চট্টগ্রামের উত্তরে উৎসব দক্ষিণে হা-হুতাশ! by সারোয়ার সুমন
চট্টগ্রাম
থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপদেষ্টা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাত
এমপি। তাদের মধ্যে সবারই সংসদীয় আসন হয় মহানগরে, নয়তো উত্তর চট্টগ্রামে।
অথচ চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামে রয়েছে পাঁচটি আসন।
বাকি আসনগুলোর মধ্যে উত্তর চট্টগ্রামে রয়েছে ছয়টি। আসনের দিক থেকে প্রায়
সমানে সমান হলেও সরকারের নীতিনির্ধারণী ফোরামে থাকছেন না দক্ষিণের কোনো
প্রতিনিধি। নির্বাচনকালীন সরকারের সময়ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে কেউ পাননি
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপদেষ্টার পদ। এর আগের নবম জাতীয় সংসদ
নির্বাচনেও বঞ্চিত ছিল দক্ষিণের জনগণ। তাই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পাওয়ার
আশায় উত্তরের জনপদে উৎসবের অপেক্ষা থাকলেও দক্ষিণের জনপদে বিরাজ করছে
দীর্ঘশ্বাস! পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও বাঁশখালী নিয়ে গঠিত
চট্টগ্রাম দক্ষিণ। আর মিরসরাই, সন্দ্বীপ, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও
ফটিকছড়ি আছে চট্টগ্রামের উত্তরে। আসনের দিক থেকে নৌকা উত্তর চট্টগ্রামের
চেয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এবারকার নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের
সব ক'টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। অথচ উত্তরে ছয়টি আসনের মধ্যে
নৌকার বিজয়ী প্রার্থী আছেন চারজন। তার পরও উত্তরের তুলনায় যোজন যোজন
পিছিয়ে দক্ষিণের এমপিরা।
উত্তরের আসন রাঙ্গুনিয়ায় আছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এই নেতা নবম সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী। নির্বাচনকালীন সরকারেও একই দফতরে পুনর্বহাল ছিলেন তিনি। তাই দশম সংসদেও মন্ত্রী পদে অনেকটাই নিশ্চিত ড. হাছান মাহমুদ। উত্তরের আরেকটি আসন হাটহাজারী। এখানে নৌকার মাঝি ছিল না সর্বশেষ দুই সংসদ নির্বাচনে। তার পরও এ আসনের বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন মন্ত্রিত্বের স্বাদ।
জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচনকালীন সরকারে ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনার পেছনে তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হলে তাই আবারও মন্ত্রী পদে দেখা যাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। রাউজানের এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীও এবার পেতে পারেন মন্ত্রিত্বের স্বাদ। টানা তিন সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে ফজলে করিম চৌধুরীকে। তা ছাড়া নবম সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি।
উত্তরের সৌভাগ্য তালিকা দীর্ঘ হবে আরও। কারণ, উত্তরের মিরসরাই আসনে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন দু'জন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবার নিয়ে তিনবার এমপি হয়েছেন মিরসরাই থেকে; আছেন দলের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরামেও। তাই মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এবার এগিয়ে আছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ। একই আসনে এমপি না হয়েও সরকারের সর্বোচ্চ পর্ষদে আছেন সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ূয়া। নবম সংসদ নির্বাচনের পর তিনি ছিলেন মহাজোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী। নির্বাচনকালীন সরকারের সময় দিলীপ বড়ূয়াকে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদ।
একই চিত্র মহানগরের বাকলিয়া-কোতোয়ালি আসনকে ঘিরেও। এখানে এবারে বিজয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। গতবারের এমপি নুরুল ইসলাম বিএসসিকে বসিয়ে রেখে এবারে এ আসনে নির্বাচন করেছেন জাতীয় পার্টির বাবলু। নির্বাচনকালীন সরকারে বাবলু ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তাই নতুন মন্ত্রিসভায়ও দেখা যেতে পারে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে। আবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকার পুরস্কার হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেতে পারেন নুরুল ইসলাম বিএসসি।
অবশ্য বিএনপি সরকার গঠন করলে কিছুটা হাসে দক্ষিণের মানুষ। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে দক্ষিণ থেকে যোগাযোগমন্ত্রী হন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ২০০১ সালে ফের বিএনপি সরকারে এলে দক্ষিণ থেকে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রীর পদ পান জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে কখনোই মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হননি দক্ষিণের কোনো এমপি। অথচ দক্ষিণের আনোয়ারা উপজেলাতেই ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু; ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মতো নেতারাও।
উত্তরের আসন রাঙ্গুনিয়ায় আছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এই নেতা নবম সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী। নির্বাচনকালীন সরকারেও একই দফতরে পুনর্বহাল ছিলেন তিনি। তাই দশম সংসদেও মন্ত্রী পদে অনেকটাই নিশ্চিত ড. হাছান মাহমুদ। উত্তরের আরেকটি আসন হাটহাজারী। এখানে নৌকার মাঝি ছিল না সর্বশেষ দুই সংসদ নির্বাচনে। তার পরও এ আসনের বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন মন্ত্রিত্বের স্বাদ।
জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচনকালীন সরকারে ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনার পেছনে তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হলে তাই আবারও মন্ত্রী পদে দেখা যাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। রাউজানের এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীও এবার পেতে পারেন মন্ত্রিত্বের স্বাদ। টানা তিন সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে ফজলে করিম চৌধুরীকে। তা ছাড়া নবম সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি।
উত্তরের সৌভাগ্য তালিকা দীর্ঘ হবে আরও। কারণ, উত্তরের মিরসরাই আসনে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন দু'জন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবার নিয়ে তিনবার এমপি হয়েছেন মিরসরাই থেকে; আছেন দলের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরামেও। তাই মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এবার এগিয়ে আছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ। একই আসনে এমপি না হয়েও সরকারের সর্বোচ্চ পর্ষদে আছেন সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ূয়া। নবম সংসদ নির্বাচনের পর তিনি ছিলেন মহাজোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী। নির্বাচনকালীন সরকারের সময় দিলীপ বড়ূয়াকে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদ।
একই চিত্র মহানগরের বাকলিয়া-কোতোয়ালি আসনকে ঘিরেও। এখানে এবারে বিজয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। গতবারের এমপি নুরুল ইসলাম বিএসসিকে বসিয়ে রেখে এবারে এ আসনে নির্বাচন করেছেন জাতীয় পার্টির বাবলু। নির্বাচনকালীন সরকারে বাবলু ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তাই নতুন মন্ত্রিসভায়ও দেখা যেতে পারে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে। আবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকার পুরস্কার হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেতে পারেন নুরুল ইসলাম বিএসসি।
অবশ্য বিএনপি সরকার গঠন করলে কিছুটা হাসে দক্ষিণের মানুষ। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে দক্ষিণ থেকে যোগাযোগমন্ত্রী হন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ২০০১ সালে ফের বিএনপি সরকারে এলে দক্ষিণ থেকে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রীর পদ পান জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে কখনোই মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হননি দক্ষিণের কোনো এমপি। অথচ দক্ষিণের আনোয়ারা উপজেলাতেই ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু; ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মতো নেতারাও।
No comments