেলার অনেক প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোর বরাদ্দ এখনও শেষ হয়নি। এ ছাড়া প্রিমিয়ার স্টলের মধ্যে এখনও বেশ কয়েকটি চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ দিতে পারেনি ইপিবি। এমনকি দেশীয় বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর মেলায় বৃহৎ পরিসরের প্যাভিলিয়ন নিলেও তাদের আগ্রহ কম।
ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিস্ বসু মনে করেন, মেলা সুষ্ঠুভাবেই আয়োজন সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত ১লা জানুয়ারি উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি। ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তারা প্রায় ১৫টি দেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে নিশ্চিত।
এদিকে গতকাল মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে ইট বিছানো সড়কের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। সাধারণ স্টলের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও সাজসজ্জা শুরু করেননি ব্যবসায়ীরা। তবে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নসহ অন্যান্য প্যাভিলিয়নের নির্মাণ পুরোদমে চলছে। অবশ্য অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি। এবারের বাণিজ্যমেলায় ওয়ালটন প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন নিয়ে অংশ নিচ্ছে। দেখা গেল, ওয়ালটনের আড়াই তলাবিশিষ্ট প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ জোরেশোরে চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এর অবকাঠামো দাঁড়িয়ে গেলেও কিছু কাজ এখনও বাকি। প্যাভিলিয়নের দায়িত্বে রয়েছেন অপু রহমান। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত যা হয়েছে বাকিটুকু নির্ধারিত সময়ের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ইপিবি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে মাসব্যাপী ২০তম এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করছে। এবারের মেলায় সব মিলিয়ে ৫০৮টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে বিদেশীদের জন্য ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ১৯টি প্রিমিয়ার স্টল রাখা হয়েছে। একইভাবে দেশী প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৫৫টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৪টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ২৯টি ও সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ১৪টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রিমিয়ার স্টল ৫৬টি ও সাধারণ স্টল থাকবে ২২২টি। এবার মেলার গেট ইজারা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি দেড় লাখ টাকায়। গত বছর ছিল ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এবার মেলায় প্রবেশের টিকিটের হার আগের মতোই থাকবে। টিকিট বড়দের জন্য ৩০ টাকা এবং ছোটদের জন্য ২০ টাকা করা হবে। গত বছরে মেলায় ১২টি দেশ অংশ নিলেও এবার ১৪টি দেশ অংশ নিচ্ছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেজাউল করিম বলেন, গত জুন থেকে মেলার প্রস্তুতি কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সাধারণ স্টল ও বিদেশী স্টল ছাড়া অন্য স্টল ও প্যাভিলিয়নের প্রাথমিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই মেলার প্রস্তুতি শেষ করা সম্ভব হবে।
গত বছরের ৫ই জানুয়ারি ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে এবার একই দিনে কর্মসূচি ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দুই জোটই। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের কালো দিবস’ হিসেবে পালন করবে। সারা দেশে বিক্ষোভের পাশাপাশি ওই দিন ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জোট। এর দু’দিন আগে ৩রা জানুয়ারিতেও ঢাকায় সমাবেশ করার কথা ২০ দলীয় জোটের। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশসহ সারা দেশে বিজয় মিছিল করবে তারা। ফলে এক ধরনের অনিশ্চয়তা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে মনে করেন মেলায় অংশ নেয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা।
এদিকে চলতি বছর ব্যবসায়ীরা এমনিতেই মন্দা সময় পার করেছেন। তার ওপর চড়া দামে স্টল, প্যাভিলিয়ন নিয়ে তাদের কোন লাভ হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কিত তারা। এ কারণে মেলা শুরুর আর কয়েক দিন হাতে থাকলেও এখনও অনেক স্টল-প্যাভিলিয়নের অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনও আশাবাদী শেষ সময়ে এসেও স্টল-প্যাভিলিয়ন বিক্রি হতে পারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র একটি সূত্রে জানা গেছে, মেলা শুরুর এক সপ্তাহ আগেও স্টল আর প্যাভিলিয়ন নিয়ে বসে আছে ইপিবি। অংশগ্রহণকারীদের খুব বেশি সাড়া পাচ্ছে না ইপিবি। শুধু বিদেশী প্রতিষ্ঠান নয়, দেশী ব্যবসায়ীরাও শেষ মুহূর্তে এসে মেলায় স্টল বা প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নেয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন।
সূত্র মতে, মেলার অনেক প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোর বরাদ্দ এখনও শেষ হয়নি। এ ছাড়া প্রিমিয়ার স্টলের মধ্যে এখনও বেশ কয়েকটি চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ দিতে পারেনি ইপিবি। এমনকি দেশীয় বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর মেলায় বৃহৎ পরিসরের প্যাভিলিয়ন নিলেও তাদের আগ্রহ কম।
ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিস্ বসু মনে করেন, মেলা সুষ্ঠুভাবেই আয়োজন সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত ১লা জানুয়ারি উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি। ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তারা প্রায় ১৫টি দেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে নিশ্চিত।
এদিকে গতকাল মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে ইট বিছানো সড়কের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। সাধারণ স্টলের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও সাজসজ্জা শুরু করেননি ব্যবসায়ীরা। তবে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নসহ অন্যান্য প্যাভিলিয়নের নির্মাণ পুরোদমে চলছে। অবশ্য অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি। এবারের বাণিজ্যমেলায় ওয়ালটন প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন নিয়ে অংশ নিচ্ছে। দেখা গেল, ওয়ালটনের আড়াই তলাবিশিষ্ট প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ জোরেশোরে চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এর অবকাঠামো দাঁড়িয়ে গেলেও কিছু কাজ এখনও বাকি। প্যাভিলিয়নের দায়িত্বে রয়েছেন অপু রহমান। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত যা হয়েছে বাকিটুকু নির্ধারিত সময়ের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ইপিবি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে মাসব্যাপী ২০তম এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করছে। এবারের মেলায় সব মিলিয়ে ৫০৮টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে বিদেশীদের জন্য ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ১৯টি প্রিমিয়ার স্টল রাখা হয়েছে। একইভাবে দেশী প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৫৫টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৪টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ২৯টি ও সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ১৪টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রিমিয়ার স্টল ৫৬টি ও সাধারণ স্টল থাকবে ২২২টি। এবার মেলার গেট ইজারা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি দেড় লাখ টাকায়। গত বছর ছিল ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এবার মেলায় প্রবেশের টিকিটের হার আগের মতোই থাকবে। টিকিট বড়দের জন্য ৩০ টাকা এবং ছোটদের জন্য ২০ টাকা করা হবে। গত বছরে মেলায় ১২টি দেশ অংশ নিলেও এবার ১৪টি দেশ অংশ নিচ্ছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেজাউল করিম বলেন, গত জুন থেকে মেলার প্রস্তুতি কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সাধারণ স্টল ও বিদেশী স্টল ছাড়া অন্য স্টল ও প্যাভিলিয়নের প্রাথমিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই মেলার প্রস্তুতি শেষ করা সম্ভব হবে।
No comments