প্রতিটি মানুষই জাদুকর by রুহুল মাহফুজ জয়
হৃদমাঝারে
তুমুল উত্তেজনা, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বাসা দখিন হাওয়ায় যাচ্ছি! দিনটা ২৭
মার্চ, ২০০৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছোট ভাই শাকিল আর ফাহাদ আমার সঙ্গী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিকশা যাচ্ছে ধানমণ্ডি, আর স্মৃতিপটে সিনেমার
দৃশ্যের মতো ভেসে উঠছে আমার হুমায়ূন আহমেদ অভিজ্ঞতার একেকটি পর্ব।
আগের বছরই স্যারের সঙ্গে বইমেলায় দেখা হয়েছে। তখন রেডিও টুডেতে কাজ করি। তুমুল ভিড় ঠেলে অন্যপ্রকাশের স্টলে গিয়ে স্যারের একটা লাইভ ইন্টারভিউ নেই। মাত্র দুইটা প্রশ্ন ছিল (ইন্টারভিউ দিতে স্যার নিমরাজি ছিলেন)। ‘স্যার, আপনার বই কেনার জন্য হুড়োহুড়ি, আর অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য দীর্ঘ সারি কতটা ভালো লাগে?’ তার উত্তর, ‘আমি তো দেবতা না। মানুষ। তোমার কেমন লাগতো?’ স্যারের এই প্রশ্নের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমি বলি, ‘অনেক ভালো লাগতো’। স্যার বলেন, ‘আমারও ভালো লাগে। বেঁচে থাকা অবস্থায় খুব কম লেখকই পাঠকের এমন ভালোবাসা পান। এই বিষয়টি আমাকে বেশি আবেগতাড়িত করে’। পরের প্রশ্ন : ‘স্যার, আপনার সৃষ্ট চরিত্রের মধ্যে প্রিয় কোনটি?’ হুমায়ূন স্যারের উত্তর, ‘পুরনো কথাই বলি। বাবার কাছে যদি প্রশ্ন করো, আপনার সন্তানদের মধ্যে প্রিয় কে? তার কোনো উত্তর হয়? হয় না’।
বাকের ভাইয়ের কী ফাঁসি হবে? এ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে! আমাদের বইয়ের দোকানের আড্ডায়, বাড়িতে, স্কুলে, বাজারে সবখানে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি প্রসঙ্গ। বাকের ভাইয়ের ফাঁসির সিদ্ধান্তে বিচারকের বিরুদ্ধে মিছিল হতে দেখে আব্বাকে প্রশ্ন করি, ‘বাকের ভাই কে?’ আমার প্রশ্নের জবাবে আব্বা একটা বই হাতে দিয়ে বললেন, ‘বাকের ভাই এই বইয়ের নায়ক। আর বইটা নিয়ে টিভিতে নাটক বানানো হইসে’। কোথাও কেউ নেই বইটা নাড়াচাড়ি করি অবিশ্বাসে। বাকের ভাই যে কোনো রক্ত-মাংসের মানুষ নয়, তা এখনও বিশ্বাস হয় না আমার! সেই প্রথম হুমায়ূন আহমেদকে চেনা।
সেই মানুষটির বাসায় যাচ্ছি, তাও কী না আড্ডা দিতে! হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে সেই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলাম। দুপুর ১২টা, নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই আমরা হাজির। রিসেপশনে তথ্য দিয়ে উপরে গিয়ে দেখি দরজা খোলাই আছে। দুরুদুরু বুকে বসি। মেরুন পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পরা হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সামনে এসে বসলেন। মুখে হাসি। আমরা কিছু বলার আগেই তিনি বলে উঠলেন, আমি তো ইন্টারভিউ দেই না। আসো গল্প করি, যতক্ষণ ভালো লাগে। কিছুটা অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসি দিয়ে বললাম, আমরাও গল্পই করতে এসেছি স্যার। ভূত-প্রেত নিয়ে গল্প করব।
: আগ্রহভরে আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, ইন্টারেস্টিং! ভূত নিয়ে গল্প করতে আমাকেই বেছে নিলে কেন?
* এ বিষয়ে কথা বলতে আপনার চেয়ে যোগ্য লোক আর কাউকে মনে হল না। আচ্ছা স্যার, আপনি কি ভূতে বিশ্বাস করেন? বা প্রেতাত্মা বলে কিছু আছে?
