জিএসপি নিয়ে ফের ষড়যন্ত্র
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যে মুহূর্তে জিএসপি পেতে বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করেছে ঠিক সে সময়ে মার্কিন বাণিজ্য দফতরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন এএফএলসিআইও। জিএসপি না দেয়ার এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা নতুন শর্ত হিসেবে টেলিকম খাতকে জুড়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
এএফএলসিআইওর প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শ্রমমান উন্নয়নের অগ্রগতি পুরোটাই অস্বীকার করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে পোশাক, চিংড়ির পাশাপাশি মোবাইল খাতের শ্রমমান নিয়েও। সংগঠনটি দাবি করেছে, মোবাইল খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান হলেও শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলেও সরকার বাধা দিচ্ছে। এগার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি মার্কিন বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।এদিকে এফএলসিআইওর প্রতিবেদন পেয়ে বাংলাদেশের কাছে শ্রমমানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছে ইউএসটিআর। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওবামা প্রশাসন জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলেছিল। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শর্তগুলোর অগ্রগতি প্রতিবেদন মার্কিন বাণিজ্য দফতরে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা বৈঠক করবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে তথ্য চেয়ে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশকে জিএসপি পেতে যে ১৬টি শর্ত দেয়া হয়েছে তার সবগুলো পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংক্রান্ত এক বৈঠকে আইএলও, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। তারা এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমরা আগামী ১৫ নভেম্বর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করব ইউএসটিআর কার্যালয়ে। আমি মনে করি, এরপর জিএসপি না দেয়ার কোনো কারণ নেই। যদি এরপরও জিএসপি না দেয়া হয় তাহলে মনে করতে হবে ভিন্ন কোনো কারণে এ সুবিধা দেয়া হয়নি।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শ্রমমানের বিষয়ে অভিযোগ এনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেন। পাশাপাশি এ সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশের জন্য ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশ কর্মপরিকল্পনা-২০১৩ নামে একটি রূপরেখা ঘোষণা করে।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এএফএলসিআইওর প্রতিবেদন : বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা না দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে গত মাসে এফএলসিআইও একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ইউএসটিআর কার্যালয়ে। ওই প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকার শ্রমমান উন্নয়নের অগ্রগতিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করার অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।প্রতিবেদনে তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে বলা হয়, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে পারেনি সরকার। কিছু অগ্রগতি হলেও শ্রম অধিকার সংরক্ষণ সংগঠনের অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা তৈরি করা হচ্ছে। সার্বিক পরিবেশ সন্তোষজনক নয়। ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নের অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৯৬টি। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন করে ৮টি দেয়া হয়েছে।এফএলসিআইওর প্রতিবেদনে নতুন করে টেলিকমিউনিকেশন খাতের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলা হয়, এ খাতে অনেক শ্রমিক কাজ করছে। একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির নাম উল্লেখ করে বলা হয়, সেখানে শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলেও সরকার সহযোগিতা করছে না।প্রতিবেদনে শ্রমিকদের ব্যাপারে বলা হয়, কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সংগঠন গড়ে উঠতে দেয়া হয়নি। শ্রমিকবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়নি। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের হুমকি, হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। শিল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, শ্রমমান উন্নয়নের অগ্রগতি হয়নি। রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া ওই প্রতিবেদনে চিংড়ি শিল্পের মানোন্নয়ন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। এ খাত সম্পর্কে বলা হয়েছে, শর্তানুযায়ী চিংড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মান উন্নয়ন করা হয়নি। যদিও এটি নিশ্চিত করতে সরকার একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এসব তথ্য তুলে ধরে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার উল্লিখিত বিষয়ে অগ্রগতিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা না দেয়ার জন্য ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে ইউএসটিআরকে।জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংগঠন আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এএফএলসিআইও)। এ সংগঠনের প্রস্তাবেই ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছিল। নতুন করে তারাই আবার বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছে। এটিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ধরনের ষড়যন্ত্র বলে গণ্য করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা।জিএসপি পেতে ১৬ শর্তের অগ্রগতি : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেয়া হয় ইউএসটিআর কার্যালয় থেকে। তাতে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। শর্তপূরণের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়। আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচারের চার্জশিটও দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কল-কারখানা পরিদর্শনের জন্য সম্প্রতি শর্তানুযায়ী ২০০ পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। আইএলওর সহযোগিতায় ওয়েবসাইটভিত্তিক ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। সংশোধন করা হয়েছে শ্রম আইন। এখন বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে। চিংড়ি খাতে শ্রমিকদের সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ইপিজেডে শ্রম আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বুয়েট টিম, অ্যালায়েন্স এবং অ্যাকর্ড যৌথভাবে পোশাক শিল্পের প্রায় আড়াই হাজার কারখানা পরিদর্শন করেছে। এসব কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে শ্রমমানের অগ্রগতি নিয়ে সার্বিক প্রতিবেদন আগামী ১৫ নভেম্বর ইউএসটিআরের কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
