বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা মানবসৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অভীষ্ট পথ থেকে সরাতে পারবে না।
সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে বৃহস্পতিবার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এদিন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজারের খুতুপালং ও নয়াপাড়ার বর্তমান শিবিরগুলো থেকে অন্য কোনো ভালো জায়গায় সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সন্ত্রাস দমনে গোটা বিশ্বের উদাহরণে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন আমাদের নিজ বলে বলীয়ান হয়ে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানে ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি-নৈরাজ্যের ভয়াবহ চিত্র। আমরা এ বদনাম থেকে উতরে দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন করেছি।প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্ত্রণালয়টির উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। পাশাপাশি কাজকর্মে গতিশীলতা আনতে দিকনির্দেশনা দেন। উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চাষের জন্য জমি ও নিরাপদ জীবন-যাপনের উপকরণ সরবরাহ করে তাদের পুনর্বাসনে তৎপর হতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা দেন। এতে সচিব মেজবাহ-উল-আলম মন্ত্রণালয়টির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বিষয় তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মায়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ও কার্যকারিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৯ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং আবহাওয়া অধিদফতরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়ার প্রস্তাব করেন। বড় ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা এবং মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত নতুন জনবলকাঠামো অনুমোদন দেয়ারও প্রস্তাব করেন মন্ত্রী।বিদেশী সাহায্য পেতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রদর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করেন না উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্কতা, পূর্ব প্রস্তুতি, দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করতে পারে।বন্যা ও নদী ভাঙনকে বড় দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৬২ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার্স করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই ২৬ হাজার ৩১৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সরকার ৬৪ কোটি টাকার তল্লাশি ও উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে। আরও ১৫৯ কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি ক্রয় করার পরিকল্পনা করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে বৃহস্পতিবার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এদিন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজারের খুতুপালং ও নয়াপাড়ার বর্তমান শিবিরগুলো থেকে অন্য কোনো ভালো জায়গায় সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সন্ত্রাস দমনে গোটা বিশ্বের উদাহরণে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন আমাদের নিজ বলে বলীয়ান হয়ে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানে ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি-নৈরাজ্যের ভয়াবহ চিত্র। আমরা এ বদনাম থেকে উতরে দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আসীন করেছি।প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্ত্রণালয়টির উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। পাশাপাশি কাজকর্মে গতিশীলতা আনতে দিকনির্দেশনা দেন। উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চাষের জন্য জমি ও নিরাপদ জীবন-যাপনের উপকরণ সরবরাহ করে তাদের পুনর্বাসনে তৎপর হতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা দেন। এতে সচিব মেজবাহ-উল-আলম মন্ত্রণালয়টির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বিষয় তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মায়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ও কার্যকারিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৯ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং আবহাওয়া অধিদফতরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়ার প্রস্তাব করেন। বড় ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা এবং মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত নতুন জনবলকাঠামো অনুমোদন দেয়ারও প্রস্তাব করেন মন্ত্রী।বিদেশী সাহায্য পেতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রদর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করেন না উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্কতা, পূর্ব প্রস্তুতি, দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করতে পারে।বন্যা ও নদী ভাঙনকে বড় দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৬২ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার্স করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই ২৬ হাজার ৩১৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সরকার ৬৪ কোটি টাকার তল্লাশি ও উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে। আরও ১৫৯ কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি ক্রয় করার পরিকল্পনা করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
No comments