পাকিস্তানের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য -পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাই কমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল দুপুরে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার আহমেদ হুসেইন দায়োকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয় বলে সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তানের ওই মন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করেই বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান পাকিস্তানের দূতের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তাকে স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়া হয়েছে, পাকিস্তানের ওই সিনিয়র মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। ওই বক্তব্যকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে বাংলাদেশের অসন্তোষের কথা খোলাখুলি ভাবেই তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তার কাছে একটি প্রতিবাদপত্রও হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে পাকিস্তানের দূতকে তলবের দ্বিতীয় ঘটনা এটি। গত বছর ১২ই ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী দেশটির রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সে সময় দেশটির সংসদে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছিল। এ নিয়ে ঢাকার অসন্তোষের কথা জানাতে তৎকালীন হাই কমিশনারকে পররাষ্ট্র দপ্তরে তলব করা হয়েছিল। সে সময় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যাও চেয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার ঘটনার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে জানিয়ে গতকাল অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব পাকিস্তান দূতকে বলেন, সেই সব মানবতাবিরোধী অপরাধ আমাদের জাতীয় মানসে যে ক্ষত ও অভিঘাতের সৃষ্টি করেছে কেবল বিচারের মাধ্যমেই তার উপশম সম্ভব। ওই বিচারের রায় নিয়ে পাকিস্তানে যারা কথা বলছেন, তাদের উচিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে নিজেদের চরকায় তেল দেয়া। রায় নিয়ে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিষয়গুলোও তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে পাকিস্তান বিরত থাকবে বলেই বাংলাদেশ আশা করে। একই সঙ্গে পাকিস্তান সরকার এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার বক্তব্যটি পাকিস্তান জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও পাকিস্তান ১৯৭১ সাল ও পরবর্তী পর্যায়ের ঘটনাবলী নিয়ে চুপ থাকতে পারে না। আমি এটা বুঝতে পারছি না, কেন বাংলাদেশ সরকার অতীতের কবর খুঁড়ে অশান্তি বাড়াচ্ছে এবং পুরনো ক্ষতগুলো আবার খুঁচিয়ে আলগা করছে। তার ওই বক্তব্যে বাংলাদেশে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হয়।
১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার ঘটনার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে জানিয়ে গতকাল অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব পাকিস্তান দূতকে বলেন, সেই সব মানবতাবিরোধী অপরাধ আমাদের জাতীয় মানসে যে ক্ষত ও অভিঘাতের সৃষ্টি করেছে কেবল বিচারের মাধ্যমেই তার উপশম সম্ভব। ওই বিচারের রায় নিয়ে পাকিস্তানে যারা কথা বলছেন, তাদের উচিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে নিজেদের চরকায় তেল দেয়া। রায় নিয়ে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিষয়গুলোও তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে পাকিস্তান বিরত থাকবে বলেই বাংলাদেশ আশা করে। একই সঙ্গে পাকিস্তান সরকার এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার বক্তব্যটি পাকিস্তান জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও পাকিস্তান ১৯৭১ সাল ও পরবর্তী পর্যায়ের ঘটনাবলী নিয়ে চুপ থাকতে পারে না। আমি এটা বুঝতে পারছি না, কেন বাংলাদেশ সরকার অতীতের কবর খুঁড়ে অশান্তি বাড়াচ্ছে এবং পুরনো ক্ষতগুলো আবার খুঁচিয়ে আলগা করছে। তার ওই বক্তব্যে বাংলাদেশে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হয়।
No comments