হারিছ চৌধুরী বাবর আরিফ গউছসহ ৩৫ আসামি
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় তদন্ত শেষে অধিকতর চার্জশিট দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সিআইডির সিলেটের এএসপি মেহেরুন্নেছা হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া খাতুনের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এতে নতুনভাবে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জি কে গউছসহ ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া নাম ঠিকানা না পাওয়ায় ৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে। চার্জশিটে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাকায় চিকিৎসাধীন মামলার আইনজীবী আলমগীর ভূঁইয়া বাবুল যুগান্তরকে বলেন, চার্জশিটের ব্যাপারে আমরা বাদীপক্ষ অনেকটা সন্তুষ্ট। ফের নারাজি না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। জানতে চাইলে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুগান্তরকে বলেন, আমি এখনই (বৃহস্পতিবার বিকালে) আমেরিকায় আমার আম্মাকে আনতে যাচ্ছি। তিনি এখন অনেকটা সুস্থ। আমরা ১৯ নভেম্বর ফিরব। তারপর চার্জশিট দেখে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাব। তিনি অভিযোগ করেন, তদন্ত কর্মকর্তা ১ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাই চার্জশিট না দেখে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছি না। তাছাড়া আমার আম্মারও মতামত আছে। দীর্ঘ আড়াই বছর তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার কিবরিয়া হত্যার চার্জশিট দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। উল্লিখিতরা ছাড়াও মামলায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাজউদ্দিন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, বদরুল, মোহাম্মদ আলী, মহিবুর রহমান, কাজল ও হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়াকে। এছাড়া মামলা থেকে ইউসুফ বিন শরীফ, আবু বকর আবদুল করিম ও আহসান উল্লাহকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানানো হয়।
এর আগে ২০১১ সালের ২০ জুন দ্বিতীয় দফায় তদন্ত শেষে সিআইডির সিনিয়র এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম সম্পূরক চার্জশিট প্রদান করেন। প্রথম চার্জশিটের ১০ জন ছাড়াও এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নান, চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই আলহাজ মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ভাই মুহিব উল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, চাঁদপুর জেলা সদরের মৈশাদি গ্রামের শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমেদ আরিফ ওরফে নিমু, হবিগঞ্জ জেলা শহরের চৌধুরীবাজার এলাকার মো. বদরুল আলম মিজান, বানিয়াচং উপজেলার সিকান্দরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ওরফে মিঠু, একই উপজেলার কৃষ্ণপুর নোয়াগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ আলী, নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের বদরুল ওরফে মো. বদরুল, ভারতের কাশ্মীরের মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের মুফতি শফিকুর রহমান, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার নয়ানগর গ্রমের মুফতি আবদুল হাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জনকে হত্যা করে। নিহত অন্যরা হলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আবুল হোসেন, সিদ্দিক আলী ও আবদুর রহিম। হামলায় আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর ভূঁইয়া বাবুল, বর্তমানে অতিরিক্ত পিপি আবদুল আহাদ ফারুক, তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে ইংল্যান্ড প্রবাসী) রাজন চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ সরদারসহ অন্তত ৭০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলাটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ মার্চ আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেন। একই আদলে ওই বছরের ২০ এপ্রিল সদর থানার তৎকালীন ওসি এমএস জামান বিস্ফোরক মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। উভয় চার্জশিটেই জেলা বিএনপির তৎকালীন সহসভাপতি একেএম আবদুল কাইয়ূম, বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন ওরফে মোমিন আলী, মো. তাজুল ইসলাম, মো. শাহেদ আলী, মো. সেলিম আহমেদ, আয়াত আলী, মহিবুর রহমান ও কাজল মিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে মহিবুর রহমান ও কাজল মিয়া ছাড়া বাকি ৮ জন বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হন। বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা জামিনে রয়েছেন।
এর আগে ২০১১ সালের ২০ জুন দ্বিতীয় দফায় তদন্ত শেষে সিআইডির সিনিয়র এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম সম্পূরক চার্জশিট প্রদান করেন। প্রথম চার্জশিটের ১০ জন ছাড়াও এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নান, চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই আলহাজ মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ভাই মুহিব উল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, চাঁদপুর জেলা সদরের মৈশাদি গ্রামের শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমেদ আরিফ ওরফে নিমু, হবিগঞ্জ জেলা শহরের চৌধুরীবাজার এলাকার মো. বদরুল আলম মিজান, বানিয়াচং উপজেলার সিকান্দরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ওরফে মিঠু, একই উপজেলার কৃষ্ণপুর নোয়াগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ আলী, নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের বদরুল ওরফে মো. বদরুল, ভারতের কাশ্মীরের মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের মুফতি শফিকুর রহমান, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার নয়ানগর গ্রমের মুফতি আবদুল হাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জনকে হত্যা করে। নিহত অন্যরা হলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আবুল হোসেন, সিদ্দিক আলী ও আবদুর রহিম। হামলায় আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর ভূঁইয়া বাবুল, বর্তমানে অতিরিক্ত পিপি আবদুল আহাদ ফারুক, তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে ইংল্যান্ড প্রবাসী) রাজন চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ সরদারসহ অন্তত ৭০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলাটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ মার্চ আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেন। একই আদলে ওই বছরের ২০ এপ্রিল সদর থানার তৎকালীন ওসি এমএস জামান বিস্ফোরক মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। উভয় চার্জশিটেই জেলা বিএনপির তৎকালীন সহসভাপতি একেএম আবদুল কাইয়ূম, বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন ওরফে মোমিন আলী, মো. তাজুল ইসলাম, মো. শাহেদ আলী, মো. সেলিম আহমেদ, আয়াত আলী, মহিবুর রহমান ও কাজল মিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে মহিবুর রহমান ও কাজল মিয়া ছাড়া বাকি ৮ জন বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হন। বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা জামিনে রয়েছেন।
No comments