গলছে বরফ, খুলছে বাণিজ্যের নতুন পথ
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ
গলে গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে খুলে যাচ্ছে সমুদ্রে
বাণিজ্যের নতুন নতুন পথ। কমছে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে যাতায়াতের
সময়কাল।
বিশেষ করে উত্তর সাগরের একটি পথ খুলে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক আশার আলো দেখছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার আর্কটিক উপকূলের এই পথের পরিবর্তন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিন্যাসই পাল্টে দিয়েছে এ পথ। বর্তমানে পানামা খাল কিংবা সুয়েজ খাল দিয়ে বেশির ভাগ বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে। নতুন সৃষ্ট পথে আপাতত হাতেগোনা কয়েকটি জাহাজ চলাচল করলেও এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই পথে এরই মধ্যে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দর আর জার্মানির হামবুর্গ বন্দরের মধ্যে দূরত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। জ্বালানি খরচ কমেছে ২০ শতাংশ। একইভাবে নরওয়ের কিরকেনেস বন্দরের সঙ্গে এশিয়ার দূরত্বও কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। কিরকেনেস থেকে সমুদ্রপথে প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরে পৌঁছাতে সময় লাগে ৯ দিন। আর্কটিক মহাসাগরের সবচেয়ে বড় তেল-গ্যাস ক্ষেত্রসহ সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চল এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থিত খনিগুলো এ বন্দর থেকে সুবিধাজনক দূরত্বে আছে। ব্যারেন্টস সাগর থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আহরণ এবং বাজারজাতকরণেও এ সমুদ্রপথ এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। এলএনজি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সুয়েজ খালের পরিবর্তে নতুন এ পথ ব্যবহার করলে জাহাজপ্রতি ৭০ লাখ ডলার কম খরচ হবে।
নরওয়েজিয়ান শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট স্টুরলা এনরিকসেন বলেন, 'উত্তর সাগরে আমরা প্রথমবারের মতো একটি সমুদ্রপথ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। বাণিজ্য ও জ্বালানি পরিবহন উভয় ক্ষেত্রেই এই পথ ব্যাপক প্রভাব রাখবে।'
এ সমুদ্রপথের সুবিধা কাজে লাগাতে রাশিয়া উপকূলীয় এলাকায় নতুন ১০টি ঘাঁটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় চীনও। ২০২০ সাল নাগাদ দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৫ থেকে ১৫ শতাংশের জন্য এ পথ ব্যবহার করবে তারা। সূত্র : টেলিগ্রাফ অনলাইন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার আর্কটিক উপকূলের এই পথের পরিবর্তন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিন্যাসই পাল্টে দিয়েছে এ পথ। বর্তমানে পানামা খাল কিংবা সুয়েজ খাল দিয়ে বেশির ভাগ বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে। নতুন সৃষ্ট পথে আপাতত হাতেগোনা কয়েকটি জাহাজ চলাচল করলেও এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই পথে এরই মধ্যে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দর আর জার্মানির হামবুর্গ বন্দরের মধ্যে দূরত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। জ্বালানি খরচ কমেছে ২০ শতাংশ। একইভাবে নরওয়ের কিরকেনেস বন্দরের সঙ্গে এশিয়ার দূরত্বও কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। কিরকেনেস থেকে সমুদ্রপথে প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরে পৌঁছাতে সময় লাগে ৯ দিন। আর্কটিক মহাসাগরের সবচেয়ে বড় তেল-গ্যাস ক্ষেত্রসহ সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চল এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থিত খনিগুলো এ বন্দর থেকে সুবিধাজনক দূরত্বে আছে। ব্যারেন্টস সাগর থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আহরণ এবং বাজারজাতকরণেও এ সমুদ্রপথ এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। এলএনজি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সুয়েজ খালের পরিবর্তে নতুন এ পথ ব্যবহার করলে জাহাজপ্রতি ৭০ লাখ ডলার কম খরচ হবে।
নরওয়েজিয়ান শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট স্টুরলা এনরিকসেন বলেন, 'উত্তর সাগরে আমরা প্রথমবারের মতো একটি সমুদ্রপথ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। বাণিজ্য ও জ্বালানি পরিবহন উভয় ক্ষেত্রেই এই পথ ব্যাপক প্রভাব রাখবে।'
এ সমুদ্রপথের সুবিধা কাজে লাগাতে রাশিয়া উপকূলীয় এলাকায় নতুন ১০টি ঘাঁটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় চীনও। ২০২০ সাল নাগাদ দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৫ থেকে ১৫ শতাংশের জন্য এ পথ ব্যবহার করবে তারা। সূত্র : টেলিগ্রাফ অনলাইন।
No comments