সন্ত্রাসীদের ছাড় নয় ছাত্রলীগকে জয়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস করলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তনয় ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে ছাত্রলীগের বদনাম করলে তাদের সহ্য না করতে সংগঠনটির নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব পরামর্শ দেন জয়। এ সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে ছাত্রলীগ নেতাদের আহ্বান জানিয়ে জয় বলেন, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ যে কোন ক্যাম্পাসে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করে, সন্ত্রাস করে তাকে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেবে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। কারণ বিশৃঙ্খলা, নির্যাতন, সন্ত্রাস আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার সহ্য করে না এবং ছাত্রলীগও সহ্য করবে না। যারা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে ছাত্রলীগের বদনাম করবে তাদের সহ্য করা হবে না। আমি চাই বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদ থাকবে, পরিষ্কার থাকবে, পরিচ্ছন্ন থাকবে। ছাত্রলীগে মেধাবী ছেলেমেয়েরা যোগ দেবে। জয় বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের যত সিনিয়র নেতা আছেন সবাই একসময় ছাত্রলীগ করতেন। আমার নানাও মেধা দিয়ে, শ্রম দিয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন। তোমরাও মেধা দিয়ে, শ্রম দিয়ে, দেশের জন্য কাজ করো, তোমাদের মাঝেই ভবিষ্যৎ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব, তোমাদের মাঝেই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব। তোমরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, এটা কোন দিন ভুলবে না। ছাত্রলীগকে একটি পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্টান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় বলেন, ছাত্রলীগ হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে পুরাতন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন- এ ছাত্রলীগই শুরু করেছে। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের থেকে ছাত্রলীগে আমরা নির্ধারিত কিছু নিয়ম মেনে চলি। কেউ ছাত্রলীগের সদস্য হতে হলে ছাত্র হতে হবে এবং বয়সের একটা সীমা আছে। বৃদ্ধ বয়সের কেউ ছাত্রলীগে আসতে পারে না। তোমাদের প্রতি একটি অনুরোধ, এ যে আমাদের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, এ সেই ঐতিহাসিক ছাত্রলীগ, তোমরা এমন কিছু করবে না যাতে এ প্রতিষ্ঠানের বদনাম হয়। ছাত্রলীগ যদি সৎ থাকে তাহলে আমাদের চিন্তার কিছু নেই। তিনি বলেন, যখন দল ক্ষমতায় থাকে, তখন অনেকেই সুবিধা নিতে চায়, সবাই তখন ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ হয়ে যায়; নিজেদের লাভের জন্য, দুর্নীতি করার জন্য। আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। একাত্তরেও সেই ষড়যন্ত্র ছিল। বাস্তব কথা হচ্ছে, আমাদের দেশেরই এক শ্রেণীর মানুষ তারা কোনও দিন বাংলাদেশ চায়নি। এসময় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে তারা ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি শুরু করছেন, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বক্তব্য দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।
No comments