উন্নয়নের ভোগান্তিতে যোগ হলো বৃষ্টি by মিঠুন চৌধুরী
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভোগান্তি বেড়েছে
নগরবাসীর। টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহদ্দারহাট, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদ,
হালিশহরসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে যাচ্ছে।
নগরের যেসব এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ ও ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে, সেসব
এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি। সড়কের কাদা, পানি ও ময়লা আবর্জনা
ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
কদমতলীর মোড় থেকে স্টেশন রোড ও বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের পাশের সড়ক এমনিতেই ভাঙা। এবার বর্ষার শুরুতে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই এলাকার সড়ক কাদা-পানির দখলে চলে গেছে। একই অবস্থা দেখা গেছে খাজা রোড, মনসুরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায়।
নগরের খাজা রোডে সাবানঘাটা থেকে আমিনের দোকান পর্যন্ত প্রায় তিন মাস ধরে চলছে নালা নির্মাণের কাজ। সড়কের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কেটে ফেলা হয়েছে। নির্মাণসামগ্রী আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণসামগ্রী আর কাদা-পানি ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। বৃষ্টিতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
খাজা রোড পেরিয়ে বহদ্দারবাড়ি মসজিদ এলাকায় পৌঁছালেই দেখা মিলবে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের। চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত সড়কে এ কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে হেঁটেই চলাচল করছে। বর্ষায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
অন্যদিকে, নগরের গণি বেকারি মোড় থেকে চকবাজার পর্যন্ত সড়কের সম্প্রসারিত অংশে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়নি। গত সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই সড়কের বড় বড় গর্তে পানি জমে ছিল। ভাঙা সড়কে এসব গর্ত ডিঙিয়েই চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের দেওয়ানহাট মোড় থেকে ডবলমুরিং থানা পর্যন্ত অংশ বন্ধ করে চলছে ওভারপাসের নির্মাণকাজ। এই সড়কসংলগ্ন মেম গলি, আসকারাবাদ, মনসুরাবাদ ও ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দারা আছে চরম দুর্ভোগে।
নগরের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, হালিশহর, দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহরসহ বেশ কিছু এলাকায় এবারও বর্ষার শুরুতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরের উত্তর পতেঙ্গার কাঠগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গত সোমবার পর্যন্ত পানি জমে ছিল। এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত শনিবারের পর থেকে বৃষ্টি না হলেও সোমবার পর্যন্ত পানি জমে ছিল। বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটির নিচতলায়ও পানি ঢুকে যায়। তাই বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।
এ ছাড়া নালা-নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় গত সপ্তাহে টানা তিন-চার দিনের বৃষ্টিতে উপচে ওঠা নর্দমার পানির সঙ্গে ভেসে আসা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে ফুটপাতে। এর ফলে ময়লা আবর্জনা ডিঙিয়েই চলাচল করতে হয়েছে নগরবাসীকে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) উপনগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চউকের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ পুরোদমে চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকেরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে চেয়ারম্যান মহোদয় নিয়মিত তাগাদা দিচ্ছেন।’
কদমতলীর মোড় থেকে স্টেশন রোড ও বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের পাশের সড়ক এমনিতেই ভাঙা। এবার বর্ষার শুরুতে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই এলাকার সড়ক কাদা-পানির দখলে চলে গেছে। একই অবস্থা দেখা গেছে খাজা রোড, মনসুরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায়।
নগরের খাজা রোডে সাবানঘাটা থেকে আমিনের দোকান পর্যন্ত প্রায় তিন মাস ধরে চলছে নালা নির্মাণের কাজ। সড়কের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কেটে ফেলা হয়েছে। নির্মাণসামগ্রী আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণসামগ্রী আর কাদা-পানি ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। বৃষ্টিতে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
খাজা রোড পেরিয়ে বহদ্দারবাড়ি মসজিদ এলাকায় পৌঁছালেই দেখা মিলবে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের। চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত সড়কে এ কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে হেঁটেই চলাচল করছে। বর্ষায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
অন্যদিকে, নগরের গণি বেকারি মোড় থেকে চকবাজার পর্যন্ত সড়কের সম্প্রসারিত অংশে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়নি। গত সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই সড়কের বড় বড় গর্তে পানি জমে ছিল। ভাঙা সড়কে এসব গর্ত ডিঙিয়েই চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের দেওয়ানহাট মোড় থেকে ডবলমুরিং থানা পর্যন্ত অংশ বন্ধ করে চলছে ওভারপাসের নির্মাণকাজ। এই সড়কসংলগ্ন মেম গলি, আসকারাবাদ, মনসুরাবাদ ও ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দারা আছে চরম দুর্ভোগে।
নগরের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, হালিশহর, দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহরসহ বেশ কিছু এলাকায় এবারও বর্ষার শুরুতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরের উত্তর পতেঙ্গার কাঠগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গত সোমবার পর্যন্ত পানি জমে ছিল। এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত শনিবারের পর থেকে বৃষ্টি না হলেও সোমবার পর্যন্ত পানি জমে ছিল। বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটির নিচতলায়ও পানি ঢুকে যায়। তাই বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।
এ ছাড়া নালা-নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় গত সপ্তাহে টানা তিন-চার দিনের বৃষ্টিতে উপচে ওঠা নর্দমার পানির সঙ্গে ভেসে আসা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে ফুটপাতে। এর ফলে ময়লা আবর্জনা ডিঙিয়েই চলাচল করতে হয়েছে নগরবাসীকে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) উপনগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চউকের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ পুরোদমে চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকেরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে চেয়ারম্যান মহোদয় নিয়মিত তাগাদা দিচ্ছেন।’
No comments