গল্পটা বেলীর by আশরাফ উল্লাহ
গানের শুরু কিছুটা লুকোচুরির মধ্যে। তখন
তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। বাবার বারণ—ঘরে গান চলবে না। কিন্তু গানপাগল মেয়েটি
নাছোড়বান্দা। মাও প্রশ্রয় দেন। পাশে দাঁড়ান বড় ভাই। বিদ্যালয়ের গণ্ডি
পেরোনোর আগেই ভাইয়া হাতে ধরিয়ে দেন ড্রামের কাঠি।
ভাইয়ার
সঙ্গে বাজাতে বাজাতে একসময় পোক্ত হয়ে যান ড্রামে। আর কি বসে থাকা যায়! গঠন
করলেন ব্যান্ড দল। নাম দিলেন ব্লু বার্ডস। এর পরের গল্প মঞ্চ জয়ের। জানান
দিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। তিনি আর কেউ নন, ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর বেলী।
চ্যানেল নাইনের রিয়েলিটি শো ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এ সেরা ছয়ে স্থান পেয়ে গানের জগতে নিজের জায়গা করে নিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে আফরোজা বেলী। সম্প্রতি প্রথম আলো চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কথায় কথায় উঠে আসে তাঁর বেড়ে ওঠার গল্প।
শিরোপার কাছাকাছি এসে জিততে পারেননি। কোনো আক্ষেপ কি আছে? দম নিয়ে বলা শুরু করেন বেলী। ‘কোনো আক্ষেপ নেই। আমার লক্ষ্য ছিল নিজেকে তৈরি করা। সেই পথে আমি অনেক দূর এগিয়েছি। এখন নতুন করে গানের জীবন শুরু করব। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল আগে থেকেই, “পাওয়ার ভয়েজ” সেই ভিত আরও শক্ত করে দিয়েছে। কারণ, সব ধরনের গান গাইতে হয়েছে প্রতিযোগিতায়। প্রতিটি ধাপ সুচারুরূপে করার চেষ্টার করেছি। যার ফলও পেয়েছি—সেরা ছয়ে অবস্থান।’
‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর মহাগুরু প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার একটি কথা বারবার বেলীর কানে বাজে—‘তুমি ভাইরসেটাইল শিল্পী।’ সেই কথা উঠতেই একটু যেন আবেগতাড়িত হলেন। বললেন, ‘আমার দুবার ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু দুবারই খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেছেন মহাগুরু। তাঁর এই ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ রুনা ম্যামের কাছে।’
বেলী জানান, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের মতো হাজারো শ্রোতার মন কাড়বেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ‘পাওয়ার ভয়েজ’ও খুঁজেছে মঞ্চমাতানো শিল্পীদের। বেলীর অবস্থান সেই জায়গায় বেশ শক্ত। প্রতিটি পর্বে গায়কি অভিব্যক্তির জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
বেলী এর মধ্যে প্লেব্যাক করেছেন তিনটি চলচ্চিত্রে—রাঙা মন, মাটির পিঞ্জিরা ও উতলা মন। এ ছাড়া ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর সেরা ছয় ও ১০ শিল্পীকে নিয়ে বের হবে দুটি অ্যালবাম। এর কাজ শুরু হবে শিগগির। এখন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে গান করছেন নিয়মিত।
বেলীর এত দূর আসার পেছনে নেপথ্যে কাজ করেছেন আরও একজন। তাঁর স্বামী মেজবাহ উদ্দিন ওরফে ঝিনুক, যিনি পাশে থেকে সব সময় সাহস জুগিয়েছেন। তিনি নিজেও শিল্পী। ইতিমধ্যে দুটি অ্যালবাম বেরিয়েছে তাঁর। কথার ফাঁকে স্বামীর কথা উঠতেই পাশে বসা ঝিনুকের দিকে মুচকি হেসে তাকান বেলী, যে হাসি কৃতজ্ঞতায় ভরা। বলেন, ‘আমার আজকের অবস্থানের পেছনে ঝিনুকের অবদান বেশি।’
ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবেন? বেলীর ঝটপট উত্তর, ‘গানই আমার প্রাণ। সারা জীবন গানেই থাকব।’
চ্যানেল নাইনের রিয়েলিটি শো ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এ সেরা ছয়ে স্থান পেয়ে গানের জগতে নিজের জায়গা করে নিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে আফরোজা বেলী। সম্প্রতি প্রথম আলো চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কথায় কথায় উঠে আসে তাঁর বেড়ে ওঠার গল্প।
শিরোপার কাছাকাছি এসে জিততে পারেননি। কোনো আক্ষেপ কি আছে? দম নিয়ে বলা শুরু করেন বেলী। ‘কোনো আক্ষেপ নেই। আমার লক্ষ্য ছিল নিজেকে তৈরি করা। সেই পথে আমি অনেক দূর এগিয়েছি। এখন নতুন করে গানের জীবন শুরু করব। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল আগে থেকেই, “পাওয়ার ভয়েজ” সেই ভিত আরও শক্ত করে দিয়েছে। কারণ, সব ধরনের গান গাইতে হয়েছে প্রতিযোগিতায়। প্রতিটি ধাপ সুচারুরূপে করার চেষ্টার করেছি। যার ফলও পেয়েছি—সেরা ছয়ে অবস্থান।’
‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর মহাগুরু প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার একটি কথা বারবার বেলীর কানে বাজে—‘তুমি ভাইরসেটাইল শিল্পী।’ সেই কথা উঠতেই একটু যেন আবেগতাড়িত হলেন। বললেন, ‘আমার দুবার ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু দুবারই খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেছেন মহাগুরু। তাঁর এই ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ রুনা ম্যামের কাছে।’
বেলী জানান, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের মতো হাজারো শ্রোতার মন কাড়বেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ‘পাওয়ার ভয়েজ’ও খুঁজেছে মঞ্চমাতানো শিল্পীদের। বেলীর অবস্থান সেই জায়গায় বেশ শক্ত। প্রতিটি পর্বে গায়কি অভিব্যক্তির জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
বেলী এর মধ্যে প্লেব্যাক করেছেন তিনটি চলচ্চিত্রে—রাঙা মন, মাটির পিঞ্জিরা ও উতলা মন। এ ছাড়া ‘পাওয়ার ভয়েজ’-এর সেরা ছয় ও ১০ শিল্পীকে নিয়ে বের হবে দুটি অ্যালবাম। এর কাজ শুরু হবে শিগগির। এখন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে গান করছেন নিয়মিত।
বেলীর এত দূর আসার পেছনে নেপথ্যে কাজ করেছেন আরও একজন। তাঁর স্বামী মেজবাহ উদ্দিন ওরফে ঝিনুক, যিনি পাশে থেকে সব সময় সাহস জুগিয়েছেন। তিনি নিজেও শিল্পী। ইতিমধ্যে দুটি অ্যালবাম বেরিয়েছে তাঁর। কথার ফাঁকে স্বামীর কথা উঠতেই পাশে বসা ঝিনুকের দিকে মুচকি হেসে তাকান বেলী, যে হাসি কৃতজ্ঞতায় ভরা। বলেন, ‘আমার আজকের অবস্থানের পেছনে ঝিনুকের অবদান বেশি।’
ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবেন? বেলীর ঝটপট উত্তর, ‘গানই আমার প্রাণ। সারা জীবন গানেই থাকব।’
No comments