বস্তি উচ্ছেদ হলেও মাদকস্পট থেকে যায় -এর দায় পুলিশকে নিতে হবে
ঢাকায় মাঝে মধ্যেই ঘটা করে রেললাইনের দুই পাশের বস্তি ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। মাত্র কয়েক দিন আগে কারওয়ানবাজারে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হওয়ায় কর্তৃপক্ষ আবার বস্তি উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছিল। রাজধানীর রেললাইনের পার্শ্ববর্তী বস্তি উচ্ছেদ হলেও রেললাইনের কাছে দেড় শ’ স্পটে মাদক ব্যবসায় চলছে। শুধু অবৈধ ব্যবসায় নয়, কোথাও কোথাও প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করতে দেখা যায়। ডিএমপি বলেছে, মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বাস্তবে অনেক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় মাদকের বেআইনি কারবার চলে।
গতকাল নয়া দিগন্তের এক রিপোর্টে এ প্রসঙ্গে আরো জানানো হয়, মহানগরীর মধ্য দিয়ে যাওয়া রেলপথের পাশেই শুধু নয়, কমলাপুর স্টেশনের ভেতরেও মাদকসেবন চলছে। এমনকি, সেখানে রেলওয়ে পুলিশের থানার পাশেও মাদকদ্রব্য কেনাবেচা হয়। তা ছাড়া, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা শহরে ঢোকার পথে জুরাইন রেললাইন বস্তিতে বহু দিন ধরে মাদক বিক্রি হচ্ছে। দুই ব্যক্তি এখানে মাদক ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রক। একজন মহিলা নিয়ন্ত্রণ করে হেরোইন আর একজন পুরুষ নিয়ন্ত্রণ করছে ফেনসিডিলের কারবার। কাছের ঘুণ্টিঘর এলাকাতেও মাদক ব্যবসায় অব্যাহত রয়েছে। এর অদূরে দয়াগঞ্জ, সায়েদাবাদ ওয়াসা বস্তি, গোলাপবাগ প্রভৃতি পয়েন্টেও মাদক বেচাকেনা চলে। দেশের প্রধান রেলস্টেশন কমলাপুর। এর চার পাশে টিটিপাড়া ও শাহজাহানপুর বস্তি, স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে আছে কয়েকটি মাদকস্পট। কমলাপুর স্টেশনের পাশেই আইসিডি-সংলগ্ন রাস্তায় সবার সামনেই মাদক ব্যবসায় চালাতে দেখা যায়। কোনো কোনো স্থানে কাবঘর পর্যন্ত মাদক বেচাকেনার বেআইনি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমনÑ মালিবাগ রেলক্রসিংয়ের কাছে একটি কাবে মাদকাসক্তদের আড্ডা চলে। বিগত দিনে এখানে খুনখারাবি পর্যন্ত ঘটেছিল। মগবাজার বস্তিতে মাদক ব্যবসায়ের বিরাট চক্র গড়ে উঠেছে। রেললাইন ধরে আরো উত্তরে গেলে যথাক্রমে কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় বস্তি ও রেলপথের ধারে বিভিন্ন স্পটে অবাধে কারবার চলছে মাদকের। কেবল কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁও এলাকাতেই ৫০টির মতো মাদকস্পট থাকার কথা জানা গেছে। এগুলোতে মাদক কেনা ও সেবন করা হয়। এ দিকে মহানগর পুলিশ বলেছে, রেললাইনের আশপাশে কী ঘটে, তা দেখা রেলপুলিশের দায়িত্ব। অপর দিকে, জিরআরপি বা রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের লোকবল ঘাটতি রয়েছে। তবে মাদক দমনে চেষ্টার ত্রুটি নেই।
আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দেখে আসছি, মহানগরীতে কিছু দিন পরপর বস্তি ও হকার উচ্ছেদের ব্যাপক অভিযান চলে। পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ ছাড়াই এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে সুফল মেলে না। বরং অসংখ্য দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জীবনে দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। বস্তির বিস্তার নগরজীবনে নানা সমস্যার জন্ম দেয় ঠিকই, তবে মাদকদ্রব্যের ব্যবসায় ও সেবন এরচেয়ে কম মারাত্মক সমস্যা নয়। অবৈধ বস্তি প্রয়োজনে নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ করার সাথে সাথে অবশ্যই বস্তি ও আশপাশের সব মাদকস্পট উৎখাত করা জরুরি। এ ব্যাপারে পুলিশ বাহিনীর দায় এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। মাদক বিক্রি, মজুদ, সরবরাহ, সেবন প্রভৃতি দণ্ডনীয় অপরাধে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদকস্পটগুলো উচ্ছেদের পর আবার গড়ে ওঠা রোধ করতে হবে। বিশেষত রেলপুলিশের জনবল বাড়ানো, পুলিশের নিয়মিত টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো উচিত।
