ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারি -প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে, হয়রানির শিকার ব্যাংক কর্মকর্তারা by আশরাফুল ইসলাম
হলমার্ক, বিসমিল্লাহ এবং সর্বশেষ বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির দায়ে শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজিরা দিচ্ছেন। কেউ বা জেল খাটছেন। আবার কেউ বা গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ এসব ঋণ কেলেঙ্কারির প্রকৃত হোতারা যেন অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছেন। হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির পেছনে যারা জড়িত তাদের এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। এমনকি প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত হলমার্ক ঋণকেলেঙ্কারির প্রায় চার হাজার কোটি টাকার গন্তব্য আজও বের করার উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। ভুক্তভোগী কর্মকর্তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা চাকরি রক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। অপরাধী না হয়েও এখন নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ ব্যাংকিং খাতে কয়েকটি বড় ধরনের ঋণকেলেঙ্কারির পর আস্থার সঙ্কট চলছে ব্যাংকিং খাতে। লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে ব্যাংকগুলো। ঘটনা উদঘাটনের প্রায় তিন বছর পার হতে চললেও এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের স্বীকৃতি বিল কিনতে অধিকতর যাচাই-বাছাই করছে।
সোনালী ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হলমার্ক নামক অখ্যাত কোম্পানি চার হাজার কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা চিহ্নিত হওয়ার পর ব্যাংকিং খাতে বিভিন্ন বিল কেনাবেচায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ব্যাংকিং খাতের ঋণ বিষয়ক চুক্তি সম্পাদনের (বিল কেনাবেচা) েেত্র কর্মকর্তাদের স্বার ও উপস্থাপিত তথ্যের সত্যতা নিয়ে পারস্পারিক অবিশ্বাস ও সন্দেহ প্রকট আকার ধারণ করেছে। আস্থার সঙ্কট প্রকট হওয়ায় এখন কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত বিশেষ করে ব্যাংকিং উপকরণ ‘বিল’ বন্ধক রেখে ঋণ বিতরণপ্রক্রিয়া হয়ে পড়েছে স্থবির। এখন এক ব্যাংকের বিল অন্য ব্যাংক কিনছে না, অথবা কিনলেও অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আর সোনালীসহ সরকারি ব্যাংকগুলোর সাথে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিল কেনাবেচা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিল বা চেক বন্ধক রেখে ঋণ দেয়া বিলম্বিত হওয়ায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও ব্যাহত হচ্ছে।
ভুক্তভোগী এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিচালক নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন অনিয়ম বাড়তে থাকে। পরিচালকদের হস্তক্ষেপে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঋণ বিতরণ, লোকবল নিয়োগ, পদোন্নতিসহ নানা অনিয়ম শুরু হয়। এসব কাজে বাধা দিলেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বদলি, চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত, পদাবনতিসহ নানা হয়রানি নেমে আসত। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি তার একটি বড় উদাহরণ।
অপর দিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক চলত ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর নির্দেশে। কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শত শত কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দেয়া হতো। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি হয় বেসিক ব্যাংকে। বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় হইচই পড়ে গেলে তিনি পদত্যাগ করে নির্বিঘেœ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমান। বেসিকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার ওপর নানা হয়রানি নেমে এসেছিল মূলত একটি অনিয়মে বাধা দেয়ায়।
সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যাদের নির্দেশে ও ইন্ধনে ঋণ কেলেঙ্কারি হয়েছে তারাই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। আর হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক নিরপরাধ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালনা পর্ষদের ইশারা ছাড়া হলমার্ক নামক অখ্যাত কোম্পানিকে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া সম্ভব ছিল না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সবাই বুঝতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। এসব পরিচালক এখনো আড়ালেই রয়ে গেলেন। অথচ ঋণ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করায় স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা হিসেবে আইনের আওতায় এসেছেন অনেক নিরপরাধ কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার আগে কোন প্রেক্ষাপটে তারা স্বাক্ষর করেছিলেন তা বিবেচনায় নেয়া উচিত। কেননা বেশির ভাগ কর্মকর্তাই পরিস্থিতির শিকার।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ ব্যাংকিং খাতে কয়েকটি বড় ধরনের ঋণকেলেঙ্কারির পর আস্থার সঙ্কট চলছে ব্যাংকিং খাতে। লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে ব্যাংকগুলো। ঘটনা উদঘাটনের প্রায় তিন বছর পার হতে চললেও এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের স্বীকৃতি বিল কিনতে অধিকতর যাচাই-বাছাই করছে।
সোনালী ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হলমার্ক নামক অখ্যাত কোম্পানি চার হাজার কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা চিহ্নিত হওয়ার পর ব্যাংকিং খাতে বিভিন্ন বিল কেনাবেচায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ব্যাংকিং খাতের ঋণ বিষয়ক চুক্তি সম্পাদনের (বিল কেনাবেচা) েেত্র কর্মকর্তাদের স্বার ও উপস্থাপিত তথ্যের সত্যতা নিয়ে পারস্পারিক অবিশ্বাস ও সন্দেহ প্রকট আকার ধারণ করেছে। আস্থার সঙ্কট প্রকট হওয়ায় এখন কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত বিশেষ করে ব্যাংকিং উপকরণ ‘বিল’ বন্ধক রেখে ঋণ বিতরণপ্রক্রিয়া হয়ে পড়েছে স্থবির। এখন এক ব্যাংকের বিল অন্য ব্যাংক কিনছে না, অথবা কিনলেও অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আর সোনালীসহ সরকারি ব্যাংকগুলোর সাথে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিল কেনাবেচা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিল বা চেক বন্ধক রেখে ঋণ দেয়া বিলম্বিত হওয়ায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও ব্যাহত হচ্ছে।
ভুক্তভোগী এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিচালক নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন অনিয়ম বাড়তে থাকে। পরিচালকদের হস্তক্ষেপে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঋণ বিতরণ, লোকবল নিয়োগ, পদোন্নতিসহ নানা অনিয়ম শুরু হয়। এসব কাজে বাধা দিলেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বদলি, চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত, পদাবনতিসহ নানা হয়রানি নেমে আসত। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি তার একটি বড় উদাহরণ।
অপর দিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক চলত ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর নির্দেশে। কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শত শত কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দেয়া হতো। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি হয় বেসিক ব্যাংকে। বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় হইচই পড়ে গেলে তিনি পদত্যাগ করে নির্বিঘেœ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমান। বেসিকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার ওপর নানা হয়রানি নেমে এসেছিল মূলত একটি অনিয়মে বাধা দেয়ায়।
সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যাদের নির্দেশে ও ইন্ধনে ঋণ কেলেঙ্কারি হয়েছে তারাই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। আর হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক নিরপরাধ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালনা পর্ষদের ইশারা ছাড়া হলমার্ক নামক অখ্যাত কোম্পানিকে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া সম্ভব ছিল না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সবাই বুঝতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। এসব পরিচালক এখনো আড়ালেই রয়ে গেলেন। অথচ ঋণ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করায় স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা হিসেবে আইনের আওতায় এসেছেন অনেক নিরপরাধ কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার আগে কোন প্রেক্ষাপটে তারা স্বাক্ষর করেছিলেন তা বিবেচনায় নেয়া উচিত। কেননা বেশির ভাগ কর্মকর্তাই পরিস্থিতির শিকার।
No comments