শিক্ষাঙ্গন জাহাঙ্গীরনগরে এসব কী হচ্ছে?
‘পিতা গড়ে দেহ, শিক্ষক গড়ে মন/পিতা বড়
নাকি শিক্ষক বড়, বলিবে কোন জন’ কবিতার এই লাইনগুলোর সত্যতার প্রমাণ মেলে
শিক্ষাজীবনের শুরুতেই। স্কুল ও কলেজজীবনে বারবার লাইনগুলোর যথার্থতা অনুভব
করতে হয়।
শিক্ষকের ভূমিকা বাবার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একশ্রেণীর শিক্ষক তৈরি হয়ে গেছে, যাঁরা
শিক্ষকতা পেশার চেয়ে ‘রাজনৈতিক স্বার্থ’ হাসিল নিয়েই ব্যতিব্যস্ত থাকতে
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বেশি। শিক্ষকতার চেয়ে রাজনীতিই এখানে যোগ্যতার
মাপকাঠি। ক্ষমতা আর দলাদলিতেই ব্যস্ত ‘মানুষ গড়ার এই কারিগরেরা’।
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের চেয়ে অধিক পছন্দ তাঁদের শিক্ষক ক্লাবে
বসে রাজনীতির নতুন ছক আঁকা।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের পিছু ছাড়ছে না। এখানে শিক্ষার নেই সুষ্ঠু পরিবেশ। দিনের পর দিন শিক্ষক রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। ছোটখাটো বিষয়কে পুঁজি করে শিক্ষকেরা কীভাবে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে পারেন, জাহাঙ্গীরনগরের দিকে না তাকালে তা বোঝাই মুশকিল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, ভূমিকা, ১৯৭৩ অ্যাক্ট সবই আজ প্রশ্নের মুখোমুখি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাতের চেয়েও এই দায় বেশি বহন করতে হবে শিক্ষকদের।
গত বছর ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয়। যথাযথ বিচার না হওয়া এবং শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বড় অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য পদ ছাড়েন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত উপাচার্য হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দায়িত্বকালীন নানা ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শিক্ষকদের বাসা ও প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর, উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র কর্তৃক ছাত্রীদের শারীরিক লাঞ্ছনা, হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়েছে। যৌক্তিক দাবিতে যেকোনো ধরনের আন্দোলনের অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সমস্যা সমাধানের চেয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিকে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বড় করে দেখছেন।
অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গত এক বছরে শিক্ষকেরা চারবার আন্দোলনে নেমেছেন। আর এই চারবারই শিক্ষকদের আন্দোলন উপাচার্য পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়। দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, এসব ক্ষেত্রে অন্যায়ের প্রতিকারের চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থই বড় হয়ে ওঠে বারবার। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক এক শিক্ষককে লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও এখন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতেই অনড় শিক্ষকেরা। অনেক শিক্ষকের মনোযোগ বিভিন্ন ‘পদ’-এর দিকে। এর আগেও উপ-উপাচার্য পদ শূন্য হলে শিক্ষকেরা ভিন্ন ইস্যুতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে শিক্ষকেরা একই পথ অবলম্বন করেন। এখন আবারও শিক্ষক লাঞ্ছনার যথাযথ বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় অর্ধমাস সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। যার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। সেশনজট বাড়ছে দিনে দিনে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার যথাসময়ে বাস্তবায়নের নেই কোনো সম্ভাবনা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শিক্ষকেরা কর্মবিরতি শেষ করে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন। ঝুলিয়ে দেন তালা। শিক্ষকদের বাধার কারণে প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারছেন না। যার ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট, সিনেট, শিক্ষা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে না শিক্ষকদের একটি অংশের বাধায়। শিক্ষকদের বাধায় গত ২০ ও ২১ জুন অনুষ্ঠিত হয়নি সিন্ডিকেট সভা ও বার্ষিক সিনেট অধিবেশন। যেখানে গত বছরের সংশোধিত ও চলতি বছরের বাজেট পাসের কথা ছিল। গত ২৬ জুন বোর্ড অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ এবং শিক্ষা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হতে পারেনি শিক্ষকদের বাধার কারণে। এই সভায় মুখ্যত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ২৭ জুন বেতন নেওয়ার জন্য ঠিকই অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। এ কেমন খেলা?
