সংসদ অধিবেশন শুরু চলবে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত
দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন গতকাল বিকালে শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশন আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সদস্য সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মাঈন উদ্দিন খান বাদল ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অংশ নেন। বৈঠকে অধিবেশন আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় এই অধিবেশন শুরু হবে। এছাড়া, অধিবেশনে স্পিকার কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আগামী রোববার জাতীয় সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন ও তা নিয়ে সাধারণ আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে শিরিন শারমিন ও সাবের হোসেন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানানো হয়। বিকালে স্পিকারের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সরকার ও বিরোধী দলের অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিতরা হলেন- হাবিবুর রহমান মোল্লা, ডা. মো. আফছারুল আমিন, মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মিলন ও বেগম আক্তার জাহান।
এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন ও তা গ্রহণ করা হয়। শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলতি সংসদের সদস্য মো. ইসহাক হোসেন তালুকদারের মৃত্যুতে দেশ ও দলের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। যা কখনওই পূরণ হবার নয়। তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছাত্র রাজনীতি দিয়েই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। ৭০’র নির্বাচনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। একাত্তরে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর তরুণ সৈনিক হিসেবে চলন বিল এলাকায় দুঃস্থ মানুষের জন্য নৌকায় করে ত্রাণ নিয়ে যেতেন। তিনি আরও বলেন, অনেকের অনেক কিছু চাওয়া-পাওয়ার আছে। কিন্তু ইসহাক তালুকদারের কোন চাওয়া-পাওয়ার ছিল না। তিনি মানুষের জন্য ও তার এলাকার উন্নয়নের জন্য আবদার নিয়ে আসতেন। তিনি আমাদের মাঝে ভালো কাজের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই আলোচনায় অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, ডা. হাবিবে মিল্লাত প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে প্রয়াত অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। শোক প্রস্তাবে জাতীয় সংসদের সাবেক তিন সংসদ সদস্য বেগম জাহানারা রব, মো. গোলাম মোস্তফা ও মোজাম্মেল হোসেনের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এছাড়া, ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন, ভাষা সৈনিক এডভোকেট আবদুস সামাদ, জাতীয় অধ্যাপক আবদুল ফয়েজ, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক সংগঠক মো. বজলুর রহমান, নজরুল সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগম, পণ্ডিত রামকানাই দাশ, জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন ও তা গ্রহণ করা হয়। শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলতি সংসদের সদস্য মো. ইসহাক হোসেন তালুকদারের মৃত্যুতে দেশ ও দলের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। যা কখনওই পূরণ হবার নয়। তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছাত্র রাজনীতি দিয়েই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। ৭০’র নির্বাচনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। একাত্তরে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর তরুণ সৈনিক হিসেবে চলন বিল এলাকায় দুঃস্থ মানুষের জন্য নৌকায় করে ত্রাণ নিয়ে যেতেন। তিনি আরও বলেন, অনেকের অনেক কিছু চাওয়া-পাওয়ার আছে। কিন্তু ইসহাক তালুকদারের কোন চাওয়া-পাওয়ার ছিল না। তিনি মানুষের জন্য ও তার এলাকার উন্নয়নের জন্য আবদার নিয়ে আসতেন। তিনি আমাদের মাঝে ভালো কাজের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই আলোচনায় অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, ডা. হাবিবে মিল্লাত প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে প্রয়াত অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। শোক প্রস্তাবে জাতীয় সংসদের সাবেক তিন সংসদ সদস্য বেগম জাহানারা রব, মো. গোলাম মোস্তফা ও মোজাম্মেল হোসেনের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এছাড়া, ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মতিন, ভাষা সৈনিক এডভোকেট আবদুস সামাদ, জাতীয় অধ্যাপক আবদুল ফয়েজ, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক সংগঠক মো. বজলুর রহমান, নজরুল সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগম, পণ্ডিত রামকানাই দাশ, জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
No comments