চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বের মূলে ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদ by তাসনীম হাসান
‘সাধারণ সম্পাদক’ পদটি কোন পক্ষ পাবে—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে সাম্প্রতিক সংঘাত ও দ্বন্দ্বের মূলে আছে এটি। ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রাখতে বিবদমান দুটি পক্ষই নিজেদের কাউকে ওই পদে দেখতে চায়। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি জানা গেছে।
বিবদমান দুটি পক্ষ হচ্ছে ‘ভিএক্স’ (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) এবং ‘সিএফসি’ (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) ও ‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’। দুটি পক্ষই চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী কমিটিতে এবার মহিউদ্দিনের অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক পদটি পাবেন। এ পদটি পেতে দুই পক্ষই নিজেদের শক্তি দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিএক্স পক্ষের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্বন্দ্বের মূল কারণটা অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। ৫ জানুয়ারির আগে এটি ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ক্যাম্পাসত্যাগীরা নতুন করে সাধারণ সম্পাদক পদটির জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে দ্বন্দ্বটা বেড়ে যায়। তবে আমাদের নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী যেটি বলেন সেটিই আমরা মেনে নেব।’
অন্যদিকে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি অমিত কুমার বসু বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, তাই নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাও থাকবে। কিন্তু তা চর দখলের মতো হতে পারে না। আমাদের চলমান আন্দোলন ২০০ বৈধ শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আর বৃহত্তর চট্টগ্রামের অভিভাবক হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়েই কথা বলেছেন।’
নতুন কমিটিতে মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে কোন পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি পাবে—এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাড়ছে। তাদের এই দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয়। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম সফরে গেলে ছাত্রলীগের এই দ্বন্দ্ব দ্রুত নিরসনে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত দুই দশকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন এমন পাঁচজন নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, বহু বছর যাবৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটি চট্টগ্রামের প্রভাবশালী দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়ার রীতি চালু আছে। দুই নেতা হচ্ছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মহিউদ্দিন ভাই ও নাছির ভাইয়ের সম্মতিক্রমেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি হয়ে আসছে। তারা কমিটির তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ ভাগাভাগির বিষয়টি রুলস না ট্র্যাডিশন হিসেবেই হয়ে আসছে।’
সংগঠনের সাবেক নেতারা জানান, নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী মঞ্জুরুল আলম আর সাধারণ সম্পাদক হন মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী অনুপ খাস্তগীর। এর পর থেকে এই রীতি চালু আছে। গত পাঁচটি কমিটিতেই ভাগাভাগির এই রীতি মানা হয়েছে। সর্বশেষ কমিটিতে সভাপতি হন মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী মামুনুল হক, সাধারণ সম্পাদক হন আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এম এ খালেদ চৌধুরী। এই কমিটি গত জুন মাসে বিলুপ্ত করা হয়। ওই ধারাবাহিকতায় আগামী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদটি পাবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি মোস্তফা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিনের রীতি অনুযায়ী আগামী কমিটিতে নাছির ভাইয়ের অনুসারীদের কেউ সভাপতি হিসেবে আসার কথা। বাকিটা নেতারা দেখবেন।’
বিবদমান দুটি পক্ষ হচ্ছে ‘ভিএক্স’ (ভার্সিটি এক্সপ্রেস) এবং ‘সিএফসি’ (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) ও ‘ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ’। দুটি পক্ষই চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী কমিটিতে এবার মহিউদ্দিনের অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক পদটি পাবেন। এ পদটি পেতে দুই পক্ষই নিজেদের শক্তি দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিএক্স পক্ষের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্বন্দ্বের মূল কারণটা অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। ৫ জানুয়ারির আগে এটি ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর ক্যাম্পাসত্যাগীরা নতুন করে সাধারণ সম্পাদক পদটির জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে দ্বন্দ্বটা বেড়ে যায়। তবে আমাদের নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী যেটি বলেন সেটিই আমরা মেনে নেব।’
অন্যদিকে সিএফসি ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পক্ষের নেতা ও বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি অমিত কুমার বসু বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, তাই নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাও থাকবে। কিন্তু তা চর দখলের মতো হতে পারে না। আমাদের চলমান আন্দোলন ২০০ বৈধ শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আর বৃহত্তর চট্টগ্রামের অভিভাবক হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়েই কথা বলেছেন।’
নতুন কমিটিতে মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে কোন পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি পাবে—এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাড়ছে। তাদের এই দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয়। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম সফরে গেলে ছাত্রলীগের এই দ্বন্দ্ব দ্রুত নিরসনে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত দুই দশকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন এমন পাঁচজন নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, বহু বছর যাবৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটি চট্টগ্রামের প্রভাবশালী দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়ার রীতি চালু আছে। দুই নেতা হচ্ছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মহিউদ্দিন ভাই ও নাছির ভাইয়ের সম্মতিক্রমেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি হয়ে আসছে। তারা কমিটির তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ ভাগাভাগির বিষয়টি রুলস না ট্র্যাডিশন হিসেবেই হয়ে আসছে।’
সংগঠনের সাবেক নেতারা জানান, নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী মঞ্জুরুল আলম আর সাধারণ সম্পাদক হন মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী অনুপ খাস্তগীর। এর পর থেকে এই রীতি চালু আছে। গত পাঁচটি কমিটিতেই ভাগাভাগির এই রীতি মানা হয়েছে। সর্বশেষ কমিটিতে সভাপতি হন মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী মামুনুল হক, সাধারণ সম্পাদক হন আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এম এ খালেদ চৌধুরী। এই কমিটি গত জুন মাসে বিলুপ্ত করা হয়। ওই ধারাবাহিকতায় আগামী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদটি পাবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি মোস্তফা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিনের রীতি অনুযায়ী আগামী কমিটিতে নাছির ভাইয়ের অনুসারীদের কেউ সভাপতি হিসেবে আসার কথা। বাকিটা নেতারা দেখবেন।’
No comments