আপাতত রাশিয়ার কাছেই আশ্রয় চাইবেন স্নোডেন
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কর্মসূচি প্রিজমের
কথা ফাঁস করে দেওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (৩০) আশ্রয় না দিতে লাতিন আমেরিকার
দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। স্নোডেনকে হংকং
ছাড়তে বাধা না দেওয়ায় চীনের ওপরেও নতুন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার মস্কোর
শেরেমেতোভা বিমানবন্দরে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন স্নোডেন।
বৈঠক শেষে টুইটার বার্তায় উইকিলিকস জানায়, আপাতত রাশিয়ার কাছে রাজনৈতিক
আশ্রয় চাইবেন স্নোডেন। তবে চূড়ান্তভাবে তিনি লাতিন আমেরিকার কোনো দেশেই
যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআই) সাবেক কর্মী স্নোডেন গত ২৩ জুন থেকে শেরেমেতোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন। গতকাল সেখানেই মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। এর আগে সংগঠনগুলোকে পাঠানো চিঠিতে স্নোডেন বলেন, 'আমি বিশ্বের সাহসী দেশগুলো থেকে সমর্থন ও আশ্রয়ের প্রস্তাব পাওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দুর্ভাগ্যবশত সম্প্রতি আমরা দেখলাম, সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণার ১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমার অধিকারকে খর্ব করতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অভিযানে নেমেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যে হুমকি দিচ্ছে, তা নজিরবিহীন।'
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোররেয়াকে স্নোডেনকে আশ্রয় না দিতে আহবান জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা স্নোডেন বিষয়ে ভেনিজুয়েলার ওপরও চাপ অব্যাহত রেখেছেন। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'এ গোলার্ধের কোনো দেশ নেই, যার সরকার এ (স্নোডেন) বিষয়ে আমাদের অবস্থান উপলব্ধি করতে পারে না। স্নোডেনের কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের জন্য খারাপ হতে পারে।'
ওয়াশিংটনে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাণিজ্য ও সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নস বলেছেন, স্নোডেনকে হস্তান্তরে চীনের ব্যর্থতায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। বেইজিংয়ের এ ভূমিকা দ্বিপক্ষীয় (যুক্তরাষ্ট্র-চীন) সম্পর্কে আস্থার ক্ষতি করেছে। তবে এর জবাবে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি বলেন, হংকং যা করেছে, আইন অনুযায়ী করেছে। এ কাজের নিন্দার কোনো সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন হংকং থেকে মস্কো যান স্নোডেন। সূত্র : এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআই) সাবেক কর্মী স্নোডেন গত ২৩ জুন থেকে শেরেমেতোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন। গতকাল সেখানেই মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। এর আগে সংগঠনগুলোকে পাঠানো চিঠিতে স্নোডেন বলেন, 'আমি বিশ্বের সাহসী দেশগুলো থেকে সমর্থন ও আশ্রয়ের প্রস্তাব পাওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দুর্ভাগ্যবশত সম্প্রতি আমরা দেখলাম, সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণার ১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমার অধিকারকে খর্ব করতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অভিযানে নেমেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যে হুমকি দিচ্ছে, তা নজিরবিহীন।'
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোররেয়াকে স্নোডেনকে আশ্রয় না দিতে আহবান জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা স্নোডেন বিষয়ে ভেনিজুয়েলার ওপরও চাপ অব্যাহত রেখেছেন। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'এ গোলার্ধের কোনো দেশ নেই, যার সরকার এ (স্নোডেন) বিষয়ে আমাদের অবস্থান উপলব্ধি করতে পারে না। স্নোডেনের কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের জন্য খারাপ হতে পারে।'
ওয়াশিংটনে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাণিজ্য ও সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নস বলেছেন, স্নোডেনকে হস্তান্তরে চীনের ব্যর্থতায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। বেইজিংয়ের এ ভূমিকা দ্বিপক্ষীয় (যুক্তরাষ্ট্র-চীন) সম্পর্কে আস্থার ক্ষতি করেছে। তবে এর জবাবে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি বলেন, হংকং যা করেছে, আইন অনুযায়ী করেছে। এ কাজের নিন্দার কোনো সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন হংকং থেকে মস্কো যান স্নোডেন। সূত্র : এএফপি।
No comments