ওবামা যা পারবেন যা পারবেন না
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে নিজ দল ডেমোক্রেট কোণঠাসা হয়ে পড়ায় আগামী দুবছর কীভাবে ভারসাম্য হতে যাচ্ছে ক্ষমতার। সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানরা কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে মার্কিন নীতি প্রণয়নে? নির্বাচনে পরাজয়ের পর ওবামা বলেছেন, কংগ্রেস এম অনেক বিল পাশ করবে, যাতে আমি স্বাক্ষর করব না। আবার আমি এমন কিছু পদক্ষেপ নেব, যাতে কংগ্রেসের সায় থাকবে না। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের গণতন্ত্র এভাবেই সচল থাকে।
অভিবাসন-ওবামার ভরসা নির্বাহী ক্ষমতা : ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই চায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির সংস্কার করতে। কিন্তু হোয়াইট হাউস ও জিওপি হাউসের মধ্যে এ ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো ও অভিবাসী বিতাড়নের সহজ উপায় খোঁজা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ওবামার আগের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে এ বছরের মধ্যেই এই নীতিতে সংস্কার আনতে চান। কিন্তু আগামী কংগ্রেস অধিবেশন শুরু হলে রিপাবলিক্যানদের আপত্তিতে হোয়াইট হাউসের নীতিকে অকার্যকর করতে পারে এবং সিনেটে নতুন আইন পাস হতে পারে। তবে ইচ্ছে করলে ওবামা তার নির্বাহী আদেশকে বহাল রাখতে পারবেন।জলবায়ু পরিবর্তন-কার্বন নিঃসরণ কমাতে আরও পদক্ষেপ নিতে পারবেনরিপাবলিক্যান নেতা ম্যাককনেল ওবামার কার্ব নিঃসরণ কমানো নীতির পক্ষপাতী। তাই এ বিষয়ে আগামী বছর প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের আগেই বাড়তি পদক্ষেপ নিতে ওবামার খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কিন্তু মনুষ্য সৃষ্ট গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করার ব্যাপারে রিপাবলিক্যানের কিছুটা ভিন্নমত আছে।গুয়ান্তানামো বন্ধকরণ-ওবামার ক্ষমতা সীমিত : যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগার ওবামার নির্বাহী আদেশে বন্ধ করার সুযোগ এখনও আছে। কিন্তু মঙ্গলবারের নির্বাচনের পর এ ক্ষমতার ব্যবহার পূর্বের চেয়ে সীমিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ বন্দিদের অন্যত্র স্থানান্তরের বিপক্ষে রিপাবলিক্যান। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের নির্বাহী আদেশ হলে আইনপ্রণেতাদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়বেন ওবামা।অর্থনীতি-কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে থাকবেন ওবামা : মার্কিন অর্থনীতির দুটো দিকের সংস্কার এখন গুরুত্বপূর্ণ- বাণিজ্য ও কর।ইউরোপ এবং এশিয়ার অন্তত ডজনখানিক দেশের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিকে রিপাবলিক্যানরা ওবামার তথাকথিত ফার্স্ট ট্রাক বলে অভিহিত করে আসছে। তাই রিপাবলিক্যানদের সহযোগিতা ছাড়া বাণিজ্য ক্ষেত্রে ওবামা অগ্রসর হতে পারবেন না। একইভাবে কর সংস্কারের ব্যাপারেও দুপক্ষের সমঝোতা প্রয়োজন। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই কর্পোরেট কর কমানো ও কোডের সহজীকরণে আগ্রহী।
অভিবাসন-ওবামার ভরসা নির্বাহী ক্ষমতা : ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই চায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির সংস্কার করতে। কিন্তু হোয়াইট হাউস ও জিওপি হাউসের মধ্যে এ ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো ও অভিবাসী বিতাড়নের সহজ উপায় খোঁজা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ওবামার আগের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে এ বছরের মধ্যেই এই নীতিতে সংস্কার আনতে চান। কিন্তু আগামী কংগ্রেস অধিবেশন শুরু হলে রিপাবলিক্যানদের আপত্তিতে হোয়াইট হাউসের নীতিকে অকার্যকর করতে পারে এবং সিনেটে নতুন আইন পাস হতে পারে। তবে ইচ্ছে করলে ওবামা তার নির্বাহী আদেশকে বহাল রাখতে পারবেন।জলবায়ু পরিবর্তন-কার্বন নিঃসরণ কমাতে আরও পদক্ষেপ নিতে পারবেনরিপাবলিক্যান নেতা ম্যাককনেল ওবামার কার্ব নিঃসরণ কমানো নীতির পক্ষপাতী। তাই এ বিষয়ে আগামী বছর প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের আগেই বাড়তি পদক্ষেপ নিতে ওবামার খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কিন্তু মনুষ্য সৃষ্ট গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করার ব্যাপারে রিপাবলিক্যানের কিছুটা ভিন্নমত আছে।গুয়ান্তানামো বন্ধকরণ-ওবামার ক্ষমতা সীমিত : যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগার ওবামার নির্বাহী আদেশে বন্ধ করার সুযোগ এখনও আছে। কিন্তু মঙ্গলবারের নির্বাচনের পর এ ক্ষমতার ব্যবহার পূর্বের চেয়ে সীমিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ বন্দিদের অন্যত্র স্থানান্তরের বিপক্ষে রিপাবলিক্যান। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের নির্বাহী আদেশ হলে আইনপ্রণেতাদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়বেন ওবামা।অর্থনীতি-কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে থাকবেন ওবামা : মার্কিন অর্থনীতির দুটো দিকের সংস্কার এখন গুরুত্বপূর্ণ- বাণিজ্য ও কর।ইউরোপ এবং এশিয়ার অন্তত ডজনখানিক দেশের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিকে রিপাবলিক্যানরা ওবামার তথাকথিত ফার্স্ট ট্রাক বলে অভিহিত করে আসছে। তাই রিপাবলিক্যানদের সহযোগিতা ছাড়া বাণিজ্য ক্ষেত্রে ওবামা অগ্রসর হতে পারবেন না। একইভাবে কর সংস্কারের ব্যাপারেও দুপক্ষের সমঝোতা প্রয়োজন। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যান উভয় দলই কর্পোরেট কর কমানো ও কোডের সহজীকরণে আগ্রহী।
No comments