গতকাল নয়া দিগন্তের এক রিপোর্টে এ প্রসঙ্গে আরো জানানো হয়, মহানগরীর মধ্য দিয়ে যাওয়া রেলপথের পাশেই শুধু নয়, কমলাপুর স্টেশনের ভেতরেও মাদকসেবন চলছে। এমনকি, সেখানে রেলওয়ে পুলিশের থানার পাশেও মাদকদ্রব্য কেনাবেচা হয়। তা ছাড়া, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা শহরে ঢোকার পথে জুরাইন রেললাইন বস্তিতে বহু দিন ধরে মাদক বিক্রি হচ্ছে। দুই ব্যক্তি এখানে মাদক ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রক। একজন মহিলা নিয়ন্ত্রণ করে হেরোইন আর একজন পুরুষ নিয়ন্ত্রণ করছে ফেনসিডিলের কারবার। কাছের ঘুণ্টিঘর এলাকাতেও মাদক ব্যবসায় অব্যাহত রয়েছে। এর অদূরে দয়াগঞ্জ, সায়েদাবাদ ওয়াসা বস্তি, গোলাপবাগ প্রভৃতি পয়েন্টেও মাদক বেচাকেনা চলে। দেশের প্রধান রেলস্টেশন কমলাপুর। এর চার পাশে টিটিপাড়া ও শাহজাহানপুর বস্তি, স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে আছে কয়েকটি মাদকস্পট। কমলাপুর স্টেশনের পাশেই আইসিডি-সংলগ্ন রাস্তায় সবার সামনেই মাদক ব্যবসায় চালাতে দেখা যায়। কোনো কোনো স্থানে কাবঘর পর্যন্ত মাদক বেচাকেনার বেআইনি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমনÑ মালিবাগ রেলক্রসিংয়ের কাছে একটি কাবে মাদকাসক্তদের আড্ডা চলে। বিগত দিনে এখানে খুনখারাবি পর্যন্ত ঘটেছিল। মগবাজার বস্তিতে মাদক ব্যবসায়ের বিরাট চক্র গড়ে উঠেছে। রেললাইন ধরে আরো উত্তরে গেলে যথাক্রমে কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় বস্তি ও রেলপথের ধারে বিভিন্ন স্পটে অবাধে কারবার চলছে মাদকের। কেবল কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁও এলাকাতেই ৫০টির মতো মাদকস্পট থাকার কথা জানা গেছে। এগুলোতে মাদক কেনা ও সেবন করা হয়। এ দিকে মহানগর পুলিশ বলেছে, রেললাইনের আশপাশে কী ঘটে, তা দেখা রেলপুলিশের দায়িত্ব। অপর দিকে, জিরআরপি বা রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের লোকবল ঘাটতি রয়েছে। তবে মাদক দমনে চেষ্টার ত্রুটি নেই।
আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দেখে আসছি, মহানগরীতে কিছু দিন পরপর বস্তি ও হকার উচ্ছেদের ব্যাপক অভিযান চলে। পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ ছাড়াই এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে সুফল মেলে না। বরং অসংখ্য দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জীবনে দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। বস্তির বিস্তার নগরজীবনে নানা সমস্যার জন্ম দেয় ঠিকই, তবে মাদকদ্রব্যের ব্যবসায় ও সেবন এরচেয়ে কম মারাত্মক সমস্যা নয়। অবৈধ বস্তি প্রয়োজনে নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ করার সাথে সাথে অবশ্যই বস্তি ও আশপাশের সব মাদকস্পট উৎখাত করা জরুরি। এ ব্যাপারে পুলিশ বাহিনীর দায় এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। মাদক বিক্রি, মজুদ, সরবরাহ, সেবন প্রভৃতি দণ্ডনীয় অপরাধে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদকস্পটগুলো উচ্ছেদের পর আবার গড়ে ওঠা রোধ করতে হবে। বিশেষত রেলপুলিশের জনবল বাড়ানো, পুলিশের নিয়মিত টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো উচিত।
No comments