বলিউড নতুন রূপে বিদ্যা
বলিউডে প্রথম ছবিতেই সেরা নবাগতার
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। এরপর পা, ইশকিয়া, ডার্টি পিকচার ও কাহানি—গত কয়েক
বছরের অভিনীত ছবিগুলোয় একের পর এক অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ারে জুটেছে
সেরা অভিনেত্রী পুরস্কারও।
সেই ফিল্মফেয়ারের
ব্যাকস্টেজেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে প্রথমবার দেখা বিদ্যার। অতঃপর দুজনের
প্রেম-ভালোবাসার লুকোচুরি শেষে গত বছর বিয়েটাও হয়ে গেল। বলিউডপাড়ার কন্যারা
যখন তাঁর দাপুটে ক্যারিয়ার নিয়ে হিংসায় জ্বলছেন, বি-টাউনের লেডি খান তখন
স্বামীর সঙ্গে হানিমুন মুডে কিছুটা অবসর কাটিয়ে নিলেন। তবে দর্শকদের মন জয়
করতে প্রযোজক স্বামী সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের হাত ধরেই নতুন ছবি নিয়ে আবারও
হাজির বিদ্যা। এবার ভিন্ন ধাঁচের কমেডি চরিত্রে অভিনয়ে মজার চমক নিয়ে
এসেছেন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া বলিউডের অন্যতম এই সেরা অভিনেত্রী। পরিণীতায়
বাঙালি মেয়ে, ডার্টি পিকচার-এ দক্ষিণী নায়িকার পর এবার পাঞ্জাবি মেয়ের
ভূমিকায় বিদ্যা বালান।
ছবির নাম ঘনচক্কর। গল্পের শুরুটা একটা ব্যাংক ডাকাতিকে ঘিরে। আর সেই ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য সঞ্জু (এমরান হাশমি)। স্ত্রী নীতুর (বিদ্যা বালান) নিত্যনতুন চাহিদা মেটাতেই সঞ্জুর এই ডাকাতির পথ বেছে নেওয়া। তবে একটা সময় সেই কাজের প্রতি তার অনীহা চলে আসে। সঞ্জু তার বাকি দুই পার্টনারের সঙ্গে মিলে স্থির করে, এসব চুরিচামারি আর নয়, বাকি জীবনটা সহজ-সরল পথেই কাটিয়ে দেবে তারা। দরকার শুধু একটা জুৎসই ব্যাংকে হাত সাফ করা, যাতে ডাকাতির টাকা-পয়সা দিয়ে বাকিটা জীবন নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সঞ্জু তার দুই সঙ্গীকে নিয়ে অভিযান চালায় একটি ব্যাংকে। যথারীতি সফলও হয় তাদের মিশন। ব্যাঙ্কের ভল্ট ভেঙে সোজা ৪৫ কোটি টাকা চুরি করে পুরো টাকাই সঞ্জুর হেফাজতে রেখে দেওয়া হয়। তিন বন্ধুতে চুক্তি হয়, পুলিশ আর মিডিয়া একটু ঝিমিয়ে পড়লেই সঞ্জুর বাসা থেকে প্রত্যেকের ভাগ বুঝে নিজেদের পথে চিরদিনের জন্য হাঁটা দেবে বাকি দুজন। দুই মাস পর যখন সবাই মোটামুটি ভুলেই গেছে ওই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা, সঙ্গীরা ভাগের টাকা আদায় করতে এলে ভাগ তো দূরের কথা, তাদের চিনতেই অস্বীকার করে সঞ্জু। কোনো কিছুই মনে করতে না পারার ভান করে সে। শেষ পর্যন্ত সঞ্জু ও নীতুর কী হবে, তা জানা যাবে বড় পর্দায়—এমনই এক গল্প নিয়ে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক রাজকুমার গুপ্তার কমেডি থ্রিলার ঘনচক্কর।
বিদ্যা বালানের জন্য প্রথম কমেডি ছবি। বরাবরের মতো দর্শকদের সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু দেওয়ার প্রত্যয়ে বিদ্যাকে আবারও দেখা যাচ্ছে নতুন এক রূপে। ছবিতে বিদ্যা একজন উচ্ছল, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা পাঞ্জাবি গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো, এ ছবিতে উদ্ভট ধরনের পোশাক পরে হাজির হতে হয়েছে বিদ্যাকে। আর এই উদ্ভট টাইপের পোশাকের ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনাররা সত্যিই নাকি বিপাকে পড়ে গেছেন। নীতু