এএফএলসিআইওর প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শ্রমমান উন্নয়নের অগ্রগতি পুরোটাই অস্বীকার করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে পোশাক, চিংড়ির পাশাপাশি মোবাইল খাতের শ্রমমান নিয়েও। সংগঠনটি দাবি করেছে, মোবাইল খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান হলেও শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলেও সরকার বাধা দিচ্ছে। এগার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি মার্কিন বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।এদিকে এফএলসিআইওর প্রতিবেদন পেয়ে বাংলাদেশের কাছে শ্রমমানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছে ইউএসটিআর। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওবামা প্রশাসন জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলেছিল। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শর্তগুলোর অগ্রগতি প্রতিবেদন মার্কিন বাণিজ্য দফতরে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা বৈঠক করবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে তথ্য চেয়ে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশকে জিএসপি পেতে যে ১৬টি শর্ত দেয়া হয়েছে তার সবগুলো পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংক্রান্ত এক বৈঠকে আইএলও, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। তারা এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমরা আগামী ১৫ নভেম্বর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করব ইউএসটিআর কার্যালয়ে। আমি মনে করি, এরপর জিএসপি না দেয়ার কোনো কারণ নেই। যদি এরপরও জিএসপি না দেয়া হয় তাহলে মনে করতে হবে ভিন্ন কোনো কারণে এ সুবিধা দেয়া হয়নি।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শ্রমমানের বিষয়ে অভিযোগ এনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেন। পাশাপাশি এ সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশের জন্য ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশ কর্মপরিকল্পনা-২০১৩ নামে একটি রূপরেখা ঘোষণা করে।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এএফএলসিআইওর প্রতিবেদন : বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা না দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে গত মাসে এফএলসিআইও একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ইউএসটিআর কার্যালয়ে। ওই প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকার শ্রমমান উন্নয়নের অগ্রগতিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করার অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।প্রতিবেদনে তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে বলা হয়, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে পারেনি সরকার। কিছু অগ্রগতি হলেও শ্রম অধিকার সংরক্ষণ সংগঠনের অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা তৈরি করা হচ্ছে। সার্বিক পরিবেশ সন্তোষজনক নয়। ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নের অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৯৬টি। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন করে ৮টি দেয়া হয়েছে।এফএলসিআইওর প্রতিবেদনে নতুন করে টেলিকমিউনিকেশন খাতের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলা হয়, এ খাতে অনেক শ্রমিক কাজ করছে। একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির নাম উল্লেখ করে বলা হয়, সেখানে শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলেও সরকার সহযোগিতা করছে না।প্রতিবেদনে শ্রমিকদের ব্যাপারে বলা হয়, কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সংগঠন গড়ে উঠতে দেয়া হয়নি। শ্রমিকবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়নি। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের হুমকি, হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। শিল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, শ্রমমান উন্নয়নের অগ্রগতি হয়নি। রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া ওই প্রতিবেদনে চিংড়ি শিল্পের মানোন্নয়ন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। এ খাত সম্পর্কে বলা হয়েছে, শর্তানুযায়ী চিংড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মান উন্নয়ন করা হয়নি। যদিও এটি নিশ্চিত করতে সরকার একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এসব তথ্য তুলে ধরে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার উল্লিখিত বিষয়ে অগ্রগতিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা না দেয়ার জন্য ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে ইউএসটিআরকে।জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংগঠন আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এএফএলসিআইও)। এ সংগঠনের প্রস্তাবেই ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছিল। নতুন করে তারাই আবার বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছে। এটিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ধরনের ষড়যন্ত্র বলে গণ্য করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা।জিএসপি পেতে ১৬ শর্তের অগ্রগতি : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেয়া হয় ইউএসটিআর কার্যালয় থেকে। তাতে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। শর্তপূরণের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়। আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচারের চার্জশিটও দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কল-কারখানা পরিদর্শনের জন্য সম্প্রতি শর্তানুযায়ী ২০০ পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। আইএলওর সহযোগিতায় ওয়েবসাইটভিত্তিক ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। সংশোধন করা হয়েছে শ্রম আইন। এখন বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে। চিংড়ি খাতে শ্রমিকদের সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ইপিজেডে শ্রম আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বুয়েট টিম, অ্যালায়েন্স এবং অ্যাকর্ড যৌথভাবে পোশাক শিল্পের প্রায় আড়াই হাজার কারখানা পরিদর্শন করেছে। এসব কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে শ্রমমানের অগ্রগতি নিয়ে সার্বিক প্রতিবেদন আগামী ১৫ নভেম্বর ইউএসটিআরের কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
No comments