বড় হামলা চালাতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আল–কায়েদা -ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি
ভারতীয় উপমহাদেশে বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য একজোট হয়ে কাজ করছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদা ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন (আইএম)। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ দাবি করেছে। তারা বলছে, সংগঠন দুটির মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া বার্তা এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আটক কয়েকজনের জবানবন্দি থেকে বিষয়টি জানা গেছে। খবর রয়টার্সের। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা আল-কায়েদা ও আইএম জঙ্গিদের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা উদ্ঘাটন করতে পেরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ এবং ভারতকে অব্যাহত সংঘাতময় সিরিয়া ও ইরাকে পরিণত করা।
সম্প্রতি আল-কায়েদা ভারতীয় দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের শাখা সংগঠন খোলার ঘোষণা দেয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, ওই ঘটনার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আইএম সদস্যরা আল-কায়েদা এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছে।
প্রতিবেশী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতে এখন পর্যন্ত অনেকটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিদ্যমান। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নতুন এসব তথ্য-উপাত্ত জানান দিচ্ছে, এ দেশটিতেও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁদের দাবির সপক্ষে দুটি ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। একটি হলো সীমান্তের ওপারে পাকিস্তান ওয়াগাহতে গত রোববারের ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা। অন্যটি হচ্ছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি নৌ-বন্দরে গত মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সতর্কতা। ওই সতর্কবার্তার প্রেক্ষাপটে ভারতীয় নৌবাহিনী দুটি যুদ্ধজাহাজকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল। জঙ্গিরা যে ঐক্যবদ্ধ এবং তাদের তৎপরতা যে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে এসব ঘটনাকে তুলে ধরছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) প্রধান শারদ কুমার বলেন, ‘আমরা যে বিষয়টি খোঁজার চেষ্টা করছি, তা হলো, আল-কায়েদা বা আইএসের সঙ্গে স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কী ধরনের যোগসূত্র রয়েছে।’
আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে আল-কায়েদার পাশাপাশি ভারতকেন্দ্রিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএমের কিছু সদস্যও লড়াইরত রয়েছে বলে এক অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। আইএমের সন্দেহভাজন ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগপত্র তৈরি করেছে এনআইএ।
অভিযোগপত্রটির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে এনআইএ ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জঙ্গিদের মধ্যে ইন্টারনেটে যোগাযোগ এবং সরাসরি বৈঠকসংক্রান্ত শত শত ঘটনার উদাহরণ দিয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আইএমের প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ ভাটকলকে তাঁর অনুসারীদের বলতে শোনা গেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গ ত্যাগ করে আল-কায়েদার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা এখন জরুরি। এ ছাড়া পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নিষেধ সত্ত্বেও আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় আল-কায়েদার নেতাদের সফর নিয়েও কথা বলেছেন ভাটকল।
সম্প্রতি আল-কায়েদা ভারতীয় দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের শাখা সংগঠন খোলার ঘোষণা দেয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, ওই ঘটনার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আইএম সদস্যরা আল-কায়েদা এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছে।
প্রতিবেশী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতে এখন পর্যন্ত অনেকটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিদ্যমান। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নতুন এসব তথ্য-উপাত্ত জানান দিচ্ছে, এ দেশটিতেও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁদের দাবির সপক্ষে দুটি ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। একটি হলো সীমান্তের ওপারে পাকিস্তান ওয়াগাহতে গত রোববারের ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা। অন্যটি হচ্ছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি নৌ-বন্দরে গত মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সতর্কতা। ওই সতর্কবার্তার প্রেক্ষাপটে ভারতীয় নৌবাহিনী দুটি যুদ্ধজাহাজকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল। জঙ্গিরা যে ঐক্যবদ্ধ এবং তাদের তৎপরতা যে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে এসব ঘটনাকে তুলে ধরছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) প্রধান শারদ কুমার বলেন, ‘আমরা যে বিষয়টি খোঁজার চেষ্টা করছি, তা হলো, আল-কায়েদা বা আইএসের সঙ্গে স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কী ধরনের যোগসূত্র রয়েছে।’
আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে আল-কায়েদার পাশাপাশি ভারতকেন্দ্রিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএমের কিছু সদস্যও লড়াইরত রয়েছে বলে এক অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। আইএমের সন্দেহভাজন ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগপত্র তৈরি করেছে এনআইএ।
অভিযোগপত্রটির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে এনআইএ ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জঙ্গিদের মধ্যে ইন্টারনেটে যোগাযোগ এবং সরাসরি বৈঠকসংক্রান্ত শত শত ঘটনার উদাহরণ দিয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আইএমের প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ ভাটকলকে তাঁর অনুসারীদের বলতে শোনা গেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গ ত্যাগ করে আল-কায়েদার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা এখন জরুরি। এ ছাড়া পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নিষেধ সত্ত্বেও আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় আল-কায়েদার নেতাদের সফর নিয়েও কথা বলেছেন ভাটকল।
No comments