এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার -বিজয়ীদের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি ভাষার লেখক প্যাত্রিক মোদিয়ানো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দখলদার নাৎসি বাহিনীর অধীনে ফ্রান্সের মানুষের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা এবং নিজের শৈশবের দুঃসহ স্মৃতি তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সেই ইতিহাস আর আপন অনুভূতির মিশেলে তিনি তরুণ বয়স থেকেই লিখে চলেছেন। ফরাসি ভাষায় তার ‘স্মৃতির শিল্প’ বইটির জন্য তিনি এবার সাহিত্যে নোবেল পেলেন। রসায়নে এবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন : এরিক বেটজিগ, স্টিফেন ডব্লিউ হেল এবং উইলিয়াম ই. মোয়েরনার। সুপার রিজলভড ফোরেসেন্স মাইক্রোস্কপ ডেভেলপমেন্টের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেয়া হয়। একইভাবে ২০১৪ সালের পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন তিন পদার্থবিজ্ঞানী : ইসামু আকাসাকি, হিরোশি আমানো এবং সুজি নাকামুরা। এরা তিনজনই জাপানি। কার্যকর নীল আলো নিঃসরণ ডায়োড আবিষ্কারের জন্য এরা এই পুরস্কার পান। এই ডায়োডে রয়েছে উজ্জ্বল ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী সাদা আলোর উৎস। আর এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তানের ১৭ বছরের কিশোরী তালেবানের হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এবার নমিনেশন পান ২৭৮ জন। এর মধ্যে অনেক নামীদামি ব্যক্তিত্ব যে ছিলেন তা বলাই বাহুল্য; কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৭ বছরের পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের এবং অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত ও পরিচিত ব্যক্তিত্ব ৬০ বছর বয়সী কৈলাশ সত্যার্থীর ভাগ্যেই জুটল এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার। মালালাকে এখন দেখা হচ্ছে বিশ্বে কিশোর-তরুণদের ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন মালালা ইউসুফজাইকে ‘জাতিসঙ্ঘ কন্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। অপর দিকে অপর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তিন দশক ধরে বাচপান বাঁচাও আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতে শিশুশ্রম বন্ধ ও শিশু পাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
নোবেল পুরস্কার নিয়ে অনেক বিতর্ক অতীতে হয়েছে। এবারো যে হবে না তা নয়। তবে অন্যান্য বিষয়ে নোবেল পুরস্কার নিয়ে যতটা না বিতর্ক হয়, তারচেয়ে শতগুণ বেশি বিতর্ক চলে নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে। হয়তো বলা হবে, ২৭৮ জন নমিনির মধ্যে এমন অনেক ছিলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় যাদের ভূমিকা কিশোরী মালালা ও স্বল্পপরিচিত সমাজসেবী কৈলাশ সত্যার্থীর চেয়ে অনেক বেশি বড় মাপের। অথচ নোবেল পুরস্কার পেলেন এরা দু’জনই। মালালা তার নিজ দেশ পাকিস্তানে নারীর অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নিজ বিশ্বাসের জন্য তালেবানের বিরুদ্ধে তার বীরোচিত লড়াই করে আজ বিশ্বব্যাপী নন্দিত। তবে নিজ দেশে তিনি অনেকটা অচ্ছুত বটে। দেশটির অনেক মানুষ তাকে সন্দেহের চোখে দেখে। এরা মনে করে বন্ধুহীন মালালা পশ্চিমাদের সৃষ্টি। বিদেশে পাকিস্তানের ভাবমর্যাদা ুণœ করতে তাকে দাঁড় করানো হয়েছে। এ পুরস্কার ঘোষণার পর তালেবানেরা তাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে। অপর দিকে কানাডা তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে। অতএব, এবারের নোবেল পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক যে চলবে, তা ধরেই নেয়া যায়। তবুও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবদানের জন্য নোবেল বিজয়ীদের আমরা স্বাগত জানাব।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার যৌথভাবে পেলেন পাকিস্তান ও ভারতের দুই নাগরিক তখন দুই দেশের মধ্যে চলেছে এক অশান্তির পরিবেশ। এ দিকে মালালা তার পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের এই নোবেল পুরস্কার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বয়ে আনুক শান্তির নতুন বারতা, এ কামনা আমাদের।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এবার নমিনেশন পান ২৭৮ জন। এর মধ্যে অনেক নামীদামি ব্যক্তিত্ব যে ছিলেন তা বলাই বাহুল্য; কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৭ বছরের পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের এবং অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত ও পরিচিত ব্যক্তিত্ব ৬০ বছর বয়সী কৈলাশ সত্যার্থীর ভাগ্যেই জুটল এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার। মালালাকে এখন দেখা হচ্ছে বিশ্বে কিশোর-তরুণদের ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন মালালা ইউসুফজাইকে ‘জাতিসঙ্ঘ কন্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। অপর দিকে অপর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তিন দশক ধরে বাচপান বাঁচাও আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতে শিশুশ্রম বন্ধ ও শিশু পাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
নোবেল পুরস্কার নিয়ে অনেক বিতর্ক অতীতে হয়েছে। এবারো যে হবে না তা নয়। তবে অন্যান্য বিষয়ে নোবেল পুরস্কার নিয়ে যতটা না বিতর্ক হয়, তারচেয়ে শতগুণ বেশি বিতর্ক চলে নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে। হয়তো বলা হবে, ২৭৮ জন নমিনির মধ্যে এমন অনেক ছিলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় যাদের ভূমিকা কিশোরী মালালা ও স্বল্পপরিচিত সমাজসেবী কৈলাশ সত্যার্থীর চেয়ে অনেক বেশি বড় মাপের। অথচ নোবেল পুরস্কার পেলেন এরা দু’জনই। মালালা তার নিজ দেশ পাকিস্তানে নারীর অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নিজ বিশ্বাসের জন্য তালেবানের বিরুদ্ধে তার বীরোচিত লড়াই করে আজ বিশ্বব্যাপী নন্দিত। তবে নিজ দেশে তিনি অনেকটা অচ্ছুত বটে। দেশটির অনেক মানুষ তাকে সন্দেহের চোখে দেখে। এরা মনে করে বন্ধুহীন মালালা পশ্চিমাদের সৃষ্টি। বিদেশে পাকিস্তানের ভাবমর্যাদা ুণœ করতে তাকে দাঁড় করানো হয়েছে। এ পুরস্কার ঘোষণার পর তালেবানেরা তাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে। অপর দিকে কানাডা তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে। অতএব, এবারের নোবেল পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক যে চলবে, তা ধরেই নেয়া যায়। তবুও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবদানের জন্য নোবেল বিজয়ীদের আমরা স্বাগত জানাব।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার যৌথভাবে পেলেন পাকিস্তান ও ভারতের দুই নাগরিক তখন দুই দেশের মধ্যে চলেছে এক অশান্তির পরিবেশ। এ দিকে মালালা তার পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের এই নোবেল পুরস্কার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বয়ে আনুক শান্তির নতুন বারতা, এ কামনা আমাদের।
No comments