বার্কলেস ব্যাংকের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তে বৃটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা রুশানারা আলী এমপির by তানজির আহমেদ রাসেল
যুক্তরাজ্যের বার্কলেস ব্যাংক বাংলাদেশী
ব্যাংকের একাউন্ট বন্ধের ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৃটিশ শ্যাডো
ডিএফআইডি মিনিষ্টার ও বেথনাল গ্রীন এন্ড বো আসনের এমপি রুশানারা আলী।
তিনি
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ঢালাওভাবে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ
করে দেয়া কোনভাবেই বৃটেনের ভাবমূর্তির জন্য শুভ নয়। রুশানারা আলী এমপি
বার্কলেস ব্যাংকের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তে বৃটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা
করেন। তিনি বলেন বার্কলেস ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে উন্নয়নশীল দেশে
বিরূপ প্রভাব পড়বে। গত ২ জুলাই হাউজ অব কমন্সের কমিটি রুমে আয়োজিত এক সভায়
বৃটিশ পার্লামেন্টের ৯ জন এমপিকে সাথে নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন মানি
ট্রান্সফার কোম্পানীগুলোর স্বার্থ রক্ষায় এক ক্যাম্পেইন কর্মসূচী ঘোষণাকালে
তিনি এ কথা বলেন।
গত মে মাসে বার্কলেস ব্যাংক বৃটেনের মানি ট্রান্সফার এজেন্সীগুলোকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়। এর ফলে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণকারী প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও ১১ টি বাংলাদেশী বিভিন্ন ব্যাংকের মালিকানাধীন এজেন্সি বন্ধের ঝুঁকিতে পড়েছে। । মানি ট্রান্সফার ব্যাবসার আড়ালে অবৈধ অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের মত ঝুঁকি থাকায় বার্কলেস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারী মিনিষ্টার সাজিদ জাবিদ, লেবার পার্টি এমপি জিম ফিটজপেট্রিক, স্টিফেন টিম এমপি, বারেন্দ্রর শর্মা, কেভিন বর্মেন, জর্ডান এ্যাশওয়ার্থ, কার্ডিফ সাউথ এমপি ও কার্ডিফ ওয়েস্ট-এর এমপি।। মতবিনিময় সভায় মানি ট্রান্সফার ব্যবসায়ী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপমেন্ট সেক্রেটারী জাস্টিন গ্রিনিং।
মতবিনিময় সভায় ট্রেজারী মিনিষ্টার সাজিদ জাবিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হুন্ডি প্রতিরোধ ইস্যুতে তদন্তের পর এইচএসবিসিসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংককে বড় অংকের জরিমানা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনার পুণরাবৃত্তি রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইনের কারণে যে সব ব্যাংক গ্লোবাল ব্যাংকিং চালাচ্ছে তাদেরকে লাইসেন্স প্রত্যাহারসহ নানাধরণের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। এসব কারণে ব্যাংকিং খাত হয়তো কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করছে। তিনি কমপ্লাইন্স ইস্যুর প্রসঙ্গ তুলে বড় কোম্পানীর সাথে ছোট ছোট কোম্পানীগুলোর পদ্ধতিগত ইস্যুতে পার্থক্য থাকার সম্ভাবনার কথা উত্থাপন করলে সভায় উপস্থিত মানি ট্রান্সফার কোম্পানীর সাথে সংশ্লিষ্টরা বড় কোম্পানীর সাথে ছোট কোম্পানীর কমপ্লাইন্সগত কোন তফাৎ নেই বলে জানান। তবে তিনি ক্ষুদ্র মানি ট্রান্সফার কোম্পানীগুলোর জন্য সবার সাথে কাজ করার আশ্বাস দেন।
ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য ও স্টিফেন টিম এমপি ক্ষতির সম্মুখীন মানি ট্রান্সফার কোম্পানীগুলোর হিসাব স্থানান্তরে বার্কলেস ব্যাংক আরও ত্রিশ দিন সময় দিয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, বৃটেনে অবস্থানরত বিভিন্ন কমিউনিটির অল্প খরচে মানি ট্রান্সফারের জন্য এ ধরনের কোম্পানীগুলোর গুরুত্ব অনেক। এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। বার্কলেস ব্যাংকের একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে করণীয় ঠিক করতে রুশানারা আলী এমপি কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব, গণমাধ্যম কর্মী এবং মানি ট্রান্সফার কোম্পানীগুলোর নিকট থেকে প্রস্তাব আহ্বান করেন। রুশনারা আলী বার্কলেস ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং সোমালিয়ার মতো দেশের সাথে উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কি ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, একটি ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে এতগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নি:সন্দেহে উদ্বেগজনক। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগও রয়েছে। তার মতে বার্কলেস ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে বৃটেনে মানি ট্রান্সফার ব্যবসায় ক্ষেত্রে মনোপলি ব্যবসার সুযোগ লাভ করতে পারে কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে গ্রাহকরা কম এক্সচেঞ্জ রেইট এবং অধিক ফি প্রদানের শিকার হতে পারেন।
