সোয়া ২ লাখ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৬
গাজীপুরের
টঙ্গী এবং চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ১৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৬
জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জাহিদুল ইসলাম ওরফে আলো
(৩৫), জসিম উদ্দিন রানা (৩৫), আবদুল মালেক রাসেল (২৭), মো. শাহেদ (২৪), মো.
জাবেদ (২৫) ও জাকির (২৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, একটি
প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেল ও ১৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জাহিদুল ইসলাম ওরফে আলো শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার
গভীর রাতে ও গতকাল ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে রাজধানীর উত্তরার
র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তাদের হাজির করা হয়। র্যাব-এর আইন ও
গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, চীন থেকে নৌযানে
করে ফ্লোট (ভাসানি) লাগানো মাছ ধরার জাল নিয়ে মিয়ানমারের জলসীমায় পৌঁছিয়ে
দিতো একটি গ্রুপ। সেখানে মাছ ধরার ছলে জালটি সাগরে ফেলে চলে যেতো তারা।
সেখান থেকে অন্য একটি গ্রুপ জেলেদের মতো করে ওই জাল ট্রলারে তুলে চট্টগ্রাম
উপকূলে পৌঁছাতো। জালের সঙ্গে লাগানো ওই ফ্লোটের ভেতরই থাকতো ইয়াবার চালান।
পরে চট্টগ্রাম থেকে ট্রাকের পিস্টনসহ বিভিন্ন পার্সের ভেতর করে এসব ইয়াবার
চালান ছড়িয়ে পড়তো সারা দেশে। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব
৭-এর একটি দল চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার মধ্যরামপুর আমিন
কন্ট্রাক্টর রোড এলাকা থেকে জাহিদুল ইসলাম ও তার গাড়ির চালক জসিম উদ্দিন
রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি
ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ
করা হয়। জাহিদুল ইসলাম এই চক্রের মূল হোতা। তারা র্যাবকে আরও জানায়,
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার রামপুর আমিন কন্ট্রাক্টর রোডের ১৪৮২
নম্বর বাড়িতে ইয়াবার বড় মজুত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তার মাদক
বিক্রির দুই কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা রয়েছে। এছাড়া র্যাব-৭ এর একটি
দল গাজীপুরের টঙ্গী থানার টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৫০০০ ইয়াবা উদ্ধার
করে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, জাহিদুল ইসলাম
দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। তার বোন জামাই মো. সগীরের মাধ্যমেই
মূলত সে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হয়।
No comments