পাকিস্তানের মন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ ঢাকার
নিজামীর বিরুদ্ধে রায় নিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খানের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আহমেদ হুসাইন দায়োকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। পাকিস্তানের মন্ত্রীর মন্তব্যকে বাংলাদেশ অনাকাক্সিক্ষত, যথার্থ নয় এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমালোচনা করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, চার দশক পরও বাংলাদেশ অতীত নিয়ে পড়ে আছে যা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশ অতীতকে ভুলে যাওয়া ও ক্ষমার ধর্ম হারিয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ হলেও তা পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পাশাপাশি পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। নিসার আলী খানের মন্তব্য এবং পাকিস্তান জামায়াতের উস্কানিতে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মিজানুর রহমান পাকিস্তানের দূতকে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষোভের কথা জানান। তিনি বলেন, রায় সম্পর্কে পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর মন্তব্যে বাংলাদেশ খুবই ক্ষুব্ধ। এ সময় পাকিস্তানি দূতের হাতে তার দেশের সরকারকে অবহিত করার জন্য একটি কূটনৈতিক প্রতিবাদলিপি তুলে দেয়া হয়। বৈঠকের পর ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে পাকিস্তানের স্বার্থান্বেষী মহলকে তাদের নিজেদের চরকায় তেল দিয়ে নিজের ঘর গোছানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব মিজানুর রহমান বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের সমর্থন লাভ করেছে। ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ ও গণহত্যা হয়েছে তাকে দায়মুক্তি দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসাটা আন্তর্জাতিক মহলেও সমর্থন পেয়েছে। কেবল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত অপরাধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষত খানিকটা লাঘব করে তা পেছনে ফেলা সম্ভব হতে পারে। পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের উল্লেখ করে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব বৈঠকে পাকিস্তানি ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে আরও বলেন, বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে পাকিস্তান বিরত থাকবে বলে প্রত্যাশা করে। এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জনগণের আবেগে আঘাত করে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুতে এটা পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে দ্বিতীয় দফায় তলব করল বাংলাদেশ। এর আগে আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করার প্রতিবাদেও বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমালোচনা করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, চার দশক পরও বাংলাদেশ অতীত নিয়ে পড়ে আছে যা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশ অতীতকে ভুলে যাওয়া ও ক্ষমার ধর্ম হারিয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ হলেও তা পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পাশাপাশি পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। নিসার আলী খানের মন্তব্য এবং পাকিস্তান জামায়াতের উস্কানিতে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মিজানুর রহমান পাকিস্তানের দূতকে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষোভের কথা জানান। তিনি বলেন, রায় সম্পর্কে পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর মন্তব্যে বাংলাদেশ খুবই ক্ষুব্ধ। এ সময় পাকিস্তানি দূতের হাতে তার দেশের সরকারকে অবহিত করার জন্য একটি কূটনৈতিক প্রতিবাদলিপি তুলে দেয়া হয়। বৈঠকের পর ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে পাকিস্তানের স্বার্থান্বেষী মহলকে তাদের নিজেদের চরকায় তেল দিয়ে নিজের ঘর গোছানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব মিজানুর রহমান বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের সমর্থন লাভ করেছে। ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ ও গণহত্যা হয়েছে তাকে দায়মুক্তি দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসাটা আন্তর্জাতিক মহলেও সমর্থন পেয়েছে। কেবল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত অপরাধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষত খানিকটা লাঘব করে তা পেছনে ফেলা সম্ভব হতে পারে। পাকিস্তানে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের উল্লেখ করে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব বৈঠকে পাকিস্তানি ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে আরও বলেন, বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে পাকিস্তান বিরত থাকবে বলে প্রত্যাশা করে। এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জনগণের আবেগে আঘাত করে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুতে এটা পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে দ্বিতীয় দফায় তলব করল বাংলাদেশ। এর আগে আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করার প্রতিবাদেও বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
No comments