: একদমই না। ভূত-প্রেতের বিষয়ে আমি যা লিখেছি, তা নিছকই গল্প। কোনো এক অদ্ভুত কারণে মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে। এর হয়তো কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। একদিন দেখবা ভয় পেয়ে আনন্দ পাওয়ার কারণটা ঠিকই বের করে ফেলবে বিজ্ঞানীরা। খেয়াল করলে দেখবা ভূতের গল্পগুলো পড়তে পড়তে বা ড্রাকুলার মতো সিনেমাগুলা দেখতে দেখতে মানুষ ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই ভয় পাওয়াটা উপভোগও করছে।
* তার মানে সব ভূতের গল্পই মানুষের কল্পিত?
: তা নয় তো কি! তবে কিছু কিছু রহস্যের কোনো ব্যাখ্যা নেই। এখনও পৃথিবীতে অনেক রহস্য আছে অমীমাংসিত। ভূত-টুত না থাকলেও মহাজাগতিক কিছু ব্যাপার আছে, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
* আপনার জীবনে ভয় পাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেছে?
: কিছু ঘটনায় আমি ভয় পেয়েছি। ‘বোবায় ধরা’ নামে অদ্ভুত এক রোগ আছে, আমাকে বেশ যন্ত্রণা দিয়েছে। ওইটা অনেকটা ভৌতিক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মুহসীন হলে থাকতাম। একবার আমার খুব জ্বর। দুপুর বেলা ক্লাস থেকে ফেরার পথে গ্রামের এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা। কুশলাদিও জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু পরে আম্মাকে জিজ্ঞেস করে জেনেছি, উনি অনেক আগেই মারা গেছেন! আম্মা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, প্রচণ্ড জ্বরের কারণে এরকম কিছু কল্পনা করেছিলাম। ওই মানুষটা ছোটবেলায় আমাকে অনেক আদর করতেন কী না!
* শুনেছি আপনি ম্যাজিক করেন।
: ম্যাজিক আমার শখ। ম্যাজিক সবাই পারে না। মানুষকে ধোঁকা দেয়া কিন্তু খুব কঠিন। সেই কঠিন কাজটা ম্যাজিশিয়ানরা নিপুণভাবে করেন। মানুষ তা দেখে আনন্দ পায়। ডেভিড কপারফিল্ডদের মতো ম্যাজিশিয়ানরা কফিনে ঢুকে যেভাবে অদৃশ্য হয়ে যান, তা কি চারটেখানি কথা?
* ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছেন কখনও?
: না। চেষ্টাও করিনি কখনও।
* আপনাকে অনেকেই কথার জাদুকর বলে।
: ওসব চাটুকারি কথাবার্তা। সব মানুষই জাদুকর। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই বড় কিছু করার ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতার দিকটা যারা আবিষ্কার করতে পারে, তাদের সাফল্য দেখে মানুষ জাদু-টাদুর কথা বলে। এই যে এত সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ হাসিমুখে থাকে, এরচেয়ে বড় জাদু আর কি আছে?
* আপনার বাসায় আসার সময় দেখলাম, ফর্সা করে এক বৃদ্ধ লোকের পেছন পেছন শতাধিক মানুষ হাঁটছে। লোকটা কি জাদু জানে?
: এখানে জাদু-টাদু কিছু নেই। পুরাটাই কুসংস্কার। আমিও ওই লোকটাকে দেখেছি। কারও সঙ্গে কথা বলে না। শুধু হাঁটে। কিছু মানুষ অলৌকিক কুসংস্কারে লোকটাকে পীর ভেবে মুরিদ হয়ে বসে আছে। এই ব্যাপার দেখে কি বুঝলা?
