পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন প্রসঙ্গ by জালালউদ্দিন আহাম্মদ চৌধূরী আলমগীর
রাঙ্গামাটিতে পাছা পরিষদ (পিসিপি) রাঙ্গামাটি জিমন্যাসিয়াম চত্বরে ২০ মে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, রজতজয়ন্তী উৎসব ও ১৯তম সম্মেলন তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক গণসমাবেশের আয়োজন করেছিল। প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য নানা বিতর্কে বিতর্কিত সন্তু লারমা। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের গডফাদার সরকারের বেতনভাতা ভোগকারী, বাড়ি, গাড়ি ও সব সুবিধাসহ জাতীয় পতাকা ব্যবহারকারী, বিতর্কিত আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বাধ্য করে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদন করেছেন। চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে। তার বক্তব্য ছিল সম্পূর্ণ স্ববিরোধী ও দেশের বিরুদ্ধাচরণের বহিঃপ্রকাশ। রুবায়েত ফেরদৌস বলেন, বাঙালির জন্য শান্তিচুক্তি হয়েছে। শান্তিচুক্তি করে বাঙালি সেটেলারের সংখ্যা বেড়েছে। এখানে সেনাবাহিনী তাদের রেশন দেয়, বেতন দেয়, জায়গাজমি দেয়। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে চুক্তি বাস্তবায়ন হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে চুক্তি বাতিল করিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন করার জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতাদের তিনি পরামর্শ দেন।
রাঙ্গামাটি ২৯৯ আসনে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি ও অস্ত্রের মুখে এবং ভোটারদের জিম্মি করে সংসদ নির্বাচনে জয়ী উষাতন তালুকদার বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেছেন, আগে প্রাথমিক শিক্ষা ও কলেজের সব সমস্যা সমাধান করুন। সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করে না; সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত রাখার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি অচিরে এ কার্যক্রম বন্ধ করা না হয় তাহলে পরবর্তী পরিস্থিতি খারাপ হলে সরকারকে দায়ী থাকতে হবে। সরকারকে একধরনের হুমকি দেন।
সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের প্রশ্ন, উষাতন তালুকদার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার কে? দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য স্কুল হবে, কলেজ হবে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এতে উষাতনেরা তালুকদারের ছেলেমেয়েকে পড়াতে না চাইলে কেউ তাকে বাধ্য করবে না। জাতীয় স্বার্থে সরকার দেশের যেকোনো স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে। তাতে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথার্থ ব্যবস্থা নেবে, এটাই সাধারণ নাগরিকের অভিমত। পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল সর্বদলীয় ছাত্রসমাজের ব্যানারে এবং ঐকমত্যে রাঙ্গামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের দাবিতে যে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে তার কঠোর সমালোচনাও এরা করেছেন।
সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করে জনসংহতি সমিতির নেতা ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য তথা বেতনভাতাভোগী ও সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণকারী কে এস মং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সমাবেশে বলেছেন, পার্বত্য জনগণের সাথে ‘বেয়াদবি করবে না’। এটা বলার দুঃসাহস তিনি কোত্থেকে পান? এ ধরনের ঔদ্ধত্য জাতিকে বেয়াদব বলার শামিল। সরকারের তথ্যমন্ত্রী এসব তথ্য কি পান না? পাছা পরিষদের (পিসিপি) বর্ষপূর্তি বা রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কেউ সামরিক বাহিনীর কেউ প্রধানমন্ত্রীর এবং আর কেউ আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং সরকারকে তুলাধুনা করেছেন। কেউ কেউ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের চরম বিরোধিতা করেছেন।
