নিষিদ্ধ হচ্ছে দেবোত্তর সম্পত্তি হস্তান্তর by নিখিল ভদ্র
দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণে নিবন্ধন
বাধ্যতামূলক এবং হস্তান্তর নিষিদ্ধ করে আইন হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে
আগামীকাল রবিবার একটি বিল উঠছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে 'দেবোত্তর
সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৩' নামে বিল তৈরি করে তা সংসদে পাঠিয়েছে।
জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া আগামীকাল সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করবেন।
প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে সব দেবোত্তর সম্পত্তি একটি বোর্ডের অধীনে
নিবন্ধিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে। এই সম্পত্তি কোনোভাবেই হস্তান্তর করা যাবে না।
একই সঙ্গে এর আগে হস্তান্তর হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া
হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু ধর্মীয় আইনে ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি তাঁর সম্পত্তি দেবতার অধিকারভুক্ত খাতে উৎসর্গ করতে পারেন। উৎসর্গ করা এই সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এই সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি সেবায়েত নামে পরিচিত। কিন্তু সেবায়েতরা নানা কারণে এই সম্পত্তি যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না বা করতে পারেন না। ফলে হাজার হাজার একর দেবোত্তর সম্পত্তি বেহাত, অপদখল ও বেআইনিভাবে বিক্রি ও হাতবদল হয়েছে। এ জন্য প্রধানত আইনি শূন্যতা দায়ী। তাই এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে দেবোত্তর সম্পত্তির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন, তহবিল পরিচালনা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। পদাধিকারবলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান। সদস্য থাকবেন সেবায়েত হিসেবে কর্মরত তিনজনসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এ ছাড়া সরকার যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন হিন্দু কর্মকর্তাকে বোর্ডের প্রশাসক নিয়োগ দেবে।
বিলে বলা হয়েছে, বোর্ডের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। তবে জেলা সদরে বোর্ডের শাখা কার্যালয় থাকতে পারবে। প্রতিটি জেলায় 'দেবোত্তর সম্পত্তি জেলা কমিটি' নামের একটি কমিটি থাকবে। জেলা প্রশাসক ওই কমিটির সভাপতি হবেন।
বিলের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে ও পরে সৃষ্ট সব দেবোত্তর সম্পত্তি বোর্ডে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে বোর্ড সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করে সনদ প্রদান করবে। সেবায়েত বা ব্যবস্থাপনা কমিটি বছর শেষে বোর্ডের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেবে। সেবায়েতের অবর্তমানে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবে বোর্ড। বোর্ড বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে।
বিলের ৪৩ ধারায় দেবোত্তর তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। দেবোত্তর সম্পত্তির আয়ের ৫ থেকে ৭ শতাংশ অর্থ এই তহবিলে জমা হবে। এ ছাড়া সরকারের অনুদান, ঋণ, বেসরকারি অনুদান ও অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত অর্থ তহবিলে সংরক্ষণ করা হবে। এই তহবিল থেকেই বোর্ডের সব ব্যয় নির্বাহ হবে।
বিলের দশম অধ্যায়ে সেবায়েত বা ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক দেবোত্তর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা ও বোর্ডের কাছে মিথ্যা তথ্য উত্থাপনের দায়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর বিনা শ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সূত্রমতে, আন্তমন্ত্রণালয় সভা, হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে গত বছর বিলটির খসড়া তৈরি হয়। গত ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা তা নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় গত ৩ জুন। সর্বশেষ বিলটি পাসের জন্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণ করে সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিন্দু ধর্মীয় আইনে ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি তাঁর সম্পত্তি দেবতার অধিকারভুক্ত খাতে উৎসর্গ করতে পারেন। উৎসর্গ করা এই সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এই সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি সেবায়েত নামে পরিচিত। কিন্তু সেবায়েতরা নানা কারণে এই সম্পত্তি যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না বা করতে পারেন না। ফলে হাজার হাজার একর দেবোত্তর সম্পত্তি বেহাত, অপদখল ও বেআইনিভাবে বিক্রি ও হাতবদল হয়েছে। এ জন্য প্রধানত আইনি শূন্যতা দায়ী। তাই এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে দেবোত্তর সম্পত্তির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন, তহবিল পরিচালনা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। পদাধিকারবলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান। সদস্য থাকবেন সেবায়েত হিসেবে কর্মরত তিনজনসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এ ছাড়া সরকার যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন হিন্দু কর্মকর্তাকে বোর্ডের প্রশাসক নিয়োগ দেবে।
বিলে বলা হয়েছে, বোর্ডের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। তবে জেলা সদরে বোর্ডের শাখা কার্যালয় থাকতে পারবে। প্রতিটি জেলায় 'দেবোত্তর সম্পত্তি জেলা কমিটি' নামের একটি কমিটি থাকবে। জেলা প্রশাসক ওই কমিটির সভাপতি হবেন।
বিলের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হওয়ার আগে ও পরে সৃষ্ট সব দেবোত্তর সম্পত্তি বোর্ডে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে বোর্ড সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করে সনদ প্রদান করবে। সেবায়েত বা ব্যবস্থাপনা কমিটি বছর শেষে বোর্ডের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেবে। সেবায়েতের অবর্তমানে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবে বোর্ড। বোর্ড বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে।
বিলের ৪৩ ধারায় দেবোত্তর তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। দেবোত্তর সম্পত্তির আয়ের ৫ থেকে ৭ শতাংশ অর্থ এই তহবিলে জমা হবে। এ ছাড়া সরকারের অনুদান, ঋণ, বেসরকারি অনুদান ও অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত অর্থ তহবিলে সংরক্ষণ করা হবে। এই তহবিল থেকেই বোর্ডের সব ব্যয় নির্বাহ হবে।
বিলের দশম অধ্যায়ে সেবায়েত বা ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক দেবোত্তর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা ও বোর্ডের কাছে মিথ্যা তথ্য উত্থাপনের দায়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর বিনা শ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সূত্রমতে, আন্তমন্ত্রণালয় সভা, হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে গত বছর বিলটির খসড়া তৈরি হয়। গত ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা তা নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় গত ৩ জুন। সর্বশেষ বিলটি পাসের জন্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণ করে সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়।
No comments