সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপিকে সমর্থন ভোট কম, তবু জাপাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া by শরিফুল হাসান ও মাসুদ রানা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শুরু
থেকেই বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন জাতীয় পার্টির (জাপা)
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও হেফাজত যৌথ
সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
তবে
জাপার কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, এই নির্বাচনে তারা কাউকে সমর্থন দেয়নি।
দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই মেয়র
প্রার্থী জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দোয়া
চেয়েছেন। তবে এরশাদ কাউকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলেননি। আর এই নির্বাচনে জাপার
সমর্থিত কোনো প্রার্থী না থাকায় দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের
পছন্দমতো যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া দলের
নামে কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিতে পারেন না।
জাপার সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যেও মতের ভিন্নতা রয়েছে। আর কাকে সমর্থন দেওয়া হবে তা নিয়েও জাপার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নতা।
জাপার সমর্থন নিয়ে এমন টানাহেঁচড়া হলেও দলটির ভোট যে অনেক বেশি তা বলা যাবে না। জাপা দাবি করে, গাজীপুরে দুই থেকে আড়াই লাখ পোশাকশ্রমিক রয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশের বাড়ি রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এলাকায় এবং এঁরা জাপার সমর্থক। তবে ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি গাজীপুরের চারটি আসন মিলিয়ে প্রায় ৫৫ হাজার ভোট পেয়েছিল। আর সিটি করপোরেশন এলাকা গোটা জেলার চার ভাগের এক ভাগ। ফলে দলটির গড় ভোট ১৪ হাজারের বেশি হওয়ার কথা নয়।
১৯৯১, ’৯৬ ও ২০০১ সালে জাপা এককভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ’৯১ সাল থেকে শুরু করে প্রতিবারই দলটির ভোট কমেছে। ২০০১ সালে গাজীপুর-১ আসন থেকে দলের প্রার্থী আফতাব উদ্দিন আহমেদ আট হাজার ৯৪১ ভোট, গাজীপুর-২ থেকে কাজী মাহমুদ হাসান ৩৮ হাজার ২০২, গাজীপুর-৩ থেকে আশরাফ খান ছয় হাজার ৪৩৮ এবং গাজীপুর-৪ থেকে মোস্তাফিজুর রহমান এক হাজার ২৭০ ভোট পেয়েছিলেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, জাপার ভোট যা-ই থাকুক না কেন, তারা মহাজোটের বড় শরিক দল। তাদের সমর্থনে প্রমাণিত হলো, তারা এই সরকারের সঙ্গে থাকতে চায় না। তাদের এ সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে অবশ্যই প্রভাব ফেলবে।
গতকাল দুপুরে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে ভোট চেয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে গাজীপুর বিএনপি, জাপা ও হেফাজতে ইসলাম। মান্নানের চান্দনা চৌরাস্তার নির্বাচনী ক্যাম্পে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নানের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি সত্যি। আমাদের নেতা-কর্মীরা আগেই বিএনপির পক্ষে কাজ করছিলেন। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।’
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, জাপার সমর্থন না পেলেও তাঁরা হতাশ নন। গাজীপুরে দলটির এমন ভোট নেই যে, তাদের সমর্থন চাইতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, জাপা সমর্থন না দিলেও কিছু যায় আসে না। কারণ, গাজীপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
তবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, গাজীপুর পৌর ও টঙ্গী জাপার একটি অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, পৌর জাপার সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও টঙ্গীর কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোয়ার হোসেন বলেন, নিজের একক ইচ্ছায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তিনি আজ সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন বলে জানান।
এ নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হয়েছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান। তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার পর আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমর্থন চাইলেও তিনি দেননি। এরপর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁর দলের সমর্থন চান। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।
জাপার সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যেও মতের ভিন্নতা রয়েছে। আর কাকে সমর্থন দেওয়া হবে তা নিয়েও জাপার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নতা।
জাপার সমর্থন নিয়ে এমন টানাহেঁচড়া হলেও দলটির ভোট যে অনেক বেশি তা বলা যাবে না। জাপা দাবি করে, গাজীপুরে দুই থেকে আড়াই লাখ পোশাকশ্রমিক রয়েছেন, যাঁদের অধিকাংশের বাড়ি রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এলাকায় এবং এঁরা জাপার সমর্থক। তবে ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি গাজীপুরের চারটি আসন মিলিয়ে প্রায় ৫৫ হাজার ভোট পেয়েছিল। আর সিটি করপোরেশন এলাকা গোটা জেলার চার ভাগের এক ভাগ। ফলে দলটির গড় ভোট ১৪ হাজারের বেশি হওয়ার কথা নয়।
১৯৯১, ’৯৬ ও ২০০১ সালে জাপা এককভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ’৯১ সাল থেকে শুরু করে প্রতিবারই দলটির ভোট কমেছে। ২০০১ সালে গাজীপুর-১ আসন থেকে দলের প্রার্থী আফতাব উদ্দিন আহমেদ আট হাজার ৯৪১ ভোট, গাজীপুর-২ থেকে কাজী মাহমুদ হাসান ৩৮ হাজার ২০২, গাজীপুর-৩ থেকে আশরাফ খান ছয় হাজার ৪৩৮ এবং গাজীপুর-৪ থেকে মোস্তাফিজুর রহমান এক হাজার ২৭০ ভোট পেয়েছিলেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, জাপার ভোট যা-ই থাকুক না কেন, তারা মহাজোটের বড় শরিক দল। তাদের সমর্থনে প্রমাণিত হলো, তারা এই সরকারের সঙ্গে থাকতে চায় না। তাদের এ সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে অবশ্যই প্রভাব ফেলবে।
গতকাল দুপুরে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে ভোট চেয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে গাজীপুর বিএনপি, জাপা ও হেফাজতে ইসলাম। মান্নানের চান্দনা চৌরাস্তার নির্বাচনী ক্যাম্পে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নানের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি সত্যি। আমাদের নেতা-কর্মীরা আগেই বিএনপির পক্ষে কাজ করছিলেন। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।’
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, জাপার সমর্থন না পেলেও তাঁরা হতাশ নন। গাজীপুরে দলটির এমন ভোট নেই যে, তাদের সমর্থন চাইতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, জাপা সমর্থন না দিলেও কিছু যায় আসে না। কারণ, গাজীপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
তবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, গাজীপুর পৌর ও টঙ্গী জাপার একটি অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, পৌর জাপার সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও টঙ্গীর কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোয়ার হোসেন বলেন, নিজের একক ইচ্ছায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তিনি আজ সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন বলে জানান।
এ নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হয়েছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলার সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসান। তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার পর আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমর্থন চাইলেও তিনি দেননি। এরপর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁর দলের সমর্থন চান। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।
No comments