রাঙ্গামাটিতে ১৯৬৫ সালে যখন কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া চালু হয় তখন উপজাতির উচ্চ বংশের দাবিদার তদানীন্তন রাজা ত্রিদিব রায়, দেওয়ান বংশের অন্যান্য লোক ও ধনাঢ্য বিশেষ কয়েকজন উপজাতীয় লোক মিলে কলেজ স্থাপনের তুমুল বিরোধিতা করেছিলেন। তখন রাঙ্গামাটির বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজসেবক মরহুম সৈয়দ তফজ্জল হোসাইনের অকান্ত পরিশ্রম ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বেসরকারিভাবে রাঙ্গামাটি কলেজ স্থাপন করা হয়। এ কলেজ আজ সরকারি কলেজ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক, তা যারা চায় না তারা কোনো দিন দেশের উন্নতি চায় না। এরা ভবিষ্যৎ বংশধরকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখার জন্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করছে। রাঙ্গামাটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় স্থাপনের সময়েও রাজা ত্রিদিব রায় বাধা দিয়েছিলেন। বাঙালিদের প্রাণপুরুষ সৈয়দ তফজ্জল হোসাইন তার প্রাণপণ চেষ্টায় স্থাপন করেছিলেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, যা আজ কোতোয়ালি থানার পাশে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় হিসেবে সুনামের সাথে পরিচিতি লাভ করেছে। উপজাতির মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে এ বিদ্যালয়ে। এ কারণে বিস্মিত হতে হয় যখন ভাবি পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক এটা সন্তু লারমারা চান না।
কয়েক দিন আগে কাপ্তাই পিসিপির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সন্তু লারমা প্রধান অতিথির ভাষণে বলেছেন, রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ঠেকানো হবে (দৈনিক গিরি দর্পণ তারিখ : ১৮-০৯-২০১৪)। স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান বলেছেন, সরকার এখানে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করলে তা জ্বালিয়ে দেয়া হবে। উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলে জ্বালিয়ে দেবেন। এমন ঔদ্ধত্যের উৎস কী?
এদের এসব রাষ্ট্রদ্রোহী কথাবার্তা সরকারের কানে কি যাচ্ছে না? প্রশাসন নীরব থাকে কিভাবে? সন্তু লারমারা যেভাবে লম্ফঝম্প করছেন তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পার্বত্য চটগ্রামে বসবাসরত প্রতিটি বাঙালি-উপজাতি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই সম্মিলিতভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করবে। এরা ঐক্যবদ্ধভাবে দলমত নির্বিশেষে বৈষম্যপূর্ণ চুক্তি বাস্তবায়নের পথে সরকারকে বাধা প্রদান করবে চুক্তির বৈষম্য, কালো এবং সংবিধান ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী ধারা ও উপধারাগুলো বাতিল করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, এ দেশ স্বাধীন স্বার্বভৌম একটি একককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। এখানে অঞ্চলবিশেষকে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কারো ক্ষমতা নেই। অপশক্তি অন্যায়ভাবে সংগ্রাম বা আন্দোলনের নামে কোনো মানুষ হত্যা করলে তার পরিণতি খুবই খারাপ।
লেখক : চেয়ারম্যান,পার্বত্য গণপরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি
রাঙ্গামাটি ২৯৯ আসনে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি ও অস্ত্রের মুখে এবং ভোটারদের জিম্মি করে সংসদ নির্বাচনে জয়ী উষাতন তালুকদার বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেছেন, আগে প্রাথমিক শিক্ষা ও কলেজের সব সমস্যা সমাধান করুন। সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করে না; সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত রাখার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি অচিরে এ কার্যক্রম বন্ধ করা না হয় তাহলে পরবর্তী পরিস্থিতি খারাপ হলে সরকারকে দায়ী থাকতে হবে। সরকারকে একধরনের হুমকি দেন।
সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের প্রশ্ন, উষাতন তালুকদার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার কে? দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য স্কুল হবে, কলেজ হবে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এতে উষাতনেরা তালুকদারের ছেলেমেয়েকে পড়াতে না চাইলে কেউ তাকে বাধ্য করবে না। জাতীয় স্বার্থে সরকার দেশের যেকোনো স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে। তাতে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথার্থ ব্যবস্থা নেবে, এটাই সাধারণ নাগরিকের অভিমত। পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল সর্বদলীয় ছাত্রসমাজের ব্যানারে এবং ঐকমত্যে রাঙ্গামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের দাবিতে যে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে তার কঠোর সমালোচনাও এরা করেছেন।
সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করে জনসংহতি সমিতির নেতা ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য তথা বেতনভাতাভোগী ও সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণকারী কে এস মং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সমাবেশে বলেছেন, পার্বত্য জনগণের সাথে ‘বেয়াদবি করবে না’। এটা বলার দুঃসাহস তিনি কোত্থেকে পান? এ ধরনের ঔদ্ধত্য জাতিকে বেয়াদব বলার শামিল। সরকারের তথ্যমন্ত্রী এসব তথ্য কি পান না? পাছা পরিষদের (পিসিপি) বর্ষপূর্তি বা রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কেউ সামরিক বাহিনীর কেউ প্রধানমন্ত্রীর এবং আর কেউ আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং সরকারকে তুলাধুনা করেছেন। কেউ কেউ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের চরম বিরোধিতা করেছেন।
রাঙ্গামাটিতে ১৯৬৫ সালে যখন কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া চালু হয় তখন উপজাতির উচ্চ বংশের দাবিদার তদানীন্তন রাজা ত্রিদিব রায়, দেওয়ান বংশের অন্যান্য লোক ও ধনাঢ্য বিশেষ কয়েকজন উপজাতীয় লোক মিলে কলেজ স্থাপনের তুমুল বিরোধিতা করেছিলেন। তখন রাঙ্গামাটির বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজসেবক মরহুম সৈয়দ তফজ্জল হোসাইনের অকান্ত পরিশ্রম ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বেসরকারিভাবে রাঙ্গামাটি কলেজ স্থাপন করা হয়। এ কলেজ আজ সরকারি কলেজ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক, তা যারা চায় না তারা কোনো দিন দেশের উন্নতি চায় না। এরা ভবিষ্যৎ বংশধরকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখার জন্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করছে। রাঙ্গামাটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় স্থাপনের সময়েও রাজা ত্রিদিব রায় বাধা দিয়েছিলেন। বাঙালিদের প্রাণপুরুষ সৈয়দ তফজ্জল হোসাইন তার প্রাণপণ চেষ্টায় স্থাপন করেছিলেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, যা আজ কোতোয়ালি থানার পাশে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় হিসেবে সুনামের সাথে পরিচিতি লাভ করেছে। উপজাতির মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে এ বিদ্যালয়ে। এ কারণে বিস্মিত হতে হয় যখন ভাবি পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক এটা সন্তু লারমারা চান না।
কয়েক দিন আগে কাপ্তাই পিসিপির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সন্তু লারমা প্রধান অতিথির ভাষণে বলেছেন, রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ঠেকানো হবে (দৈনিক গিরি দর্পণ তারিখ : ১৮-০৯-২০১৪)। স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান বলেছেন, সরকার এখানে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করলে তা জ্বালিয়ে দেয়া হবে। উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলে জ্বালিয়ে দেবেন। এমন ঔদ্ধত্যের উৎস কী?
এদের এসব রাষ্ট্রদ্রোহী কথাবার্তা সরকারের কানে কি যাচ্ছে না? প্রশাসন নীরব থাকে কিভাবে? সন্তু লারমারা যেভাবে লম্ফঝম্প করছেন তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পার্বত্য চটগ্রামে বসবাসরত প্রতিটি বাঙালি-উপজাতি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই সম্মিলিতভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করবে। এরা ঐক্যবদ্ধভাবে দলমত নির্বিশেষে বৈষম্যপূর্ণ চুক্তি বাস্তবায়নের পথে সরকারকে বাধা প্রদান করবে চুক্তির বৈষম্য, কালো এবং সংবিধান ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী ধারা ও উপধারাগুলো বাতিল করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, এ দেশ স্বাধীন স্বার্বভৌম একটি একককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। এখানে অঞ্চলবিশেষকে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কারো ক্ষমতা নেই। অপশক্তি অন্যায়ভাবে সংগ্রাম বা আন্দোলনের নামে কোনো মানুষ হত্যা করলে তার পরিণতি খুবই খারাপ।
লেখক : চেয়ারম্যান,পার্বত্য গণপরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি
No comments