মোরেলগঞ্জে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন মাছুম নামের এক মোটরসাইকেল চালক। বৃহস্পতিবার বিকালে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের দক্ষিণ পালেরখণ্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। জিউধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশা জানান, মংলা থেকে মোটরসাইকেলে মোড়েলগঞ্জ ফেরার পথে পালেরখণ্ড স্টিল ব্রিজ এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটরসাইকেল চালক মাছুম সরদার। তিনি পালেরখণ্ড এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে। এ সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাদশার লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি জব্দ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মেটিরসাইকেলে থাকা অপর অক্ষত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার ছেলে নাজমুল হাসান সুমন জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে তার বাবা মোটরসাইকেলে মংলা থেকে মোরেলগঞ্জ ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের দক্ষিণ পালেরখণ্ড এলাকায় পৌঁছলে রাস্তার পাশে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা তার বাবাকে হত্যার জন্য গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি মোটরসাইকেল চালক মাছুমের বুকে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তিনি আরও উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার পিতা আওয়ামী লীগ নেতা বাদশার লাইসেন্সকৃত শটগান থেকে পাল্টা গুলি ছোড়েন।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোটরসাইকেল চালক মাছুম সরদারের পেছনের দিক থেকে গুলি করা হয়েছে। মংলা থেকে মোড়েলগঞ্জ ফেরার পথে ওই মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসা ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা । তার পেছনে ছিল বাদশার দেহরক্ষী মিজান মোল্লা। রাস্তা খাদা-খন্দকে ভরা থাকায় বাদশার হাতে থাকা তার বন্দুক দিয়ে গুলি বের হয়ে মাসুম মারা যায় বলে এলাকার অপর একটি সূত্রে জানা গেছে । স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্র“পকে ফাঁসাতে বাদশা মেম্বার পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল চালককে হত্যা করেছেন বলেও এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাস্থলে থাকা বাগেরহাট পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদককে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিতে নিহত মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার লাইসেন্স করা অস্ত্রটি জব্ধ করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দুই জনকে থানায় এনে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি জানান, মোটরসাইকেল চালক মারা যাওয়ার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের পর পুলিশ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোটরসাইকেল চালক মাছুম সরদারের পেছনের দিক থেকে গুলি করা হয়েছে। মংলা থেকে মোড়েলগঞ্জ ফেরার পথে ওই মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসা ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা । তার পেছনে ছিল বাদশার দেহরক্ষী মিজান মোল্লা। রাস্তা খাদা-খন্দকে ভরা থাকায় বাদশার হাতে থাকা তার বন্দুক দিয়ে গুলি বের হয়ে মাসুম মারা যায় বলে এলাকার অপর একটি সূত্রে জানা গেছে । স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্র“পকে ফাঁসাতে বাদশা মেম্বার পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল চালককে হত্যা করেছেন বলেও এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাস্থলে থাকা বাগেরহাট পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যা সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদককে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিতে নিহত মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন বাদশার লাইসেন্স করা অস্ত্রটি জব্ধ করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দুই জনকে থানায় এনে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি জানান, মোটরসাইকেল চালক মারা যাওয়ার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের পর পুলিশ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
No comments