বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সংলাপে বসুন
বাংলাদেশে
সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে
সংলাপে বসতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের
উচ্চকক্ষ সিনেট। সিনেটে পাস হওয়া এক প্রস্তাবে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিন্দা
জানানো হয় এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর
নেতাদের প্রতি সরাসরি ও অর্থবহ আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। বহুল আলোচিত
প্রস্তাবটি গত মঙ্গলবার পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
প্রকাশ করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, সাধারণভাবে বাংলাদেশ সহিষ্ণু হিসেবে
পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় চরমপন্থার উত্থানে উদ্বেগ সৃষ্টি
হয়েছে। ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে শতাধিক বাংলাদেশির প্রাণহানি, অর্থনীতির
ওপর আঘাত এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ায় প্রস্তাবে উদ্বেগ
প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর প্রস্তাবটি সিনেট কমিটিতে তোলার এক সপ্তাহ পর এ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাবটি প্রায় হুবহু গ্রহণ করায় এতে ৫ জানুয়ারির ভোটের আগের পরিস্থিতিই উঠে এসেছে।
পাঁচজন সিনেটর_ রিচার্ড ডারবিন, জন বুজম্যান, বারবারা বক্সার, মাইকেল বি এঞ্জি ও ক্রিস্টোফার এস মার্ফি প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধকে দায়ী করে প্রস্তাবে ছয়টি সুনির্দিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এবং এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো_ ১. বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরাসরি এবং অর্থবহ সংলাপ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে; ২. রাজনৈতিক অচলাবস্থায় বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে মন্তব্য করে প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে; ৩. অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের উদ্যোগ নিয়ে এবং নাশকতার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের পথ সুগম করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে; ৪. নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা এবং অবাধ গতিবিধির নিশ্চয়তা দিতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে (যদিও যুক্তরাষ্ট্র গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি); ৫. বাংলাদেশের রাজনৈতিক মতবিরোধ দূর করতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগে শুরু হওয়া আলোচনা প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সিনেট এবং ৬. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্তা বন্ধে ও গ্রামীণ ব্যাংকের 'স্বাধীনতা' ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সিনেটে গৃহীত প্রস্তাবের পটভূমিতে বলা হয়েছে :১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের আলাদা হওয়ার পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বারবার সামরিক সরকারের ক্ষমতা দখল, বারবার রাজনৈতিক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপন্ন হয়ে পড়া এবং রাজনৈতিক সংঘাত ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষাপটে সামরিক হস্তক্ষেপে ২০০৭ সালের জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত হওয়া ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে এ প্রস্তাবে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় থাকা দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বন্দ্বের কারণে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে বলেও মার্কিন সিনেট মনে করছে।
শত প্রতিকূলতার পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্য ও বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখতে পারায় প্রশংসাও করা হয়েছে এ প্রস্তাবে। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের স্বাধীনতায় 'সরকারের হস্তক্ষেপের' সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে আন্তর্জাতিক মানের ঘাটতি রয়েছে বলে প্রস্তাবের ভূমিকায় বলা হয়েছে। বাংলাদেশকে এতে তুলে ধরা হয়েছে 'উদার ও বৈচিত্র্যময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের গণতন্ত্রের' উদাহরণ হিসেবে।
প্রস্তাবটি এখন বিল হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রস্তাবটি (রেজুলেশন ৩১৮) সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পাস হওয়ার ফলে বিষয়টি নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এ ছাড়া সিনেট এখন চাইলে ফরেন রিলেশন কমিটিতে শুনানি বা কোনো নির্দেশনাও দিতে পারবে।
গত ১১ ডিসেম্বর প্রস্তাবটি সিনেট কমিটিতে তোলার এক সপ্তাহ পর এ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাবটি প্রায় হুবহু গ্রহণ করায় এতে ৫ জানুয়ারির ভোটের আগের পরিস্থিতিই উঠে এসেছে।
পাঁচজন সিনেটর_ রিচার্ড ডারবিন, জন বুজম্যান, বারবারা বক্সার, মাইকেল বি এঞ্জি ও ক্রিস্টোফার এস মার্ফি প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধকে দায়ী করে প্রস্তাবে ছয়টি সুনির্দিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এবং এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো_ ১. বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরাসরি এবং অর্থবহ সংলাপ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে; ২. রাজনৈতিক অচলাবস্থায় বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে মন্তব্য করে প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে; ৩. অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের উদ্যোগ নিয়ে এবং নাশকতার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের পথ সুগম করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে; ৪. নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা এবং অবাধ গতিবিধির নিশ্চয়তা দিতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে (যদিও যুক্তরাষ্ট্র গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি); ৫. বাংলাদেশের রাজনৈতিক মতবিরোধ দূর করতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগে শুরু হওয়া আলোচনা প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সিনেট এবং ৬. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্তা বন্ধে ও গ্রামীণ ব্যাংকের 'স্বাধীনতা' ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সিনেটে গৃহীত প্রস্তাবের পটভূমিতে বলা হয়েছে :১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের আলাদা হওয়ার পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বারবার সামরিক সরকারের ক্ষমতা দখল, বারবার রাজনৈতিক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপন্ন হয়ে পড়া এবং রাজনৈতিক সংঘাত ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষাপটে সামরিক হস্তক্ষেপে ২০০৭ সালের জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত হওয়া ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে এ প্রস্তাবে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় থাকা দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বন্দ্বের কারণে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে বলেও মার্কিন সিনেট মনে করছে।
শত প্রতিকূলতার পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্য ও বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখতে পারায় প্রশংসাও করা হয়েছে এ প্রস্তাবে। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের স্বাধীনতায় 'সরকারের হস্তক্ষেপের' সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে আন্তর্জাতিক মানের ঘাটতি রয়েছে বলে প্রস্তাবের ভূমিকায় বলা হয়েছে। বাংলাদেশকে এতে তুলে ধরা হয়েছে 'উদার ও বৈচিত্র্যময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের গণতন্ত্রের' উদাহরণ হিসেবে।
প্রস্তাবটি এখন বিল হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রস্তাবটি (রেজুলেশন ৩১৮) সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পাস হওয়ার ফলে বিষয়টি নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এ ছাড়া সিনেট এখন চাইলে ফরেন রিলেশন কমিটিতে শুনানি বা কোনো নির্দেশনাও দিতে পারবে।
No comments