এবার খুব কম জঙ্গি কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করছে
ভারতের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর আগের তুলনায় অনেক কম জঙ্গি পাকিস্তান থেকে ভারতীয় কাশ্মীরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর সেখানকার জঙ্গিরা কাশ্মীরে এসে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হতে পারে—এই আশঙ্কায় দেশটি পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তে কর্মরত লে. জেনারেল কনসাম হিমালয় সিং জম্মুর বাইরে তাঁর কমান্ড হেডকোয়ার্টারে এক সাক্ষাৎকারে গত শনিবার বলেন, কাশ্মীরে লড়াইরত জঙ্গিদের সহযোগিতা করতে সীমান্ত অতিক্রমকারী ইসলামপন্থী যোদ্ধার সংখ্যা আর বাড়েনি। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অক্টোবর-নভেম্বরে জঙ্গিরা বেশি শক্তি প্রয়োগ করবে বলে আমার ধারণা ছিল। কিন্তু এখনো তা বাস্তবে পরিণত হয়নি।’ ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে তাদের নিয়ন্ত্রিত অংশে ২৫ বছর ধরে চলা সহিংসতা বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণত উঁচু গিরিপথগুলো শীতকালে তুষারে ঢাকা পড়ে যাওয়ার আগেই গেরিলারা পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকে পড়ে।
ভারত অভিযোগ করে আসছে, সে দেশে সংকট সৃষ্টি করতেই জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। জেনারেল হিমালয় সিং বলেন, কিছু জঙ্গি আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে কাশ্মীরে লড়াই করতে এসেছে। এরই মধ্যে এ বছর সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ২৪ জন মারা গেছে। আর গত বছর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয় এ রকম ৫১ জন। তিনি বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য এখনো ২০০-২৫০ যোদ্ধা অপেক্ষা করছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করতে পারে—এমন প্রায় ৪০টি পথে টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী। ভারতকে নিজেদের ‘নতুন যুদ্ধক্ষেত্র’ বলে ঘোষণা করেছেন আল-কায়েদার সম্প্রতি গঠিত দক্ষিণ এশিয়া শাখার নেতা পাকিস্তানি জঙ্গি আসিম উমর। তিনি অন্তত ১৬ বছর আফগানিস্তানে কাটিয়েছেন। গত জুনে এক ভিডিওবার্তায় আসিম বলেন, ‘লড়াইয়ের জন্য আফগানিস্তান থেকে ভারতের দিকে একটি কাফেলা যাচ্ছে। ...এই কাফেলা কোনো ব্যক্তিবিশেষের নির্দেশে বা কোনো সরকারের নীতির কারণে নয়, আল্লাহর নির্দেশে এগিয়ে যাচ্ছে।’
No comments