বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত
উত্তরাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি
প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কয়েকটি স্থানে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি
বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে দিনাজপুরে সওজের একটি রেস্টহাউস ভাঙনের
হুমকিতে রয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
দিনাজপুর: অব্যাহত পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে জেলার মোহনপুরে আত্রাই নদীর পশ্চিম তীরে ৫০০ মিটার এলাকার বড় বড় গাছ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের রেস্টহাউস।
এলাকাবাসী জানায়, এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে আত্রাই নদীর পশ্চিম তীর ভাঙতে শুরু করে। ভাঙনের ফলে সওজের একটি রেস্টহাউসসংলগ্ন ২০টিরও বেশি বড় আম ও জামগাছ নদীগর্ভে চলে যায়। নদীর পানি এসে রেস্টহাউসের দেয়ালে আছড়ে পড়ছে।
সিরাজগঞ্জ: পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় যমুনার সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার তীরবর্তী সদর উপজেলার শিমলা, বাহুকা, বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনীবাড়ী, আঘুরিয়া, গোপালপুর, শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন এবং চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া, উমরপুর ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
ধুনট (বগুড়া): গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার শহড়াবাড়ি পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দুই কূল উপচে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের ১১টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
লালমনিরহাট: জেলার প্রধান নদী তিস্তা ও ধরলা পাড়ের ২৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী। ত্রাণ সাহায্য হিসেবে সরকারিভাবে পাঁচ লাখ টাকা ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক জানান। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত উল্লাহ জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুড়িগ্রাম: পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দুই সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পঞ্চগড়: গতকাল সকালে শহরের দর্জিপাড়া, পৌরসভা খালপাড়া, রাজনগর, ডোকরোপাড়া, ইসলামবাগ, নিমনগর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ বসতবাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। ঘরবাড়ির পানি নেমে যাওয়ায় অনেক মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহামঞ্চদ সালাহ উদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত ৯৮২টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং এক হাজার ৪৫০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আটোয়ারীতে ১০০টি, বোদায় ৫১০টি ও পঞ্চগড় পৌর এলাকার ৫৬০টি পরিবার এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছে।
দিনাজপুর: অব্যাহত পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে জেলার মোহনপুরে আত্রাই নদীর পশ্চিম তীরে ৫০০ মিটার এলাকার বড় বড় গাছ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের রেস্টহাউস।
এলাকাবাসী জানায়, এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে আত্রাই নদীর পশ্চিম তীর ভাঙতে শুরু করে। ভাঙনের ফলে সওজের একটি রেস্টহাউসসংলগ্ন ২০টিরও বেশি বড় আম ও জামগাছ নদীগর্ভে চলে যায়। নদীর পানি এসে রেস্টহাউসের দেয়ালে আছড়ে পড়ছে।
সিরাজগঞ্জ: পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় যমুনার সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার তীরবর্তী সদর উপজেলার শিমলা, বাহুকা, বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনীবাড়ী, আঘুরিয়া, গোপালপুর, শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন এবং চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া, উমরপুর ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
ধুনট (বগুড়া): গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার শহড়াবাড়ি পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দুই কূল উপচে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের ১১টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
লালমনিরহাট: জেলার প্রধান নদী তিস্তা ও ধরলা পাড়ের ২৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী। ত্রাণ সাহায্য হিসেবে সরকারিভাবে পাঁচ লাখ টাকা ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক জানান। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত উল্লাহ জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুড়িগ্রাম: পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দুই সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পঞ্চগড়: গতকাল সকালে শহরের দর্জিপাড়া, পৌরসভা খালপাড়া, রাজনগর, ডোকরোপাড়া, ইসলামবাগ, নিমনগর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ বসতবাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। ঘরবাড়ির পানি নেমে যাওয়ায় অনেক মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহামঞ্চদ সালাহ উদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত ৯৮২টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং এক হাজার ৪৫০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আটোয়ারীতে ১০০টি, বোদায় ৫১০টি ও পঞ্চগড় পৌর এলাকার ৫৬০টি পরিবার এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছে।
No comments