* রহস্য আছে কোনো। যদি কোনো উপকারই না হয়, মানুষ এরকম করবে কেন? তবে মনে হয়, এসব যুক্তিহীন অন্ধ বিশ্বাস।
: এক্সাক্টলি। মানুষ এখনও যুক্তিহীন কাজ করে। শিক্ষার অভাবেই এরকমটা হয়। যারা ওই বুড়ো লোকটার পেছন পেছন হাঁটছে, খুঁজলে ওখানে অনেক টাকা-পয়সাওয়ালা লোক পাবা হয় তো, শিক্ষার আলো আছে এরকম কাউকে পাবা না।
এরপর ধীরে ধীরে কথা গড়িয়েছে মাজার সংস্কৃতি নিয়েও। কিন্তু সেসব না প্রকাশ করার শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। ফাহাদকে ওনার নাটকে অভিনয়ের অফারও দিয়েছিলেন। ফেরার আগে ‘১৯৭১’ বইটা তিনজনকেই উপহার দিয়েছিলেন তিনি। আর বলেছিলেন, ‘দেশটা তোমাদের হাতে থাকবে একদিন। সেই দেশটা কিভাবে এল, তা মনে রেখো’।
আগের বছরই স্যারের সঙ্গে বইমেলায় দেখা হয়েছে। তখন রেডিও টুডেতে কাজ করি। তুমুল ভিড় ঠেলে অন্যপ্রকাশের স্টলে গিয়ে স্যারের একটা লাইভ ইন্টারভিউ নেই। মাত্র দুইটা প্রশ্ন ছিল (ইন্টারভিউ দিতে স্যার নিমরাজি ছিলেন)। ‘স্যার, আপনার বই কেনার জন্য হুড়োহুড়ি, আর অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য দীর্ঘ সারি কতটা ভালো লাগে?’ তার উত্তর, ‘আমি তো দেবতা না। মানুষ। তোমার কেমন লাগতো?’ স্যারের এই প্রশ্নের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমি বলি, ‘অনেক ভালো লাগতো’। স্যার বলেন, ‘আমারও ভালো লাগে। বেঁচে থাকা অবস্থায় খুব কম লেখকই পাঠকের এমন ভালোবাসা পান। এই বিষয়টি আমাকে বেশি আবেগতাড়িত করে’। পরের প্রশ্ন : ‘স্যার, আপনার সৃষ্ট চরিত্রের মধ্যে প্রিয় কোনটি?’ হুমায়ূন স্যারের উত্তর, ‘পুরনো কথাই বলি। বাবার কাছে যদি প্রশ্ন করো, আপনার সন্তানদের মধ্যে প্রিয় কে? তার কোনো উত্তর হয়? হয় না’।
বাকের ভাইয়ের কী ফাঁসি হবে? এ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে! আমাদের বইয়ের দোকানের আড্ডায়, বাড়িতে, স্কুলে, বাজারে সবখানে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি প্রসঙ্গ। বাকের ভাইয়ের ফাঁসির সিদ্ধান্তে বিচারকের বিরুদ্ধে মিছিল হতে দেখে আব্বাকে প্রশ্ন করি, ‘বাকের ভাই কে?’ আমার প্রশ্নের জবাবে আব্বা একটা বই হাতে দিয়ে বললেন, ‘বাকের ভাই এই বইয়ের নায়ক। আর বইটা নিয়ে টিভিতে নাটক বানানো হইসে’। কোথাও কেউ নেই বইটা নাড়াচাড়ি করি অবিশ্বাসে। বাকের ভাই যে কোনো রক্ত-মাংসের মানুষ নয়, তা এখনও বিশ্বাস হয় না আমার! সেই প্রথম হুমায়ূন আহমেদকে চেনা।
সেই মানুষটির বাসায় যাচ্ছি, তাও কী না আড্ডা দিতে! হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে সেই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলাম। দুপুর ১২টা, নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই আমরা হাজির। রিসেপশনে তথ্য দিয়ে উপরে গিয়ে দেখি দরজা খোলাই আছে। দুরুদুরু বুকে বসি। মেরুন পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পরা হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সামনে এসে বসলেন। মুখে হাসি। আমরা কিছু বলার আগেই তিনি বলে উঠলেন, আমি তো ইন্টারভিউ দেই না। আসো গল্প করি, যতক্ষণ ভালো লাগে। কিছুটা অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসি দিয়ে বললাম, আমরাও গল্পই করতে এসেছি স্যার। ভূত-প্রেত নিয়ে গল্প করব।
: আগ্রহভরে আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, ইন্টারেস্টিং! ভূত নিয়ে গল্প করতে আমাকেই বেছে নিলে কেন?
* এ বিষয়ে কথা বলতে আপনার চেয়ে যোগ্য লোক আর কাউকে মনে হল না। আচ্ছা স্যার, আপনি কি ভূতে বিশ্বাস করেন? বা প্রেতাত্মা বলে কিছু আছে?
: একদমই না। ভূত-প্রেতের বিষয়ে আমি যা লিখেছি, তা নিছকই গল্প। কোনো এক অদ্ভুত কারণে মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে। এর হয়তো কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। একদিন দেখবা ভয় পেয়ে আনন্দ পাওয়ার কারণটা ঠিকই বের করে ফেলবে বিজ্ঞানীরা। খেয়াল করলে দেখবা ভূতের গল্পগুলো পড়তে পড়তে বা ড্রাকুলার মতো সিনেমাগুলা দেখতে দেখতে মানুষ ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই ভয় পাওয়াটা উপভোগও করছে।
* তার মানে সব ভূতের গল্পই মানুষের কল্পিত?