চরিত্রে তাঁর কথাবার্তা, কাণ্ডকীর্তি, বিচিত্র সাজ-পোশাক ইত্যাদি দেখে নাকি রীতিমতো চমকে উঠবেন দর্শকেরা। এমন একটি নারী চরিত্রে অভিনয়ে বিদ্যা বালানের আন্তরিকতা ও সাহসিকতা ছবির পরিচালক রাজকুমার গুপ্তকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। এই পরিচালকের আগের ছবি নো ওয়ান কিল্ড জেসিকায়ও অন্যতম প্রধান চরিত্রে বিদ্যা অভিনয় করেছিলেন, যা ২০১১ সালের ব্যবসাসফল ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল। তাই ঘনচক্কর নিয়ে বেশ স্নায়ুচাপেই রয়েছেন বিদ্যা, ‘আমি নার্ভাস, কারণ এটি আমার প্রথম কমেডি ছবি। আমি সত্যিই দর্শকদের হাসাতে পারব কি না, তাই নিয়ে চিন্তিত। সন্দেহ নেই, নীতু চরিত্রটি আমার জন্য চমৎকার মজার অভিজ্ঞতা। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি এ চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে। আমি সব সময়ই একটি কমেডি ছবি করতে উদগ্রীব ছিলাম। একজন আদর্শ অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্রের সব শাখায় বিচরণ করাই ভালো। আশা করছি ঘনচক্কর দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে আমার মধ্যে পরিপূর্ণতা আসবে।’
ডার্টি পিকচার-এর পর আবারও এমরান হাশমির সঙ্গে জুটি বাঁধলেন বিদ্যা। আর এই দুই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যার অভিনয়ের দারুণ ভক্ত হয়ে গেছেন এমরান হাশমি নিজেই। ছবির প্রচারণামূলক এক অনুষ্ঠানে এমরান বলেন, ‘আমি ওর অভিনয়ের দারুণ ভক্ত। ও পর্দায় যা-ই করে, আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। এর কারণ, বিদ্যা একেবারে ভিন্নধর্মী কাজ করে সব সময়। সে কারণেই ও স্বতন্ত্র। ছবিতে শুধু বিদ্যার নতুন লুক নয়, ছবির প্রমোশনেও ছিল চমক।’ ছবিতে মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে, তাই বিদ্যা ও এমরান হাশমি লোকাল ট্রেনে ছবির প্রমোশন করেছেন। এ ছাড়া ছবির প্রচারণা ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে ছবিটিকে ভিডিও গেম আকারেও প্রকাশ করা হচ্ছে। ঘনচক্কর ছবির ভিন্ন আঙ্গিকের গানগুলোর সংগীত আয়োজনে আছেন সংগীত পরিচালক অমিত ত্রিভেদী।
সাজিদুল হক
জিনিউজ, ফিল্মফেয়ার, ইন্ডিয়া টাইমস, বলিউড হাঙ্গামা, রেডিফ, আইএমডিবি অবলম্বনে
ছবির নাম ঘনচক্কর। গল্পের শুরুটা একটা ব্যাংক ডাকাতিকে ঘিরে। আর সেই ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য সঞ্জু (এমরান হাশমি)। স্ত্রী নীতুর (বিদ্যা বালান) নিত্যনতুন চাহিদা মেটাতেই সঞ্জুর এই ডাকাতির পথ বেছে নেওয়া। তবে একটা সময় সেই কাজের প্রতি তার অনীহা চলে আসে। সঞ্জু তার বাকি দুই পার্টনারের সঙ্গে মিলে স্থির করে, এসব চুরিচামারি আর নয়, বাকি জীবনটা সহজ-সরল পথেই কাটিয়ে দেবে তারা। দরকার শুধু একটা জুৎসই ব্যাংকে হাত সাফ করা, যাতে ডাকাতির টাকা-পয়সা দিয়ে বাকিটা জীবন নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সঞ্জু তার দুই সঙ্গীকে নিয়ে অভিযান চালায় একটি ব্যাংকে। যথারীতি সফলও হয় তাদের মিশন। ব্যাঙ্কের ভল্ট ভেঙে সোজা ৪৫ কোটি টাকা চুরি করে পুরো টাকাই সঞ্জুর হেফাজতে রেখে দেওয়া হয়। তিন বন্ধুতে চুক্তি হয়, পুলিশ আর মিডিয়া একটু ঝিমিয়ে পড়লেই সঞ্জুর বাসা থেকে প্রত্যেকের ভাগ বুঝে নিজেদের পথে চিরদিনের জন্য হাঁটা দেবে বাকি দুজন। দুই মাস পর যখন সবাই মোটামুটি ভুলেই গেছে ওই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা, সঙ্গীরা ভাগের টাকা আদায় করতে এলে ভাগ তো দূরের কথা, তাদের চিনতেই অস্বীকার করে সঞ্জু। কোনো কিছুই মনে করতে না পারার ভান করে সে। শেষ পর্যন্ত সঞ্জু ও নীতুর কী হবে, তা জানা যাবে বড় পর্দায়—এমনই এক গল্প নিয়ে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক রাজকুমার গুপ্তার কমেডি থ্রিলার ঘনচক্কর।