গত মে মাসে বার্কলেস ব্যাংক বৃটেনের মানি ট্রান্সফার এজেন্সীগুলোকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়। এর ফলে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণকারী প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও ১১ টি বাংলাদেশী বিভিন্ন ব্যাংকের মালিকানাধীন এজেন্সি বন্ধের ঝুঁকিতে পড়েছে। । মানি ট্রান্সফার ব্যাবসার আড়ালে অবৈধ অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের মত ঝুঁকি থাকায় বার্কলেস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারী মিনিষ্টার সাজিদ জাবিদ, লেবার পার্টি এমপি জিম ফিটজপেট্রিক, স্টিফেন টিম এমপি, বারেন্দ্রর শর্মা, কেভিন বর্মেন, জর্ডান এ্যাশওয়ার্থ, কার্ডিফ সাউথ এমপি ও কার্ডিফ ওয়েস্ট-এর এমপি।। মতবিনিময় সভায় মানি ট্রান্সফার ব্যবসায়ী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপমেন্ট সেক্রেটারী জাস্টিন গ্রিনিং।
মতবিনিময় সভায় ট্রেজারী মিনিষ্টার সাজিদ জাবিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হুন্ডি প্রতিরোধ ইস্যুতে তদন্তের পর এইচএসবিসিসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংককে বড় অংকের জরিমানা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনার পুণরাবৃত্তি রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইনের কারণে যে সব ব্যাংক গ্লোবাল ব্যাংকিং চালাচ্ছে তাদেরকে লাইসেন্স প্রত্যাহারসহ নানাধরণের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। এসব কারণে ব্যাংকিং খাত হয়তো কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করছে। তিনি কমপ্লাইন্স ইস্যুর প্রসঙ্গ তুলে বড় কোম্পানীর সাথে ছোট ছোট কোম্পানীগুলোর পদ্ধতিগত ইস্যুতে পার্থক্য থাকার সম্ভাবনার কথা উত্থাপন করলে সভায় উপস্থিত মানি ট্রান্সফার কোম্পানীর সাথে সংশ্লিষ্টরা বড় কোম্পানীর সাথে ছোট কোম্পানীর কমপ্লাইন্সগত কোন তফাৎ নেই বলে জানান। তবে তিনি ক্ষুদ্র মানি ট্রান্সফার কোম্পানীগুলোর জন্য সবার সাথে কাজ করার আশ্বাস দেন।
ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য ও স্টিফেন টিম এমপি ক্ষতির সম্মুখীন মানি ট্রান্সফার কোম্পানীগুলোর হিসাব স্থানান্তরে বার্কলেস ব্যাংক আরও ত্রিশ দিন সময় দিয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, বৃটেনে অবস্থানরত বিভিন্ন কমিউনিটির অল্প খরচে মানি ট্রান্সফারের জন্য এ ধরনের কোম্পানীগুলোর গুরুত্ব অনেক। এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। বার্কলেস ব্যাংকের একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে করণীয় ঠিক করতে রুশানারা আলী এমপি কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব, গণমাধ্যম কর্মী এবং মানি ট্রান্সফার কোম্পানীগুলোর নিকট থেকে প্রস্তাব আহ্বান করেন। রুশনারা আলী বার্কলেস ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং সোমালিয়ার মতো দেশের সাথে উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কি ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, একটি ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে এতগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নি:সন্দেহে উদ্বেগজনক। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগও রয়েছে। তার মতে বার্কলেস ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে বৃটেনে মানি ট্রান্সফার ব্যবসায় ক্ষেত্রে মনোপলি ব্যবসার সুযোগ লাভ করতে পারে কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে গ্রাহকরা কম এক্সচেঞ্জ রেইট এবং অধিক ফি প্রদানের শিকার হতে পারেন।
No comments