পিরোজপুর জেলা আ'লীগ ও বিএনপি অফিসে আগুন
(পিরোজপুরে
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা (বাঁয়ে); এ ঘটনার
পর বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগি্নসংযোগ করে)
পিরোজপুরে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে
দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে শহীদ ওমর ফারুক রোডের জেলা আওয়ামী লীগ
কার্যালয়ের ভেতরে পেট্রোল ঢেলে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা আগুন দিলে ব্যাপক
ক্ষতি হয়। আগুনে টিন ও কাঠের দোতলা কার্যালয় ঘরের অধিকাংশ পুড়ে যায়।
কার্যালয়ের মধ্যে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার ছবি, আসবাবপত্র, বই-পুস্তকসহ বিভিন্ন কাগজ পুড়ে গেছে। এ সময় আওয়ামী
লীগের অফিসের পাশে অবস্থিত গ্রামীণফোনের একটি সার্ভিস সেন্টার ও মোবাইল
ফোনের দোকানও পুড়ে যায়। ঘটনার পর জেলা প্রশাসক এ কে এম শামীমুল হক
সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার এস এম আক্তারুজ্জামান, ইউএনও মেরিনা নাজনীনসহ
প্রশাসনের কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।
এ ঘটনার পর গতকাল সকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে পোস্ট অফিস রোডের জেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় খবর পেয়ে আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে আসার চেষ্টা করলে শহরের সাধনা ব্রিজের কাছে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। বাধার মুখে থানার মধ্যে গিয়ে দমকল বাহিনীর দুটি গাড়ি নিরাপদ আশ্রয় নেয়। এদিকে, বিএনপি অফিসের
আগুনের ছবি তুলতে গেলে মিডিয়া কর্মীদের লাঞ্ছিত ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, আগুন দেওয়ার ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরে র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে জানান, সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার অংশ হিসেবেই তারা রাতের আঁধারে এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি জানান, আগুনে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মিছিল করে গিয়ে প্রশাসনের সামনেই জেলা বিএনপি অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ বর্বরোচিত ঘটনায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
এ ঘটনার পর গতকাল সকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে পোস্ট অফিস রোডের জেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় খবর পেয়ে আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে আসার চেষ্টা করলে শহরের সাধনা ব্রিজের কাছে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। বাধার মুখে থানার মধ্যে গিয়ে দমকল বাহিনীর দুটি গাড়ি নিরাপদ আশ্রয় নেয়। এদিকে, বিএনপি অফিসের
আগুনের ছবি তুলতে গেলে মিডিয়া কর্মীদের লাঞ্ছিত ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, আগুন দেওয়ার ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরে র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে জানান, সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার অংশ হিসেবেই তারা রাতের আঁধারে এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি জানান, আগুনে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মিছিল করে গিয়ে প্রশাসনের সামনেই জেলা বিএনপি অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ বর্বরোচিত ঘটনায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
No comments