বিদ্যা বালানের জন্য প্রথম কমেডি ছবি। বরাবরের মতো দর্শকদের সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু দেওয়ার প্রত্যয়ে বিদ্যাকে আবারও দেখা যাচ্ছে নতুন এক রূপে। ছবিতে বিদ্যা একজন উচ্ছল, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা পাঞ্জাবি গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো, এ ছবিতে উদ্ভট ধরনের পোশাক পরে হাজির হতে হয়েছে বিদ্যাকে। আর এই উদ্ভট টাইপের পোশাকের ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনাররা সত্যিই নাকি বিপাকে পড়ে গেছেন। নীতু চরিত্রে তাঁর কথাবার্তা, কাণ্ডকীর্তি, বিচিত্র সাজ-পোশাক ইত্যাদি দেখে নাকি রীতিমতো চমকে উঠবেন দর্শকেরা। এমন একটি নারী চরিত্রে অভিনয়ে বিদ্যা বালানের আন্তরিকতা ও সাহসিকতা ছবির পরিচালক রাজকুমার গুপ্তকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। এই পরিচালকের আগের ছবি নো ওয়ান কিল্ড জেসিকায়ও অন্যতম প্রধান চরিত্রে বিদ্যা অভিনয় করেছিলেন, যা ২০১১ সালের ব্যবসাসফল ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছিল। তাই ঘনচক্কর নিয়ে বেশ স্নায়ুচাপেই রয়েছেন বিদ্যা, ‘আমি নার্ভাস, কারণ এটি আমার প্রথম কমেডি ছবি। আমি সত্যিই দর্শকদের হাসাতে পারব কি না, তাই নিয়ে চিন্তিত। সন্দেহ নেই, নীতু চরিত্রটি আমার জন্য চমৎকার মজার অভিজ্ঞতা। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি এ চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে। আমি সব সময়ই একটি কমেডি ছবি করতে উদগ্রীব ছিলাম। একজন আদর্শ অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্রের সব শাখায় বিচরণ করাই ভালো। আশা করছি ঘনচক্কর দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে আমার মধ্যে পরিপূর্ণতা আসবে।’
ডার্টি পিকচার-এর পর আবারও এমরান হাশমির সঙ্গে জুটি বাঁধলেন বিদ্যা। আর এই দুই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যার অভিনয়ের দারুণ ভক্ত হয়ে গেছেন এমরান হাশমি নিজেই। ছবির প্রচারণামূলক এক অনুষ্ঠানে এমরান বলেন, ‘আমি ওর অভিনয়ের দারুণ ভক্ত। ও পর্দায় যা-ই করে, আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। এর কারণ, বিদ্যা একেবারে ভিন্নধর্মী কাজ করে সব সময়। সে কারণেই ও স্বতন্ত্র। ছবিতে শুধু বিদ্যার নতুন লুক নয়, ছবির প্রমোশনেও ছিল চমক।’ ছবিতে মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে, তাই বিদ্যা ও এমরান হাশমি লোকাল ট্রেনে ছবির প্রমোশন করেছেন। এ ছাড়া ছবির প্রচারণা ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে ছবিটিকে ভিডিও গেম আকারেও প্রকাশ করা হচ্ছে। ঘনচক্কর ছবির ভিন্ন আঙ্গিকের গানগুলোর সংগীত আয়োজনে আছেন সংগীত পরিচালক অমিত ত্রিভেদী।
সাজিদুল হক
জিনিউজ, ফিল্মফেয়ার, ইন্ডিয়া টাইমস, বলিউড হাঙ্গামা, রেডিফ, আইএমডিবি অবলম্বনে
No comments