বেঁচে থাকতে চাই ম্যাডোনা
আই
মেড ইট থ্রো দি ওয়াইল্ডারনেস...। বিখ্যাত এই গানটি কার গাওয়া সেটা নিশ্চয়ই
নতুন করে বলে দিতে হবে না। তারপরও বলি, তিনি ম্যাডোনা। বলতে পারেন মায়াবী
ম্যাডোনা। মায়াবী এই গায়িকার পর্দার আড়ালের গল্প শোনাচ্ছেন শর্মিলা কুণ্ডু
স্টেজে ম্যাডোনা কেমন? প্রশ্ন করলে এক কথায় জবাব মিলবে_ 'বিদ্যুৎ'। সত্যিই
তাই। স্টেজে বা গানে ম্যাডোনার ঝংকার ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতের মতোই। কিন্তু
অবাক করা বিষয় হলো, বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত এই মানুষটির রয়েছে বিশেষ এক
ফোবিয়া। যার নাম ব্রনটোফোবিয়া। এই ফোবিয়ার কারণে বিদ্যুতের ঝলকানিকে
প্রচণ্ড ভয় ম্যাডোনার। ম্যাডোনাকে আমরা গায়িকা পরিচয়েই চিনি। এর বাইরে তিনি
একজন অভিনেত্রী, লেখক, গীতিকার এবং ডিরেক্টরও বটে। ম্যাডোনার একটি মাত্র
গানের কপি বিক্রি হওয়ার রেকর্ড আছে ২০০ মিলিয়ন পর্যন্ত। তবে ছোটবেলায় এই
গায়িকার ইচ্ছা ছিল ব্যালে ডান্সার হওয়ার। ব্যালে ডান্সে ভর্তি হওয়ার পর
পেয়েছিলেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ডান্স স্কলারশিপ। ছিলেন রোচেস্টার
অ্যাডাম হাইস্কুলে চিয়ার লিডিং টিমেও। শেষতক খ্যাতি আসে গানে। বিশ্বজুড়ে
হইহই রইরই তোলা ম্যাডোনাকে ১৯৯৯ সালে পিপলস ম্যাগাজিন একটি তকমা দেয়। সেটি
হলো সবচেয়ে খারাপ পোশাকের অধিকারী। তবে রঙের ক্ষেত্রে কমলাতে ব্যাপক
অ্যালার্জি এই গায়িকার। এই রঙটা নাকি দু'চোখে দেখতে পারেন না তিনি। সেই ১৫
বছর বয়স থেকে ম্যাডোনা ভেজিটেরিয়ান। বাড়িতে ম্যাডোনাকে ডাকা হতো 'লিটল ননি'
বলে। ম্যাডোনার পুরো নাম 'ম্যাডোনা লুইস সিকোনি'। এটি রাখা হয়েছিল তার
মায়ের নাম অনুসারে। একই পরিবারে দুটি ম্যাডোনা। ফলে ডাকতে গিয়ে বাধত
ঝামেলা। তাই তখন পরিবারের সবাই এবং বন্ধুরা মিলে ছোট্ট ম্যাডোনার নাম দিয়ে
দিল লিটল ননি। ম্যাডোনার জন্ম কোনো ধনী পরিবারে নয়। বরং বেশ কষ্টের মধ্য
দিয়েই তার বড় হওয়া। এক সময় তিনি হোটেলে খাবার পরিবেশনের কাজও করতেন।
ম্যাডোনা কোনো টাকার সমস্যায় পড়লে বেশি বেশি কাজ করতেন, অন্য ওয়েটারদের মতো
বেশি বেশি টিপস পাওয়ার আশায়।
গার্ডিয়ান একবার জানায়, আমেরিকার সব লোকাল টিভি, পত্রিকা বা ট্যাবলয়েড যখন তাদের নতুন সাংবাদিকদের ট্রেনিং দেন তখন তাদের শিখিয়ে দেন, যেন ম্যাডোনাকে 'দি ম্যাটেরিয়াল গার্ল' বলে উল্লেখ করা হয়। কারণ ম্যাডোনার একটি একক বিখ্যাত গান হলো 'ম্যাটেরিয়াল গার্ল'। ম্যাডোনা এখন কতটা বিখ্যাত তা সবাই জানি। আর তিনি এই খ্যাতিটাকে উপভোগ করেন। তিনি বলেন, 'আমি মার্টিন লুথার কিংবা, মহাত্মা গান্ধী বা জন লেনন হতে চাই এবং আমি বেঁচে থাকতে চাই।'
গার্ডিয়ান একবার জানায়, আমেরিকার সব লোকাল টিভি, পত্রিকা বা ট্যাবলয়েড যখন তাদের নতুন সাংবাদিকদের ট্রেনিং দেন তখন তাদের শিখিয়ে দেন, যেন ম্যাডোনাকে 'দি ম্যাটেরিয়াল গার্ল' বলে উল্লেখ করা হয়। কারণ ম্যাডোনার একটি একক বিখ্যাত গান হলো 'ম্যাটেরিয়াল গার্ল'। ম্যাডোনা এখন কতটা বিখ্যাত তা সবাই জানি। আর তিনি এই খ্যাতিটাকে উপভোগ করেন। তিনি বলেন, 'আমি মার্টিন লুথার কিংবা, মহাত্মা গান্ধী বা জন লেনন হতে চাই এবং আমি বেঁচে থাকতে চাই।'
No comments