বিরোধী দল নিধনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার
আওয়ামী লীগ সরকারকে 'অবৈধ' আখ্যা দিয়ে
বিএনপি অভিযোগ করেছে, তারা (সরকার) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিরোধী দল
নিধনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে
দিচ্ছে। এ ছাড়া 'সরকারদলীয় গুণ্ডারা' সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে
তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপানোর 'অপচেষ্টা' করছে বলেও বিএনপির অভিযোগ।
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল শুক্রবার এক
বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিরোধীদলীয়
নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও গ্রেফতার অভিযান বন্ধ না করলে এ সরকারকে
'অতীতের স্বৈরাচারদের' মতোই ভাগ্য বরণ করতে হবে। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত
আন্দোলন চালিয়ে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ
থেকে আহ্বান জানান তিনি।
বিবৃতিতে '৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পাতানো, প্রহসনমূলক ও দেশ-বিদেশে সবার কাছে অগ্রহণযোগ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা এবং দেশব্যাপী যৌথ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িঘর লুটপাট ও নির্যাতন'-এর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'প্রহসনের নির্বাচনে নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধী দল নিধনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে ক্রমান্বয়ে এক চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সরকারদলীয় গুণ্ডারা সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের চিরাচরিত মিথ্যাচারেরই অংশ।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন। তা ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই এখন হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে সংবাদপত্রে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
'জনতার যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত' নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি। 'সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনগণকে সাথে নিয়ে' ১৮ দলীয় জোটের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কেন্দ্র ঘোষিত সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক ও বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জোটের নেতাকর্মীদের নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যে বিএনপির প্রতিক্রিয়া
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, খালেদা জিয়া 'অবৈধ সংসদের' বিরোধী নেতা নন, তিনি এখন বাংলাদেশ রক্ষার নেত্রী। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার নেত্রী। গতকাল শুক্রবার রাতে বিএনপির সহদফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন_ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন আর বিরোধীদলীয় নেতা নন। আমি তাকে বিনয়ের সঙ্গে বলব, যে সংসদের জন্মই হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও ভোটারবিহীন ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে, সে সংসদের সদস্য হওয়া কোনো বিশেষ সম্মান, মর্যাদা ও গৌরবের কিছু নয়। দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক মহল এই কলঙ্কিত নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে এখন নব্য বাকশালীয় কবল থেকে গণতন্ত্র এবং দেশের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের লড়াই চলছে। এ লড়াইয়ে জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।'
বিবৃতিতে '৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পাতানো, প্রহসনমূলক ও দেশ-বিদেশে সবার কাছে অগ্রহণযোগ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা এবং দেশব্যাপী যৌথ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িঘর লুটপাট ও নির্যাতন'-এর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'প্রহসনের নির্বাচনে নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধী দল নিধনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে ক্রমান্বয়ে এক চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সরকারদলীয় গুণ্ডারা সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের চিরাচরিত মিথ্যাচারেরই অংশ।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন। তা ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই এখন হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে সংবাদপত্রে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
'জনতার যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত' নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি। 'সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনগণকে সাথে নিয়ে' ১৮ দলীয় জোটের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কেন্দ্র ঘোষিত সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য মির্জা ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক ও বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জোটের নেতাকর্মীদের নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যে বিএনপির প্রতিক্রিয়া
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, খালেদা জিয়া 'অবৈধ সংসদের' বিরোধী নেতা নন, তিনি এখন বাংলাদেশ রক্ষার নেত্রী। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার নেত্রী। গতকাল শুক্রবার রাতে বিএনপির সহদফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন_ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন আর বিরোধীদলীয় নেতা নন। আমি তাকে বিনয়ের সঙ্গে বলব, যে সংসদের জন্মই হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও ভোটারবিহীন ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে, সে সংসদের সদস্য হওয়া কোনো বিশেষ সম্মান, মর্যাদা ও গৌরবের কিছু নয়। দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক মহল এই কলঙ্কিত নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে এখন নব্য বাকশালীয় কবল থেকে গণতন্ত্র এবং দেশের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের লড়াই চলছে। এ লড়াইয়ে জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।'
(ফখরুলের বিবৃতি)
No comments