আপিল বিভাগের রায় দ্রুত কার্যকর হোক অনিয়ন্ত্রিত আবাসন প্রকল্প
ঢাকার অদূরে সাভারের আমিনবাজারে মধুমতি
মডেল টাউন প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া
রায়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, রায়ের মধ্য দিয়ে এই বার্তাই পৌঁছে গেল যে
আবাসন ব্যবসা খাতের প্রভাব-প্রতিপত্তি যত
প্রবলই হোক না
কেন, আইনের বাইরে গিয়ে, মানুষের অধিকার হরণ করে, প্রাকৃতিক পরিবেশের হানি
ঘটিয়ে ইচ্ছামতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না।
বিভিন্ন বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠানের জবরদস্তিমূলক আচরণ এতটাই বেপরোয়া যে ‘ভূমিদস্যুতা’ বলে একটি শব্দবন্ধ আমাদের আবাসনশিল্প খাতে বেশ চালু। এরা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে এবং বেআইনিভাবে ব্যবসা ও মুনাফা নিশ্চিত করার যাবতীয় পন্থা অবলম্বন করে। এদের ভূমিদস্যুতার কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে হাজার হাজার দরিদ্র পরিবার। এদের কারণেই দখল ও ভরাট হয়ে গেছে রাজধানীর আশপাশের নদ-নদী, খাল ও জলাভূমিগুলো। আবাসনশিল্প খাতের এই অনিয়ন্ত্রিত অবস্থার ক্ষতিকর প্রভাব যে কত সুদূরপ্রসারী, তা অনুধাবন করা কঠিন নয়। কিন্তু এর প্রতিকারের কার্যকর ব্যবস্থা প্রায় অনুপস্থিত।
মেট্রো হকার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামের যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল, তারা নিজেরাই দাবি করেছে, ওই প্রকল্পের জন্য সাড়ে ৫০০ একর ভূমি তারা ক্রয় করেছে। তারা ধরেই নিয়েছে, একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা এত পরিমাণ ভূমি ক্রয় করার অধিকার রাখে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির আদেশ ৯৮ অনুসারে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ১০০ বিঘার বেশি জমি কিনতে বা মালিকানা ভোগ করতে পারে না। আপিল বিভাগের রায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এ আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পের সব ভূমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যক্তি এই প্রকল্পের প্লট কিনেছেন, একই সময়ের মধ্যে তাঁদের ভূমি নিবন্ধনের সব খরচসহ তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া মোট অর্থের দ্বিগুণ ফেরত দিতেও বলা হয়েছে। আদালতের এসব নির্দেশ পালনে প্রতিষ্ঠানটি ব্যর্থ হলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের উদ্যোগ নিতে এবং এর খরচ ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাট করে প্রচুর আবাসন গড়ে উঠেছে, কিন্তু এ জন্য আদালতের রায়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের শাস্তির আদেশ এটাই প্রথম। খাল-বিল, নদ-নদী ও জলাভূমি ভরাট করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে ওঠা আবাসনশিল্পের রাশ টেনে ধরা এবং ভূমিদস্যুতা রোধ করার ক্ষেত্রে এ রায় নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সে কারণে আদালতের নির্দেশ যথাসময়ে বাস্তবায়ন জরুরি। এ ধরনের বেআইনি ও ক্ষতিকর আবাসন প্রকল্প আরও রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের অঞ্চলগুলোকে বসবাসের যোগ্য রাখতে হলে রাজউকের ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) ভেতরে অনিয়ন্ত্রিত আবাসন প্রকল্পের বাড়বাড়ন্ত অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষগুলোর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বিভিন্ন বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠানের জবরদস্তিমূলক আচরণ এতটাই বেপরোয়া যে ‘ভূমিদস্যুতা’ বলে একটি শব্দবন্ধ আমাদের আবাসনশিল্প খাতে বেশ চালু। এরা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে এবং বেআইনিভাবে ব্যবসা ও মুনাফা নিশ্চিত করার যাবতীয় পন্থা অবলম্বন করে। এদের ভূমিদস্যুতার কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে হাজার হাজার দরিদ্র পরিবার। এদের কারণেই দখল ও ভরাট হয়ে গেছে রাজধানীর আশপাশের নদ-নদী, খাল ও জলাভূমিগুলো। আবাসনশিল্প খাতের এই অনিয়ন্ত্রিত অবস্থার ক্ষতিকর প্রভাব যে কত সুদূরপ্রসারী, তা অনুধাবন করা কঠিন নয়। কিন্তু এর প্রতিকারের কার্যকর ব্যবস্থা প্রায় অনুপস্থিত।
মেট্রো হকার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামের যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল, তারা নিজেরাই দাবি করেছে, ওই প্রকল্পের জন্য সাড়ে ৫০০ একর ভূমি তারা ক্রয় করেছে। তারা ধরেই নিয়েছে, একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা এত পরিমাণ ভূমি ক্রয় করার অধিকার রাখে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির আদেশ ৯৮ অনুসারে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ১০০ বিঘার বেশি জমি কিনতে বা মালিকানা ভোগ করতে পারে না। আপিল বিভাগের রায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এ আইনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পের সব ভূমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যক্তি এই প্রকল্পের প্লট কিনেছেন, একই সময়ের মধ্যে তাঁদের ভূমি নিবন্ধনের সব খরচসহ তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া মোট অর্থের দ্বিগুণ ফেরত দিতেও বলা হয়েছে। আদালতের এসব নির্দেশ পালনে প্রতিষ্ঠানটি ব্যর্থ হলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের উদ্যোগ নিতে এবং এর খরচ ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাট করে প্রচুর আবাসন গড়ে উঠেছে, কিন্তু এ জন্য আদালতের রায়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের শাস্তির আদেশ এটাই প্রথম। খাল-বিল, নদ-নদী ও জলাভূমি ভরাট করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে ওঠা আবাসনশিল্পের রাশ টেনে ধরা এবং ভূমিদস্যুতা রোধ করার ক্ষেত্রে এ রায় নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সে কারণে আদালতের নির্দেশ যথাসময়ে বাস্তবায়ন জরুরি। এ ধরনের বেআইনি ও ক্ষতিকর আবাসন প্রকল্প আরও রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের অঞ্চলগুলোকে বসবাসের যোগ্য রাখতে হলে রাজউকের ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) ভেতরে অনিয়ন্ত্রিত আবাসন প্রকল্পের বাড়বাড়ন্ত অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষগুলোর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments