রোহিঙ্গাবৈষম্য বন্ধ করুন : মুন
মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বৈষম্য বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বলেছেন, কোনো বৈষম্য ছাড়াই রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া উচিত।
বুধবার মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোয় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। দেশটির রাখাইনের পশ্চিম প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের মৌলিক মানবাধিকার চরমভাবে লংঘনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ আহ্বান জানালেন।জাতিসংঘ প্রধান আরও জানান, রাখাইন প্রদেশে যেখানে মুসলিম রোহিঙ্গা উপজাতি আক্রমণ ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে সেখানে জাতিসংঘের প্রবেশাধিকার আরও সহজ করার জন্য মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনকে তিনি চাপ সৃষ্টি করবেন।তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি বৈষম্য ও নিষ্ঠুরতার শিকার রোহিঙ্গা জনগণের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি। মানবাধিকার রক্ষায় আমি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও নেতাদের উৎসাহিত করছি। নাজুক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও উস্কানির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের ৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংখ্যা ধরা হয় প্রায় ৫ শতাংশ। জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গারা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি। রোহিঙ্গা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সবসময়ই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে আসছে মিয়ানমার সরকার।ওবামার সতর্কবাণী : গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি ও অর্থনীতির ব্যাপারে মিয়ানমারকে সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বুধবার নাইপিদোতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। বেইজিংয়ে অ্যাপেক সম্মেলনে যোগদান শেষে বুধবার মিয়ানমার সফরে যান ওবামা। ওই দেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্মেলনে ওবামা মানবাধিকার লংঘনের জন্য মিয়ানমার সরকারের নিন্দা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপজাতি অঞ্চলে নির্যাতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি। রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতনসহ আইনবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ এবং জবরদস্তি শ্রমের বিষয়টিও উল্লেখ করেন ওবামা। সফর শুরু করার আগে বুধবার থাইভিত্তিক এক বার্মিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে মিয়ানমার সরকারের কড়া সমালোচনা করেন ওবামা। প্রতিশ্র“ত সংস্কার কর্মসূচি থেকে সরে আসায় সরকারের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শ্লথ গতিতে চলছে মিয়ানমারের সংস্কার কর্মসূচি। এছাড়া কিছু কর্মসূচি থেকে তারা সরেও এসেছে। দ্য ইরাওয়াদ্দি ম্যাগাজিনে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছেন, মিয়ানমারের সংস্কার কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের আরও দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয়া, সংবিধান সংশোধন এবং মিয়ানমারের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির কথা তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, দেশটিতে গণতন্ত্র বাস্তবায়নের কাজটি আশানুরূপ গতিতে এগোচ্ছে না। ওবামা জানান, উন্নয়ন, পুনর্গঠনের সুদীর্ঘ এবং কঠিন পথে মিয়ানমারে যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে। ওবামা বলেন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, সংবিধানের সংশোধন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘর্ষে বিরতির নেয়া পদক্ষেপগুলো ইতিবাচক।
বুধবার মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোয় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। দেশটির রাখাইনের পশ্চিম প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের মৌলিক মানবাধিকার চরমভাবে লংঘনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ আহ্বান জানালেন।জাতিসংঘ প্রধান আরও জানান, রাখাইন প্রদেশে যেখানে মুসলিম রোহিঙ্গা উপজাতি আক্রমণ ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে সেখানে জাতিসংঘের প্রবেশাধিকার আরও সহজ করার জন্য মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনকে তিনি চাপ সৃষ্টি করবেন।তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি বৈষম্য ও নিষ্ঠুরতার শিকার রোহিঙ্গা জনগণের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি। মানবাধিকার রক্ষায় আমি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও নেতাদের উৎসাহিত করছি। নাজুক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও উস্কানির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের ৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংখ্যা ধরা হয় প্রায় ৫ শতাংশ। জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গারা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি। রোহিঙ্গা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সবসময়ই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে আসছে মিয়ানমার সরকার।ওবামার সতর্কবাণী : গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি ও অর্থনীতির ব্যাপারে মিয়ানমারকে সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বুধবার নাইপিদোতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। বেইজিংয়ে অ্যাপেক সম্মেলনে যোগদান শেষে বুধবার মিয়ানমার সফরে যান ওবামা। ওই দেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্মেলনে ওবামা মানবাধিকার লংঘনের জন্য মিয়ানমার সরকারের নিন্দা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপজাতি অঞ্চলে নির্যাতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি। রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতনসহ আইনবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ এবং জবরদস্তি শ্রমের বিষয়টিও উল্লেখ করেন ওবামা। সফর শুরু করার আগে বুধবার থাইভিত্তিক এক বার্মিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে মিয়ানমার সরকারের কড়া সমালোচনা করেন ওবামা। প্রতিশ্র“ত সংস্কার কর্মসূচি থেকে সরে আসায় সরকারের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শ্লথ গতিতে চলছে মিয়ানমারের সংস্কার কর্মসূচি। এছাড়া কিছু কর্মসূচি থেকে তারা সরেও এসেছে। দ্য ইরাওয়াদ্দি ম্যাগাজিনে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছেন, মিয়ানমারের সংস্কার কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের আরও দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয়া, সংবিধান সংশোধন এবং মিয়ানমারের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির কথা তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, দেশটিতে গণতন্ত্র বাস্তবায়নের কাজটি আশানুরূপ গতিতে এগোচ্ছে না। ওবামা জানান, উন্নয়ন, পুনর্গঠনের সুদীর্ঘ এবং কঠিন পথে মিয়ানমারে যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে। ওবামা বলেন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, সংবিধানের সংশোধন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘর্ষে বিরতির নেয়া পদক্ষেপগুলো ইতিবাচক।
No comments