এক যুগ ধরে আয়নায় মুখ দেখেন না মমতা

নব্বই দশকের পর্দা কাঁপানো বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ১৯৯২ সালে ‘তিরঙ্গা’ ছবি নিয়ে যাত্রা শুরু এই আবেদনময়ীর। এরপর একে একে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। শুরু থেকেই প্রতিটি ছবিতে ব্যাপক খোলামেলাভাবে পর্দায় হাজির হয়ে তাক লাগিয়ে দেন মমতা। আবেদন, রূপ, গ্ল্যামার, অভিনয় আর পারফরমেন্সের কারণে নব্বই দশকের বলিউডের সেক্সবোম্ব হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করা হয়। এখনও সেই দশকের সবচেয়ে হট অভিনেত্রী হিসেবে ধরা হয় মমতাকে। ‘করণ অর্জুন’, ‘সাবছে বারা খিলাড়ি’, ‘বাজি’, ‘আন্দোলন’, ‘ঘাতক’, ‘বেকাবু’সহ মমতা অভিনীত অনেক ছবিই ব্যবসা সফলতা অর্জন করে। অভিনয়ের বাইরে স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনে নগ্ন হয়ে পোজ দিয়েও বেশ বিতর্কিত ছিলেন তিনি। তবে ২০০২ সালে সর্বশেষ ছবিতে অভিনয়ের পর আড়াল হয়ে যান এ পর্দাকন্যা। অনেক পরিচালক তাকে চলচ্চিত্রে ফেরানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। ‘বিগ বস’ শো থেকেও তাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সে প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন তিনি। অভিনয় ছাড়ার প্রায় এক যুগ হয়ে গেছে মমতার। অবাক করার মত হলেও চমকে দেবার মত খবর হলে সেক্সসিম্বল এই অভিনেত্রী এখন হয়ে গেছেন যোগীনি। গত ১২ বছর যাবৎ যোগীনির জীবন যাপন করছেন মমতা। দিনের ১৮ ঘন্টা সৃষ্টিকর্তার তপস্যা করছেন। এক যুগ ধরে তিনি মেকআপ নিচ্ছেন না। এক যুগ ধরে তিনি পার্লারে যান না। এমনকি আরও চমকে দেবার মতো ঘটনা হলো এক যুগ ধরে তিনি আয়নায় নিজের মুখ দেখেন না। ভিকি নামে অতীতে তার একজন প্রেমিক থাকলেও এখন তার সঙ্গেও সম্পর্ক রাখছেন না মমতা। হঠাৎ করেই যেন তাকে কি পেয়ে বসেছে! বিচ্ছিন্নভাবে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন তিনি। এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি ভারতীয় পত্রিকাকে সংক্ষিপ্তভাবে মমতা কুলকার্নি জানিয়েছেন, আমার কিছু দরকার নেই। শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার প্রেমে ডুবে থাকতে চাই। আমি মনে করি সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট রাখার জন্যই আমার জন্ম হয়েছে। বলিউডে ফেরার কোন ইচ্ছেই আমার নেই। আমি সব কিছু থেকে অনেক দূরে আছি। ভাল আছি।