: তা নয় তো কি! তবে কিছু কিছু রহস্যের কোনো ব্যাখ্যা নেই। এখনও পৃথিবীতে অনেক রহস্য আছে অমীমাংসিত। ভূত-টুত না থাকলেও মহাজাগতিক কিছু ব্যাপার আছে, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
* আপনার জীবনে ভয় পাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেছে?
: কিছু ঘটনায় আমি ভয় পেয়েছি। ‘বোবায় ধরা’ নামে অদ্ভুত এক রোগ আছে, আমাকে বেশ যন্ত্রণা দিয়েছে। ওইটা অনেকটা ভৌতিক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মুহসীন হলে থাকতাম। একবার আমার খুব জ্বর। দুপুর বেলা ক্লাস থেকে ফেরার পথে গ্রামের এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা। কুশলাদিও জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু পরে আম্মাকে জিজ্ঞেস করে জেনেছি, উনি অনেক আগেই মারা গেছেন! আম্মা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, প্রচণ্ড জ্বরের কারণে এরকম কিছু কল্পনা করেছিলাম। ওই মানুষটা ছোটবেলায় আমাকে অনেক আদর করতেন কী না!
* শুনেছি আপনি ম্যাজিক করেন।
: ম্যাজিক আমার শখ। ম্যাজিক সবাই পারে না। মানুষকে ধোঁকা দেয়া কিন্তু খুব কঠিন। সেই কঠিন কাজটা ম্যাজিশিয়ানরা নিপুণভাবে করেন। মানুষ তা দেখে আনন্দ পায়। ডেভিড কপারফিল্ডদের মতো ম্যাজিশিয়ানরা কফিনে ঢুকে যেভাবে অদৃশ্য হয়ে যান, তা কি চারটেখানি কথা?
* ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছেন কখনও?
: না। চেষ্টাও করিনি কখনও।
* আপনাকে অনেকেই কথার জাদুকর বলে।
: ওসব চাটুকারি কথাবার্তা। সব মানুষই জাদুকর। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই বড় কিছু করার ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতার দিকটা যারা আবিষ্কার করতে পারে, তাদের সাফল্য দেখে মানুষ জাদু-টাদুর কথা বলে। এই যে এত সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ হাসিমুখে থাকে, এরচেয়ে বড় জাদু আর কি আছে?
* আপনার বাসায় আসার সময় দেখলাম, ফর্সা করে এক বৃদ্ধ লোকের পেছন পেছন শতাধিক মানুষ হাঁটছে। লোকটা কি জাদু জানে?
: এখানে জাদু-টাদু কিছু নেই। পুরাটাই কুসংস্কার। আমিও ওই লোকটাকে দেখেছি। কারও সঙ্গে কথা বলে না। শুধু হাঁটে। কিছু মানুষ অলৌকিক কুসংস্কারে লোকটাকে পীর ভেবে মুরিদ হয়ে বসে আছে। এই ব্যাপার দেখে কি বুঝলা?
* রহস্য আছে কোনো। যদি কোনো উপকারই না হয়, মানুষ এরকম করবে কেন? তবে মনে হয়, এসব যুক্তিহীন অন্ধ বিশ্বাস।
: এক্সাক্টলি। মানুষ এখনও যুক্তিহীন কাজ করে। শিক্ষার অভাবেই এরকমটা হয়। যারা ওই বুড়ো লোকটার পেছন পেছন হাঁটছে, খুঁজলে ওখানে অনেক টাকা-পয়সাওয়ালা লোক পাবা হয় তো, শিক্ষার আলো আছে এরকম কাউকে পাবা না।
এরপর ধীরে ধীরে কথা গড়িয়েছে মাজার সংস্কৃতি নিয়েও। কিন্তু সেসব না প্রকাশ করার শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। ফাহাদকে ওনার নাটকে অভিনয়ের অফারও দিয়েছিলেন। ফেরার আগে ‘১৯৭১’ বইটা তিনজনকেই উপহার দিয়েছিলেন তিনি। আর বলেছিলেন, ‘দেশটা তোমাদের হাতে থাকবে একদিন। সেই দেশটা কিভাবে এল, তা মনে রেখো’।
No comments