শ্রদ্ধা, ভক্তি আর ভালবাসায় শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর চিরবিদায়
অগণিত মানুষের শ্রদ্ধা, ভক্তি আর ভালবাসায় বিদায় নিলেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ৩ দফা জানাজা শেষে গতকাল বিকালে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয় দক্ষিণ এশিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এই কর্মীকে। গতকাল সকাল সোয়া ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বাসভবন সংলগ্ন মাঠে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক সিদ্দিকী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৬-১৯৮৪ ও ১৯৯০-১৯৯১ সালে দুই মেয়াদে ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টার নামাজে জানাজায় অংশ নেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. শরিফ এনামুল কবির, সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আলাউদ্দিন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী ও মরহুমের শুভাকাঙ্ক্ষীগণ। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় মরহুমের মরদেহ ঢাকাস্থ শমরিতা হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে আনা হয়। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রয়াত অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামসহ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগ, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন। নামাজে জানাজা শেষে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর মরদেহ ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আনা হয়। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ ব্যক্তিত্বকে সেখানে শ্রদ্ধা জানান সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, বাংলা একাডেমির ডিজি শামসুজ্জামান খান, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, শিক্ষাবিদ সিরাজুল আলম চৌধুরী, ড. আনিসুজ্জামান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও হাসান আরিফ জিল্লুর রহমান। এছাড়া বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, ছায়ানট, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে আসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জিল্লুর রহমানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে বাদ জোহর ২য় জানাজা হয়। জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বনানীর নিজ বাসভবনে। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর নিয়ে যাওয়া হয় গুলশান আজাদ জামে মসজিদে। সেখানে বিকাল সাড়ে ৩টায় মরহুমের ৩য় জানাজা হয়। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জিল্লুর রহমান একজন সত্য বিবেকের অগ্রদূত: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তার এসব চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটেছে তার বিভিন্ন লেখায়। তিনি বলেন বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ নাগরিক নাট্য সমপ্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কথার মধ্যে সব সময় দেশ এবং দেশের মানুষের কথা আসতো। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ৭৫ পরবর্তী জাতির দুঃসময়ে স্বৈরাচরবিরোধী আন্দোলনসহ সব আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। তার এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, জাতির দুঃসময়ে, ক্রান্তিলগ্নে তিনি পরামর্শ দিয়ে জাতির অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তিনি শিক্ষা, রাজনীতি, সাহিত্যসহ সকল ক্ষেত্রেই অবদান রেখেছেন। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, তিনি কঠিন কথাও সংযত ভাষায় শান্তভাবে বলতেন। তার বক্তব্য ওজন বহন করতো। তিনি পরিণত বয়সে চলে গেলেও তার চলে যাওয়ায় শূন্যতার সৃষ্টি হলো। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, শিক্ষাবিদ বলতে যাদের ছবি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী তাদের মধ্যে অন্যতম। একজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষক হিসেবে নয়, তিনি নিজেকে জাতির শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বাংলাদেশের নাটকের বিকাশেও তার ভূমিকা অনবদ্য। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, তিনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। রাজনীতির অঙ্গনেও তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। সাহিত্যক্ষেত্রে তিনি তার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। সব মিলিয়ে তিনি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, এই জাতি যদি কখনও তাকে ভুলে যায়, তবে সেটি হবে জাতির ব্যর্থতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করতে অণুপ্রেরণা দিয়েছেন। জাতি একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদকে হারালো, বাংলাদেশের মনন চর্চার ইতিহাসে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মরহুমের উদ্দেশ্যে শহীদ মিনারের পশ্চিম দিকে দু’টি শোক বই খোলা হয়। সেখানে ড. কামাল হোসেন লেখেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী একজন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, একজন শিক্ষক, একজন উপাচার্য হিসেবে অপূরণীয় স্বাক্ষর রেখে গেছেন। একজন সত্য বিবেকের অগ্রদূত হিসেবে দেশের সঙ্কটের সময়ে, দূর্যোগের সময়ে যে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছন সেজন্য একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে জাতি তাকে স্মরন করবে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছেলে ড. শাকিল আক্তার বলেন, তিনি ছিলেন একজন সচেতন নাগরিক। তিনি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। এখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা এত লোকের উপস্থিতিই প্রমাণ করে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মরহুমের একমাত্র ছোট ভাই আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, ব্যক্তিজীবনে তিনি নিষ্কলুষ মানুষ ছিলেন। পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক জীবনে তিনি খুবই স্বচ্ছ ছিলেন। তিনি সব সময় কাউকে কষ্ট না দিয়ে কথা বলতে উপদেশ দিতেন। অধ্যাপক সিদ্দিকী তার থেকে সাড়ে ১২ বছরের বড় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিভাবক হারালাম। প্রসঙ্গত, মুক্ত চিন্তার বিকাশে অধ্যাপনা, গবেষণা ও সৃজনশীল লেখনীর মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বনানীর বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে অধ্যাপক জিল্লুর রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টি? এরমধ্যে ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত ‘শব্দের সীমানা’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য তিনি ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন? তার কবিতা গ্রন্থ ‘হৃদয়ে জনপদে’ বাংলা একাডেমি পুরস্কার পায়।
জিল্লুর রহমান একজন সত্য বিবেকের অগ্রদূত: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তার এসব চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটেছে তার বিভিন্ন লেখায়। তিনি বলেন বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ নাগরিক নাট্য সমপ্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কথার মধ্যে সব সময় দেশ এবং দেশের মানুষের কথা আসতো। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ৭৫ পরবর্তী জাতির দুঃসময়ে স্বৈরাচরবিরোধী আন্দোলনসহ সব আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। তার এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, জাতির দুঃসময়ে, ক্রান্তিলগ্নে তিনি পরামর্শ দিয়ে জাতির অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তিনি শিক্ষা, রাজনীতি, সাহিত্যসহ সকল ক্ষেত্রেই অবদান রেখেছেন। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, তিনি কঠিন কথাও সংযত ভাষায় শান্তভাবে বলতেন। তার বক্তব্য ওজন বহন করতো। তিনি পরিণত বয়সে চলে গেলেও তার চলে যাওয়ায় শূন্যতার সৃষ্টি হলো। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, শিক্ষাবিদ বলতে যাদের ছবি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী তাদের মধ্যে অন্যতম। একজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষক হিসেবে নয়, তিনি নিজেকে জাতির শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বাংলাদেশের নাটকের বিকাশেও তার ভূমিকা অনবদ্য। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, তিনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। রাজনীতির অঙ্গনেও তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। সাহিত্যক্ষেত্রে তিনি তার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। সব মিলিয়ে তিনি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, এই জাতি যদি কখনও তাকে ভুলে যায়, তবে সেটি হবে জাতির ব্যর্থতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করতে অণুপ্রেরণা দিয়েছেন। জাতি একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদকে হারালো, বাংলাদেশের মনন চর্চার ইতিহাসে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মরহুমের উদ্দেশ্যে শহীদ মিনারের পশ্চিম দিকে দু’টি শোক বই খোলা হয়। সেখানে ড. কামাল হোসেন লেখেন, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী একজন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, একজন শিক্ষক, একজন উপাচার্য হিসেবে অপূরণীয় স্বাক্ষর রেখে গেছেন। একজন সত্য বিবেকের অগ্রদূত হিসেবে দেশের সঙ্কটের সময়ে, দূর্যোগের সময়ে যে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছন সেজন্য একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে জাতি তাকে স্মরন করবে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছেলে ড. শাকিল আক্তার বলেন, তিনি ছিলেন একজন সচেতন নাগরিক। তিনি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। এখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা এত লোকের উপস্থিতিই প্রমাণ করে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মরহুমের একমাত্র ছোট ভাই আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, ব্যক্তিজীবনে তিনি নিষ্কলুষ মানুষ ছিলেন। পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক জীবনে তিনি খুবই স্বচ্ছ ছিলেন। তিনি সব সময় কাউকে কষ্ট না দিয়ে কথা বলতে উপদেশ দিতেন। অধ্যাপক সিদ্দিকী তার থেকে সাড়ে ১২ বছরের বড় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিভাবক হারালাম। প্রসঙ্গত, মুক্ত চিন্তার বিকাশে অধ্যাপনা, গবেষণা ও সৃজনশীল লেখনীর মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বনানীর বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে অধ্যাপক জিল্লুর রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টি? এরমধ্যে ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত ‘শব্দের সীমানা’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য তিনি ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন? তার কবিতা গ্রন্থ ‘হৃদয়ে জনপদে’ বাংলা একাডেমি পুরস্কার পায়।
No comments