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সকাল সাতটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে বসে থেকে তাঁদের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে এসে ক্লাস না করেই ফিরে যাচ্ছেন। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করে উপাচার্যকে চাপে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা সৃষ্টি করে শিক্ষকদের কেউ কেউ রাজনৈতিক হিসাব মেলাতে চাইছেন, আবার কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে উঠেপড়ে লেগেছেন। এভাবে চলতে থাকলে গরিব মানুষের পয়সায় চলা বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুতই পড়বে মুখ থুবড়ে। পবিত্র এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন সবার। উপাচার্যের ত্রুটি থাকলে সমালোচনার সুযোগ যথেষ্ট রয়েছে। ভ্রম সংশোধনে উপাচার্যকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা সহায়তাও করতে পারেন উদার চিত্তে। আন্দোলনের নামে সময় ও শিক্ষাজীবনের এই ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না।
মেহেদী হাসান, বিপ্লব দাস, সাইদুর রহমান, সাজ্জাদুল আলম: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরের পিছু ছাড়ছে না। এখানে শিক্ষার নেই সুষ্ঠু পরিবেশ। দিনের পর দিন শিক্ষক রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। ছোটখাটো বিষয়কে পুঁজি করে শিক্ষকেরা কীভাবে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে পারেন, জাহাঙ্গীরনগরের দিকে না তাকালে তা বোঝাই মুশকিল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, ভূমিকা, ১৯৭৩ অ্যাক্ট সবই আজ প্রশ্নের মুখোমুখি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাতের চেয়েও এই দায় বেশি বহন করতে হবে শিক্ষকদের।
গত বছর ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হতে হয়। যথাযথ বিচার না হওয়া এবং শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বড় অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য পদ ছাড়েন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত উপাচার্য হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দায়িত্বকালীন নানা ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শিক্ষকদের বাসা ও প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর, উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র কর্তৃক ছাত্রীদের শারীরিক লাঞ্ছনা, হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়েছে। যৌক্তিক দাবিতে যেকোনো ধরনের আন্দোলনের অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সমস্যা সমাধানের চেয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিকে আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বড় করে দেখছেন।
অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গত এক বছরে শিক্ষকেরা চারবার আন্দোলনে নেমেছেন। আর এই চারবারই শিক্ষকদের আন্দোলন উপাচার্য পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়। দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, এসব ক্ষেত্রে অন্যায়ের প্রতিকারের চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থই বড় হয়ে ওঠে বারবার। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক এক শিক্ষককে লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও এখন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতেই অনড় শিক্ষকেরা। অনেক শিক্ষকের মনোযোগ বিভিন্ন ‘পদ’-এর দিকে। এর আগেও উপ-উপাচার্য পদ শূন্য হলে শিক্ষকেরা ভিন্ন ইস্যুতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে শিক্ষকেরা একই পথ অবলম্বন করেন। এখন আবারও শিক্ষক লাঞ্ছনার যথাযথ বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় অর্ধমাস সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। যার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী। সেশনজট বাড়ছে দিনে দিনে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার যথাসময়ে বাস্তবায়নের নেই কোনো সম্ভাবনা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শিক্ষকেরা কর্মবিরতি শেষ করে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন। ঝুলিয়ে দেন তালা। শিক্ষকদের বাধার কারণে প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারছেন না। যার ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেট, সিনেট, শিক্ষা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে না শিক্ষকদের একটি অংশের বাধায়। শিক্ষকদের বাধায় গত ২০ ও ২১ জুন অনুষ্ঠিত হয়নি সিন্ডিকেট সভা ও বার্ষিক সিনেট অধিবেশন। যেখানে গত বছরের সংশোধিত ও চলতি বছরের বাজেট পাসের কথা ছিল। গত ২৬ জুন বোর্ড অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ এবং শিক্ষা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হতে পারেনি শিক্ষকদের বাধার কারণে। এই সভায় মুখ্যত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ২৭ জুন বেতন নেওয়ার জন্য ঠিকই অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। এ কেমন খেলা?
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সকাল সাতটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে বসে থেকে তাঁদের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে এসে ক্লাস না করেই ফিরে যাচ্ছেন। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করে উপাচার্যকে চাপে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা সৃষ্টি করে শিক্ষকদের কেউ কেউ রাজনৈতিক হিসাব মেলাতে চাইছেন, আবার কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে উঠেপড়ে লেগেছেন। এভাবে চলতে থাকলে গরিব মানুষের পয়সায় চলা বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুতই পড়বে মুখ থুবড়ে। পবিত্র এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন সবার। উপাচার্যের ত্রুটি থাকলে সমালোচনার সুযোগ যথেষ্ট রয়েছে। ভ্রম সংশোধনে উপাচার্যকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা সহায়তাও করতে পারেন উদার চিত্তে। আন্দোলনের নামে সময় ও শিক্ষাজীবনের এই ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না।
মেহেদী হাসান, বিপ্লব দাস, সাইদুর রহমান, সাজ্জাদুল আলম: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
No comments