ব্যাচমেট মহিলা কর্মকর্তার হাতে মাথা ফাটল যার
মহিলা কর্মকর্তার পেপার ওয়েটের আঘাতে মাথা ফাটল ব্যাচমেট সিনিয়র সহকারী সচিবের। নিন্দনীয় এবং খুবই অপ্রত্যাশিত এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে খোদ সচিবালয়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত কর্মকর্তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। রক্ত বন্ধ করতে দিতে হয় কয়েকটি সেলাই।
সময়টা সকাল আনুমানিক ৯টা। ঘটনাস্থল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃংখলা-২ শাখা (২নং ভবনের তৃতীয় তলা)। মহিলা ক্যাডার কর্মকর্তার কক্ষে প্রথমদিকে উচ্চস্বরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ পাওয়া গেলেও পরে দেখা গেল কক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন তারই ব্যাচমেট পুরুষ কর্মকর্তা। রুম থেকে তাকে বের করে দিচ্ছেন ক্রুব্ধ ব্যাচমেট মহিলা কর্মকর্তা। গলগল রক্ত ঝরতে দেখে পাশের শাখা থেকে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছুটে এসে তাকে সচিবালয় ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ভিন্ন পরিচয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত রাজধানীর একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়।খবর পেয়ে আশপাশের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। কিন্তু ঘটনা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অনেকে বিব্রতবোধ করেন।ওই শাখার আশপাশে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী কর্মকর্তা-কর্মচারী যুগান্তরকে বলেন, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব ও আঘাতকারী মহিলা কর্মকর্তা দু’জনই প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা। পুরুষ কর্মকর্তার পোস্টিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তিনি প্রায় সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তার এই ব্যাচমেট কর্মকর্তার কক্ষে আসেন, গল্পগুজব করেন, আড্ডা দেন। কখনও অফিস সময় শুরু হওয়ার আগেই তারা আসতেন। তবে কিছুদিন থেকে তাদের মধ্যে প্রায় বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটত। দুই কর্মকর্তার কথা কাটাকাটির শব্দ রুমের বাইরে থেকেও শোনা যেত। কিন্তু ক্যাডার কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত বিষয় হওয়ায় তারা এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করতেন না। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে বাকবিতণ্ডার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। পেপার ওয়েটের আঘাতে মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়ায় গতকালের ঘটনাটি রুমের বাইরে চলে আসে।সূত্র বলছে, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ দু’জন কর্মকর্তার পেশাগত কাজে ব্যাপক সুনাম রয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা সাহসের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। কিন্তু গতকালের এ বিষয়টি যেন তাদের সব অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাটি তাদের যেমন বিব্রত করেছে, তেমনি প্রশাসন ক্যাডারের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন করার খোরাক জুগিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময়টা সকাল আনুমানিক ৯টা। ঘটনাস্থল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃংখলা-২ শাখা (২নং ভবনের তৃতীয় তলা)। মহিলা ক্যাডার কর্মকর্তার কক্ষে প্রথমদিকে উচ্চস্বরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ পাওয়া গেলেও পরে দেখা গেল কক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন তারই ব্যাচমেট পুরুষ কর্মকর্তা। রুম থেকে তাকে বের করে দিচ্ছেন ক্রুব্ধ ব্যাচমেট মহিলা কর্মকর্তা। গলগল রক্ত ঝরতে দেখে পাশের শাখা থেকে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছুটে এসে তাকে সচিবালয় ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ভিন্ন পরিচয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত রাজধানীর একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়।খবর পেয়ে আশপাশের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। কিন্তু ঘটনা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অনেকে বিব্রতবোধ করেন।ওই শাখার আশপাশে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী কর্মকর্তা-কর্মচারী যুগান্তরকে বলেন, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব ও আঘাতকারী মহিলা কর্মকর্তা দু’জনই প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা। পুরুষ কর্মকর্তার পোস্টিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তিনি প্রায় সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তার এই ব্যাচমেট কর্মকর্তার কক্ষে আসেন, গল্পগুজব করেন, আড্ডা দেন। কখনও অফিস সময় শুরু হওয়ার আগেই তারা আসতেন। তবে কিছুদিন থেকে তাদের মধ্যে প্রায় বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটত। দুই কর্মকর্তার কথা কাটাকাটির শব্দ রুমের বাইরে থেকেও শোনা যেত। কিন্তু ক্যাডার কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত বিষয় হওয়ায় তারা এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করতেন না। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে বাকবিতণ্ডার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। পেপার ওয়েটের আঘাতে মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়ায় গতকালের ঘটনাটি রুমের বাইরে চলে আসে।সূত্র বলছে, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ দু’জন কর্মকর্তার পেশাগত কাজে ব্যাপক সুনাম রয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা সাহসের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। কিন্তু গতকালের এ বিষয়টি যেন তাদের সব অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাটি তাদের যেমন বিব্রত করেছে, তেমনি প্রশাসন ক্যাডারের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন করার খোরাক জুগিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments