প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর মানুষটি by কাজী মদিনা
নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ ও বাঙালির সৃজনশীল
মননজগতের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। এ দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ,
পরিবেশ ও নগরায়ণ বিকাশের ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। পরিশ্রম ও
অধ্যবসায়ের সার্থক নিদর্শন। সততা ও নিষ্ঠার সাধক, শিল্প-সাহিত্যের অসামান্য
বোদ্ধা, মানুষ গড়ার কারিগর—এ রকম কত অভিধায় তাঁকে ডাকা যায়।
>>অধ্যাপক নজরুল ইসলামের হাতে শেলেটক্ পদক তুলে দেন তৌফিক এম সেরাজ (বাঁয়ে) ও কুতুবউদ্দিন আহমেদ
মেধা-মনন
ও মানবকল্যাণে নিবেদিত নজরুল ইসলাম বহুমাত্রিক চরিত্রের একজন মানুষ। তাঁর
নিত্যনতুন নানামুখী কার্যক্রম গড়ে উঠেছে বহমান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র
থেকে। দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নজরুল
ইসলামের সৃজনশীলতার কর্মক্ষেত্র বহুমুখী হয়েছে। স্কুলজীবন থেকেই
পাঠক্রমবহির্ভূত কর্মকাণ্ড—স্কাউটিং, বিতর্ক, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা,
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, দেয়াল পত্রিকা এবং খেলার মাঠে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ ও
অংশগ্রহণ।
নজরুল ইসলাম প্রথমত একজন ভূগোলবিদ। ভূগোল শাস্ত্রে রেকর্ড নম্বরসহ অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তাঁর শিক্ষকতা জীবন দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য। জ্ঞানী ও পণ্ডিত মানুষটির পড়ানোর পদ্ধতি আকর্ষণীয়। পড়ানোর পদ্ধতি হলো গভীর বিষয়কে অত্যন্ত সহজ-সরলভাবে গল্প বলার ঢঙে শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্লেষণ করা। ক্লাসের গতানুগতিক পাঠক্রমের বাইরে এসে নিজস্ব স্টাইলে শৈল্পিক মননের সঙ্গে মেধাকে একত্র করে এমন এক শৈলীতে পাঠদান করেন, যা শিক্ষার্থীদের চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে রাখে। সংবেদনশীল শিক্ষক নজরুল ইসলাম শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করেই কাজ সমাপ্ত করেননি। শিক্ষার্থীদের একান্ত ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের ভাগীদার হয়েছেন। প্রয়োজনে সহায়তা করেছেন। সফল শিক্ষক নজরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে গবেষণা করেছেন। আশির দশকে ব্যাংককে আন্তর্জাতিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এআইটি) নগর উন্নয়ন বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
১৯৭২ সালে নজরুল ইসলাম নগর গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে নগরের ভূমিব্যবস্থা, নগরের আবাসন, নগরের দরিদ্র, নগরের বস্তি সমস্যা, নগরের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নগর নান্দনিকতা, নগর পরিচালনা বা গভর্ন্যান্স, নগরায়ণ নীতিমালা ইত্যাদি বিষয়ে চার দশকের অধিক সময় তিনি গবেষণা, গবেষণা তত্ত্বাবধান, সেমিনার, প্রকাশনা, মনোগ্রাফ, জার্নাল, বুলেটিন ইত্যাদি নিয়ে নগরকে ঘিরে কাজ করছেন। এর মধ্যে তাঁর বহু প্রকাশনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও জাতীয়ভাবে সমাদৃত হয়েছে। নগরবিশেষজ্ঞ ও গবেষক নজরুল ইসলামের ভালোবাসার শহর ঢাকা। শরীয়তপুর তাঁর গ্রামের বাড়ি হলেও ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা। এ শহরেই শিক্ষাজীবন, চাকরিজীবন কাটিয়েছেন। দীর্ঘদিন বসবাসের কারণে ঢাকার বিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছেন, নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন। ঢাকার ওপর গবেষণা করে একজন ঢাকাবিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। ঢাকা ক্রমে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা চিহ্নিত করেছেন। সমাধানের রূপরেখা দিয়েছেন। ঢাকাকে নানা দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করে রচনা করেছেন অনবদ্য গ্রন্থ ঢাকা এখন ও আগামীতে।
নজরুল ইসলামের চাচা প্রখ্যাত শিল্পী আবদুর রাজ্জাক। তাই কৈশোর থেকেই তাঁর মধ্যে শিল্পবোধের বীজ রোপিত হয়। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম, তিনি হয়ে উঠলেন একজন শিল্পরসিক, শিল্পবিশেষজ্ঞ, শিল্প সংগ্রাহক, শিল্প ও শিল্পীর পৃষ্ঠপোষক আর প্রথম শ্রেণীর শিল্প সমালোচক। রচনা করলেন শিল্প ও শিল্পী এবং কনটেম্পরারি আর্ট অ্যান্ড আর্টিস্টি: বাংলাদেশ অ্যান্ড বিয়ন্ড নামে দুটি অনবদ্য গ্রন্থ।
নজরুল ইসলাম একজন প্রকৃতিপ্রেমী পরিবেশবিদ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহসভাপতি হিসেবে পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘদিন আন্দোলনের প্রথম সারিতে রয়েছেন। বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের বাইরে দেশের নদী দখল, বৃক্ষনিধন, পাহাড় কাটা, জলাশয় ভরাট করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জ্ঞানগর্ভ সেমিনার করেছেন।
নজরুল ইসলাম একজন দক্ষ প্রশাসকও। নিজে যেমন কাজ করতে ভালোবাসেন; তাঁর সান্নিধ্যে যাঁরা থাকেন, তাঁদের দিয়েও কাজ করিয়ে নেন। ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি শহরতলির মধ্যবিত্ত ও বস্তির নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পয়ঃপ্রণালি উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মজুরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দেশের উচ্চশিক্ষা সুচারু ও সুশৃঙ্খল করতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
মুক্তবুদ্ধির আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ নজরুল ইসলামের বাচনভঙ্গি সাবলীল। প্রাঞ্জল শব্দচয়ন, ভাষার ওপর ঈর্ষণীয় দখল আর বক্তব্যে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর বক্তব্য শ্রোতাদের আকৃষ্ট করে রাখে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ। স্ত্রী, কন্যা, জামাতা, নাতি—সবাইকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন। একই সঙ্গে রয়েছে বন্ধুবান্ধব, অনুজ, অগ্রজ গুণগ্রাহী। ষাটের দশকে ভূগোল বিভাগে পড়তে এসে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। নানা কর্মক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করেছি। ছোট বোনের দাবি নিয়ে পেয়েছি তাঁর অপরিসীম স্নেহ, পরামর্শ ও পথনির্দেশনা। নজরুল ভাইয়ের ৭৫তম জন্মদিনে মনে হলো, এই বর্ণাঢ্য মানুষটিকে কত দিন থেকে চিনি।
নজরুল ভাইয়ের সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ মনে করিয়ে দেয় কোনো রকম ক্লেদ-গ্লানি তাঁকে স্পর্শ করেনি। প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর উদার মানুষটি সব সময় বলছেন, ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরো আরো দাও প্রাণ’।
আমি তাঁর সুদীর্ঘ ও সৃজনশীল জীবন কামনা করি। জয়তু নজরুল ইসলাম।
কাজী মদিনা: অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
নজরুল ইসলাম প্রথমত একজন ভূগোলবিদ। ভূগোল শাস্ত্রে রেকর্ড নম্বরসহ অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তাঁর শিক্ষকতা জীবন দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য। জ্ঞানী ও পণ্ডিত মানুষটির পড়ানোর পদ্ধতি আকর্ষণীয়। পড়ানোর পদ্ধতি হলো গভীর বিষয়কে অত্যন্ত সহজ-সরলভাবে গল্প বলার ঢঙে শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্লেষণ করা। ক্লাসের গতানুগতিক পাঠক্রমের বাইরে এসে নিজস্ব স্টাইলে শৈল্পিক মননের সঙ্গে মেধাকে একত্র করে এমন এক শৈলীতে পাঠদান করেন, যা শিক্ষার্থীদের চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে রাখে। সংবেদনশীল শিক্ষক নজরুল ইসলাম শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করেই কাজ সমাপ্ত করেননি। শিক্ষার্থীদের একান্ত ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের ভাগীদার হয়েছেন। প্রয়োজনে সহায়তা করেছেন। সফল শিক্ষক নজরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে গবেষণা করেছেন। আশির দশকে ব্যাংককে আন্তর্জাতিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এআইটি) নগর উন্নয়ন বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
১৯৭২ সালে নজরুল ইসলাম নগর গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে নগরের ভূমিব্যবস্থা, নগরের আবাসন, নগরের দরিদ্র, নগরের বস্তি সমস্যা, নগরের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নগর নান্দনিকতা, নগর পরিচালনা বা গভর্ন্যান্স, নগরায়ণ নীতিমালা ইত্যাদি বিষয়ে চার দশকের অধিক সময় তিনি গবেষণা, গবেষণা তত্ত্বাবধান, সেমিনার, প্রকাশনা, মনোগ্রাফ, জার্নাল, বুলেটিন ইত্যাদি নিয়ে নগরকে ঘিরে কাজ করছেন। এর মধ্যে তাঁর বহু প্রকাশনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও জাতীয়ভাবে সমাদৃত হয়েছে। নগরবিশেষজ্ঞ ও গবেষক নজরুল ইসলামের ভালোবাসার শহর ঢাকা। শরীয়তপুর তাঁর গ্রামের বাড়ি হলেও ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা। এ শহরেই শিক্ষাজীবন, চাকরিজীবন কাটিয়েছেন। দীর্ঘদিন বসবাসের কারণে ঢাকার বিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছেন, নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন। ঢাকার ওপর গবেষণা করে একজন ঢাকাবিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। ঢাকা ক্রমে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা চিহ্নিত করেছেন। সমাধানের রূপরেখা দিয়েছেন। ঢাকাকে নানা দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করে রচনা করেছেন অনবদ্য গ্রন্থ ঢাকা এখন ও আগামীতে।
নজরুল ইসলামের চাচা প্রখ্যাত শিল্পী আবদুর রাজ্জাক। তাই কৈশোর থেকেই তাঁর মধ্যে শিল্পবোধের বীজ রোপিত হয়। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম, তিনি হয়ে উঠলেন একজন শিল্পরসিক, শিল্পবিশেষজ্ঞ, শিল্প সংগ্রাহক, শিল্প ও শিল্পীর পৃষ্ঠপোষক আর প্রথম শ্রেণীর শিল্প সমালোচক। রচনা করলেন শিল্প ও শিল্পী এবং কনটেম্পরারি আর্ট অ্যান্ড আর্টিস্টি: বাংলাদেশ অ্যান্ড বিয়ন্ড নামে দুটি অনবদ্য গ্রন্থ।
নজরুল ইসলাম একজন প্রকৃতিপ্রেমী পরিবেশবিদ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহসভাপতি হিসেবে পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘদিন আন্দোলনের প্রথম সারিতে রয়েছেন। বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের বাইরে দেশের নদী দখল, বৃক্ষনিধন, পাহাড় কাটা, জলাশয় ভরাট করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জ্ঞানগর্ভ সেমিনার করেছেন।
নজরুল ইসলাম একজন দক্ষ প্রশাসকও। নিজে যেমন কাজ করতে ভালোবাসেন; তাঁর সান্নিধ্যে যাঁরা থাকেন, তাঁদের দিয়েও কাজ করিয়ে নেন। ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি শহরতলির মধ্যবিত্ত ও বস্তির নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পয়ঃপ্রণালি উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মজুরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দেশের উচ্চশিক্ষা সুচারু ও সুশৃঙ্খল করতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
মুক্তবুদ্ধির আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ নজরুল ইসলামের বাচনভঙ্গি সাবলীল। প্রাঞ্জল শব্দচয়ন, ভাষার ওপর ঈর্ষণীয় দখল আর বক্তব্যে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর বক্তব্য শ্রোতাদের আকৃষ্ট করে রাখে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ। স্ত্রী, কন্যা, জামাতা, নাতি—সবাইকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন। একই সঙ্গে রয়েছে বন্ধুবান্ধব, অনুজ, অগ্রজ গুণগ্রাহী। ষাটের দশকে ভূগোল বিভাগে পড়তে এসে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। নানা কর্মক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করেছি। ছোট বোনের দাবি নিয়ে পেয়েছি তাঁর অপরিসীম স্নেহ, পরামর্শ ও পথনির্দেশনা। নজরুল ভাইয়ের ৭৫তম জন্মদিনে মনে হলো, এই বর্ণাঢ্য মানুষটিকে কত দিন থেকে চিনি।
নজরুল ভাইয়ের সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ মনে করিয়ে দেয় কোনো রকম ক্লেদ-গ্লানি তাঁকে স্পর্শ করেনি। প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর উদার মানুষটি সব সময় বলছেন, ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরো আরো দাও প্রাণ’।
আমি তাঁর সুদীর্ঘ ও সৃজনশীল জীবন কামনা করি। জয়তু নজরুল ইসলাম।
কাজী মদিনা: অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
No comments